ETV Bharat / state

আবেদন শোনেনি প্রশাসন, রাস্তার জমা জলে চারাগাছ পুঁতে প্রতিবাদ স্থানীয়দের - repair road in Goghat

প্রধানমন্ত্রীর সড়ক যোজনায় অলিগলিতে নতুন রাস্তা তৈরি হচ্ছে৷ কিন্তু সারাই করা হচ্ছে না হুগলি ও পশ্চিম মেদিনীপুর সংলগ্ন গোঘাটের পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা ৷ বেহাল রাস্তার জমা জলে চারাগাছ পুঁতে প্রতিবাদ স্থানীয়দের ৷

চারাগাছ নিয়ে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন স্থানীয়রা
author img

By

Published : Aug 19, 2019, 5:03 AM IST

গোঘাট, 19 অগাস্ট : বর্ষার জমা জল আর কাদা থেকে গত দশ বছরেও রেহাই মেলেনি এলাকার বাসিন্দাদের । প্রতি বছরের মতো এ বছরও রাস্তায় তৈরি হওয়া বড় বড় গর্তে জল জমে বিপদ বাড়ছে । চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে স্থানীয়দের । তাই রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে গণ প্রতিবাদে মুখর হলেন এলাকার মানুষ । রাস্তার কাদা আর জমা জলে ধানের চারা পুঁতে, মাছের চারা ছেড়ে জানালেন প্রতিবাদ । হুগলির গোঘাটের শান্তিপুর এলাকার ঘটনা ৷

গোঘাটের শান্তিপুর থেকে বিষ্ণুদাসপুর পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তার হাল একেবারেই বেহাল । প্রতিদিন প্রায় 2 -5 হাজার মানুষ ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন ৷ পাশাপাশি এই রাস্তা হুগলি ও পশ্চিম মেদিনীপুরের সঙ্গে সংলগ্ন হওয়ায় অনেক যানবাহনও যাতায়াত করে ৷ বর্ষা এলেই মাথায় হাত পড়ে নিত্য যাত্রীদের ৷ 10 বছর আগে শেষবার সারাই হয়েছিল রাস্তা । তারপর থেকে আর কোনওরকম সংস্কার করা হয়নি৷ প্রশাসনকে বার বার জানিয়েও মেলেনি কোনও ফল ৷ তাই বাধ্য হয়েই গতকাল রাস্তায় প্রতিবাদে নামেন স্থানীয়রা । এলাকার বাসিন্দা গোপালচন্দ্র ধারা বলেন, "প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনায় অলিগলিতে রাস্তা তৈরি হচ্ছে ৷ অথচ বার বার দাবি জানিয়েও আমাদের রাস্তাটি তৈরি করা হচ্ছে না ।"

আর এক বাসিন্দা দিব্যেন্দু ঘোষ বলেন, "মেদিনীপুর যাওয়ার এক মাত্র যোগাযোগের রাস্তা এটা ৷ এই রাস্তার মধ্যে পড়ে চারটি স্কুল ৷ কোনওদিন স্কুলের পড়ুয়াদের রাস্তায় পড়ে যেতে দেখি ৷ আবার কোনওদিন কাদা মেখে বাড়ি ফিরতে0 হয় । হঠাৎ কেউ অসুস্থ হলে অ্যাম্বুলেন্স আসতে চায় না ।"

গোঘাট 2 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি প্রভাস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "নতুন বোর্ড গঠন হওয়ার পর আমরা তিন মাস হল কাজ করছি । কোন রাস্তা পঞ্চায়েতের অধীন ও কোন রাস্তা পঞ্চায়েত সমিতির অধীন এখনও ঠিক মতো জানি না ৷ যে রাস্তাটির কথা বলা হচ্ছে সে ব্যাপারেও কিছু জানা নেই । তবে, জেলা পরিষদের কাছে রাস্তা অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছি ৷ সেখান থেকে অনুমোদন পেলে আমরা রাস্তার কাজে হাত দেব ।"

