পাণ্ডুয়া, 13 নভেম্বর : প্রায় 300 বছরে পড়ল হুগলির পাণ্ডুয়ার দাসপুর গ্রামের জগদ্ধাত্রী পুজো ৷ কথিত আছে, বাংলার 1318 সালে তৎকালীন বর্ধমানের মহারাজা ও হরিদাসী চৌধুরীর হাত এই পুজোর সূচনা হয় ৷
পরে বাংলার 1342 সালে মন্বন্তরের সময় এই পুজো করার সামর্থ্য ছিল না চৌধুরীদের। সেই বছর বর্ধমানের রাজা বিজয় চাঁদের ছেলে তেজচন্দ্র তেজজি বর্মনের দেবত্র সম্পত্তিতে জগদ্ধাত্রী প্রতিমাকে বসিয়ে দিয়ে আসেন চৌধুরীরা। তারপর থেকেই সর্বজনীন হয়ে যায় এই পুজো। সেই থেকে পুরনো নিয়ম-রীতি মেনে দাসপুর গ্রামে আজও এই পুজো হয়ে আসছে।
আরও পড়ুন : Chandannagar Jagaddhatri Puja : নজর কাড়ল বাউড়িপাড়ার ‘অরণ্যজগৎ’
তবে, দশমীর দিন জগদ্ধাত্রী প্রতিমা নিরঞ্জনের পরিবর্তে, রাতে শিবমূর্তি নিয়ে এলাকা পরিভ্রমণ করা হয় ৷ শিব ও জগদ্ধাত্রীর বিবাহ দেওয়ার রীতিও রয়েছে এই পুজোয়৷ থাকে বড় ও কনে পক্ষও ৷ গ্রামের বাসিন্দারাই কেউ বর পক্ষ, কেউ কনে পক্ষ হন। মা জগদ্ধাত্রীর সঙ্গে মন্দিরেই বিয়ে হয় শিবের।
প্রথা মেনে নবমীতে ছাগ ও মোষ বলি দেওয়া হয়। তবে করোনা সংক্রমণের কারণে 2 বছর ধরে এই বলি প্রথা বন্ধ রয়েছে। তাই এখন, আঁখ ও ছাঁচি কুমড়ো বলি দেওয়া হয়। শোনা যায় এক সময় তামিলনাড়ুর জাল্লিকাট্টুর মত মোষের খেলাও হত দাসপুর গ্রামে। একবার একজনের পা চিরে ফালা ফালা করে দেয় একটি মোষ। তারপর থেকে মোষবলি প্রথা চালু হয়। আগে এখানকার মন্দিরটি ছিল তালপাতার, তবে এখন পাকা দালান ও টিনের ছাউনি হয়েছে। জগদ্ধাত্রী পুজোর নবমী ও দশমী এই দুদিন এখানে পুজো হয়।