হুগলি, 14 মার্চ : হাইকোর্টের নির্দেশ ও ভূমি রাজস্ব দফতরকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিল্লি রোড সংলগ্ন বৈদ্যবাটী চক এলাকায় কৃষি জমি থেকে অবিরাম মাটি কাটছে মাফিয়ারা (Illegal Soil Cutting in Baidyabati) । পরে ভূমি সংস্কার আধিকারিক অস্মিতা দাশগুপ্ত এসে মাটি কাটার কাজ বন্ধ করে দেন ।
পুকুর কাটার ক্ষেত্রে 30 ফুট ছেড়ে মাটি কাটার নিয়ম । সেসব তোয়াক্কা না করেই কৃষকদের জমির আল থেকে মাটি কাটছে মাটি কারবারিরা । যাতে কৃষকরা জমি মাফিয়াদের কাছে জমি বিক্রি করতে বাধ্য হন । জমি বিক্রি করেও টাকা বকেয়া রাখার অভিযোগ ওঠে । কৃষকদের কাছে অভিযোগ পেয়ে শ্রীরামপুর-উত্তরপাড়া ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকরা সরেজমিনে তদন্তে আসেন । বিনা রয়্যালটিতে পুকুরের নাম করে গাড়ি গাড়ি মাটি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে । কারও কোনও বলার অধিকার নেই । পরে ভূমি সংস্কার আধিকারিক অস্মিতা দাশগুপ্ত এসে মাটি কাটার কাজ বন্ধ করে দেন । তবে এবিষয়ে মুখ খুলতে চাননি মাটি কারবারি গৌতম ধোলে ।
আরও পড়ুন : Illegal Sand Mining : দিনের আলোয় মহানন্দার চর থেকে বালি চুরি মাফিয়াদের
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে মাটি মাফিয়ারা এলাকার দরিদ্র চাষিদের টাকার লোভ দেখিয়ে কৃষি জমি কেনার নাম করে অল্প কিছু টাকা দিয়ে তাদের জমি কিনে নিচ্ছে । বহু ক্ষেত্রে যে সব কৃষক জমি বিক্রি করতে অস্বীকার করছেন, তাঁদের পাশের জমির আল ঘেঁষে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে । ফলে জমিতে ধস নেমে জমির ক্ষতি হচ্ছে । অনেকেই কম দামে জমি দিতে বাধ্য হচ্ছেন বলে অভিযোগ । এমনকি তাঁদের জমি বিক্রি করে দেওয়ার পরেও জমির মালিকের নাম বদল করতেও দেরি করছে মাফিয়ারা । ফলে যখন জমির মাটি কাটা হচ্ছে, তখন প্রশাসনিক দিক থেকে তাঁরা হেনস্থা হচ্ছেন ।
চক এলাকার এক চাষি বলেন, "বেশ কয়েক বছর আগে আমার জমির পাশে অবৈধভাবে মাটি কাটা শুরু হয় । তখন আপত্তিও জানাই । কোনও লাভ হয়নি । শেষে মাটি কারবারিদের জমি দিতে বাধ্য হই । সেই জমির দামের সব টাকাও এখনও মেলেনি । একাধিকবার বলা হলেও বকেয়া টাকা ও জমি রেজিস্ট্রিও করে দেয়নি ।"
আরও পড়ুন : Kopai River : কোপাইয়ের সবুজে কোপ, অনুমতি ছাড়াই অবাধে বৃক্ষনিধন বোলপুরে
এ বিষয়ে ভূমি আধিকারিক জানান, মাটি কাটা হচ্ছে । স্থানীয় চাষিদের কিছু নিকাশি সমস্যা রয়েছে । রিপোর্ট জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে ৷