গোঘাট, 19 অগাস্ট : বর্ষার জমা জল আর কাদা থেকে গত দশ বছরেও রেহাই মেলেনি এলাকার বাসিন্দাদের । প্রতি বছরের মতো এ বছরও রাস্তায় তৈরি হওয়া বড় বড় গর্তে জল জমে বিপদ বাড়ছে । চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে স্থানীয়দের । তাই রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে গণ প্রতিবাদে মুখর হলেন এলাকার মানুষ । রাস্তার কাদা আর জমা জলে ধানের চারা পুঁতে, মাছের চারা ছেড়ে জানালেন প্রতিবাদ । হুগলির গোঘাটের শান্তিপুর এলাকার ঘটনা ৷

গোঘাটের শান্তিপুর থেকে বিষ্ণুদাসপুর পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তার হাল একেবারেই বেহাল । প্রতিদিন প্রায় 2 -5 হাজার মানুষ ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন ৷ পাশাপাশি এই রাস্তা হুগলি ও পশ্চিম মেদিনীপুরের সঙ্গে সংলগ্ন হওয়ায় অনেক যানবাহনও যাতায়াত করে ৷ বর্ষা এলেই মাথায় হাত পড়ে নিত্য যাত্রীদের ৷ 10 বছর আগে শেষবার সারাই হয়েছিল রাস্তা । তারপর থেকে আর কোনওরকম সংস্কার করা হয়নি৷ প্রশাসনকে বার বার জানিয়েও মেলেনি কোনও ফল ৷ তাই বাধ্য হয়েই গতকাল রাস্তায় প্রতিবাদে নামেন স্থানীয়রা । এলাকার বাসিন্দা গোপালচন্দ্র ধারা বলেন, "প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনায় অলিগলিতে রাস্তা তৈরি হচ্ছে ৷ অথচ বার বার দাবি জানিয়েও আমাদের রাস্তাটি তৈরি করা হচ্ছে না ।"

আর এক বাসিন্দা দিব্যেন্দু ঘোষ বলেন, "মেদিনীপুর যাওয়ার এক মাত্র যোগাযোগের রাস্তা এটা ৷ এই রাস্তার মধ্যে পড়ে চারটি স্কুল ৷ কোনওদিন স্কুলের পড়ুয়াদের রাস্তায় পড়ে যেতে দেখি ৷ আবার কোনওদিন কাদা মেখে বাড়ি ফিরতে0 হয় । হঠাৎ কেউ অসুস্থ হলে অ্যাম্বুলেন্স আসতে চায় না ।"

গোঘাট 2 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি প্রভাস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "নতুন বোর্ড গঠন হওয়ার পর আমরা তিন মাস হল কাজ করছি । কোন রাস্তা পঞ্চায়েতের অধীন ও কোন রাস্তা পঞ্চায়েত সমিতির অধীন এখনও ঠিক মতো জানি না ৷ যে রাস্তাটির কথা বলা হচ্ছে সে ব্যাপারেও কিছু জানা নেই । তবে, জেলা পরিষদের কাছে রাস্তা অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছি ৷ সেখান থেকে অনুমোদন পেলে আমরা রাস্তার কাজে হাত দেব ।"

Intro:Body:বর্ষা এলেই জল যন্ত্রনা আর কর্মাদোক্ত রাস্তার আতংক থেকে গত দশ বছর ধরে রেহাই মেলেনি এলাকার বাসিন্দাদের।প্রতি বছরের মত এ বছরও রাস্তার বড় বড় গর্ত আকার নিয়েছে পুকুরের।তারা সাথে কাদায় ভর্তি রাস্তা চলাচল দায় হয়ে পড়েছে স্থানীয়দের।এবার রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে রাস্তায় নেমে গণ প্রতিবাদে মুখর হলেন এলাকার অগণিত মানুষ। রাস্তার কাদা আর জমা জলে ধানের চারা পুঁতে,মাছের চারা ছেড়ে প্রতিবাদ জানালেন তারা। হুগলীর গোঘাটের শান্তিপুর এলাকার প্রায় পাঁচ কিমি রাস্তাটির হাল এমনই যে এভাবে প্রতিবাদ জানানো ছাড়া কোনো উপায় নেই তাদের কাছে।

