রিষড়া, 5 ফেব্রুয়ারি: শ্রীরামপুরের রিষড়া পৌরসভার 18 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুখ সাগর মিশ্রর বিরুদ্ধে দাদাগিরির অভিযোগ ৷ পরিচিত এক ব্যবসায়ীকে আড়াল করতে এক ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে কাউন্সিলর এবং তাঁর লোকজনের বিরুদ্ধে (House Owner Beats by Councillor in Hooghly) ৷ গত 2 ফেব্রুয়ারির ঘটনায় 7 জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ অভিযুক্ত কাউন্সিলর সুখ সাগর মিশ্র পলাতক ৷
জানা গিয়েছে, রাজেশ উপাধ্যায় নামে ওই ব্যবসায়ী রাধাকান্ত মণ্ডলের বাড়ির একটা অংশ ব্যবসার কাজের জন্য ভাড়া নিয়েছিলেন ৷ অভিযোগ সেখানে প্রায়ই মদের আসর বসাতেন রাজেশ ৷ তাঁকে বহুবার নিষেধ করা হলেও, কথা শোনেননি ৷ গত 2 ফেব্রুয়ারি রাতেও বাড়ির ভাড়া নেওয়া অংশে লোকজন এনে রীতিমতো উৎসবের মেজাজে মদের আসর বসিয়েছিলেন রাজেশ উপাধ্যায় ৷ রাধাকান্ত মণ্ডলের পরিবার আপত্তি করায় শুরু হয় বচসা ৷ রাধাকান্ত মণ্ডল তাঁদের সেখান থেকে চলে যেতে বলেন ৷ কিন্তু, তাঁকে পাল্টা মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ৷
ঘটনাস্থলে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী রাজেশের সঙ্গে ছিলেন কাউন্সিলর সুখ সাগর মিশ্র ৷ তিনি এবং তাঁর লোকজন রাধাকান্ত মণ্ডলের উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ ৷ এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের হাতে এসেছে ৷ সেখানে দেখা গিয়েছে, রাধাকান্ত মণ্ডলকে মাটিতে ফেলে মারধর করা হচ্ছে ৷ ঘটনাস্থলে কাউন্সিলর সুখ সাগর মিশ্রকেও দেখা গিয়েছে ৷ উল্লেখ্য, সুখ সাগর মিশ্র রিষড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান বিজয় সাগর মিশ্রের ভাই ৷ এনিয়ে তাঁকে ফোন করা হলে, তিনি বিষয়টি নিয়ে কোনও কথা বলতে চাননি ৷
আরও পড়ুন: উত্তরপাড়ায় মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীকে 'মারধর' তৃণমূল কাউন্সিলরের
তবে, শুধু রাধাকান্ত মণ্ডল নন ৷ তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে প্রতিবেশী মানিক দত্ত আক্রান্ত হন ৷ মানিক দত্তকেও মাটিতে ফেলে মারধর করে কাউন্সিলর এবং তাঁর লোকজন ৷ মাথায় লোহার রড দিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ তাঁর মাথা ফেটে গিয়েছে ৷ এমনকি তাঁদের বাঁচাতে গিয়ে পাশের এক দোকানদারও আক্রান্ত হন এই ঘটনায় ৷
অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় ৷ এই ঘটনায় রাজেশ উপাধ্যায়-সহ 7 জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে ৷ কাউন্সিলর সুখ সাগর মিশ্র ঘটনার পর থেকেই পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ ৷ তবে, তৃণমূল পরিচালিত রিষড়া পৌরসভার চেয়ারম্যানের ভাইয়ের খোঁজ না পাওয়ার বিষয়টি মানতে নারাজ রাধাকান্ত মণ্ডল এবং অন্যান্যরা ৷ এনিয়ে হুগলি জেলার তৃণমূল সভাপতি অরিন্দম গুঁইনকে প্রশ্ন করা হয় ৷ তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি রাজনৈতিক নয় ৷ কাউন্সিলর দোষী হলে, পুলিশ আইনত ব্যবস্থা নেবে ৷