মূলত গোঘাটের শান্তি পুর থেকে বিষ্ণুদাস পুর পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিমি রাস্তার হল একেবারে বেহাল।উল্লেখ্য এই রাস্তা হুগলি ও পশ্চিম মেদিনীপুরের সংযোগ কারী রাস্তা।

প্রতিদিনই গড়ে দুই থেকে পাঁচ হাজার মানুষের হেঁটে যাতায়ত।অন্য দিকে যানবাহন চলে স্কুল,বাজার এবং আরামবাগ শহরে যোগাযোগের জন্য।
বর্ষা এলেই কান্না ছাড়া উপায় নেই ছাত্র ছাত্রী থেকে নিত্য যাত্রীদের।
বিগত দশ বছর আগে বাম আমলে একবারই রাস্তার উপর মোরাম ফেলে রাস্তা চলাচলের যোগ্য করা হয়েছিল।তার পরই থেকেই রাস্তা যন্ত্রনায় ভুগতে হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের।
প্রশাসন কে বার বার জানিয়েও মেলেনি কোন ফল তাই বাধ্য হয়েই আজকের প্রতিবাদ।

স্থানীয় বাসিন্দা গোপাল চন্দ্র ধারা বলেন প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনায় অলিগলি রাস্তা তৈরি হচ্ছে অথচ বার বার দাবি জানিয়েও আমাদের রাস্তাটি তৈরি করা হচ্ছে না। প্ৰতদিন দুই হাজার লোকের যাতায়ত।এই রাস্তা দিয়ে মেদিনীপুর ঘাটাল যাওয়া যায় অন্য দিকে জয়রামবাটি কামার পুকুর যাওয়া যায়।এলাকায় চারটি স্টোর আছে।

আর এক স্থানীয় বাসিন্দা দিব্যেন্দু ঘোষ বলেন মেদিনীপুর পুর যাবার এক মাত্র যোগাযোগের রাস্তা এটা , এই রাস্তার মধ্যে পড়ে চারটি স্কুল,কোনো দিন দেখি স্কুলের ছাত্র রা পরে যাচ্ছে কোনো দিন কাদা মেখে বাড়ি ফিরছে।হটাৎ কেউ অসুস্থ হলে এম্বুলেন্স আসতে চায় না।বহুদিন আগে মোরাম বিছিয়ে রাস্তার হাল ফেরানো হয়েছিল ব্যস ওই টুকুই তার পর থেকে প্রশাসনের কোনো নজর নেই এই রাস্তার প্রতি।ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ এবং স্কুল ছাত্র ছাত্রীরা নাজেহাল হয়ে পড়ছে এই রাস্তা ব্যবহারে।আজ আমরা প্রতিবাদ জানালাম রাস্তায় ধান চারা পুঁতে এবং রাস্তার জমা জলে মাছ ছেড়ে।আমাদের দাবি এই রাস্তা টিকে চলাচলের যোগ্য করে দেওয়া হোক।

গোঘাট দু নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি প্রভাস ব্যানার্জি বলেন নতুন বোর্ড গঠন হবার পর আমরা তিন মাস কাজ করছি।কোন রাস্তা পঞ্চায়েতের অধীন এবং কোন রাস্তা পঞ্চায়েত সমিতির অধীন আমরা এখনো ঠিক মত জানি না এবং যে রাস্তাটির কথা বলা হচ্ছে সে ব্যাপারেও কিছু জানা নেই।তবে জেলা পরিষদের রাস্তা অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছি সেখান থেকে অনুমোদন পেলে আমরা রাস্তার কাজে হাত দেব।

wb_hgl_01_goghat_road_copi_10007

B_1_গোপাল চন্দ্র ধারা(স্থানীয় বাসিন্দা)
B_2_দিব্যেন্দু ঘোষ(স্থানীয় বাসিন্দা)
B_3_প্রভাস ব্যানার্জি(পঞ্চায়েত সমিতর সহ সভাপতি)



Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.