বাঁশবেড়িয়া, 8 নভেম্বর : "লবির শিকার আমি" । এভাবেই বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা সোনা শীল ক্ষোভ প্রকাশ করেন। শুক্রবার তৃণমূল দল থেকে বাঁশবেড়িয়া পৌরসভার প্রশাসক অরিজিতা শীলের স্বামী সোনা শীলকে বহিষ্কার করে জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব । তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেন, তৃণমূলের কোনও নেতা কর্মী সোনা শীলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন না।তারপরই শনিবার সোনা শীল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "কোনও দোষ প্রমাণ করলে দল যা শাস্তি দেবে তাই মাথা পেতে নেব।শুধুমাত্র লবির শিকার হয়েছি আমি।কারণ আমি তপন দাশগুপ্তের সঙ্গে রাজনীতি করি তাই।"এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের।
তিনি আরও বলেন, "মমতাদিকে দেখেই এই দলকে আমি সমর্থন করি । আর যতদিন বেঁচে থাকব দিদিকে দেখেই দল করব। আমাদের দলে জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব কালকে আমার নাম করেই বলেছে, আমাকে বহিষ্কার করা হল। কিন্তু আমি এটাই বুঝতে পারছি না আমি দলের কোনও পদে ছিলাম না । আমার কোনও পদই নেই, এমনকী কোনও ওয়ার্ডেরও পদে আমি নেই । আমাকে এইভাবে বহিষ্কার করার মানে কী আমি বুঝতে পারছি না । আমি যদি দল বিরোধী কোনও কাজ করে থাকি, বা দলের কথা না শুনে থাকি, যদি অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকি তাহলে দল আমাকে সেই প্রমাণটা পেশ করুন । তাহলে যত রকম শাস্তি আছে আমি মাথা পেতে নেব ।" তিনি বলেন, "আমি মমতাদিকে বলব নিজের লোক দিয়ে তদন্ত করে দেখুন কারা এই দলে থেকে নাটক চালিয়ে যাচ্ছে দলকে কীভাবে ক্ষতি করে চলেছে ৷"
তিনি আরও বলেন, "আমার স্ত্রী বাঁশবেড়িয়া পৌরসভার প্রশাসক পদে আছেন । আমি কোনদিনও আমার স্ত্রীর কাজে মাথা গলাই না । এমনকী, আমি পৌরসভাও সে ভাবে যাই না। আমার বিরুদ্ধে যদি কোনও দলবিরোধী কাজের যোগ থাকে, তাহলে প্রমাণ করুন ।" তিনি বলেন, তৃণমূল দল তাঁকে চাকরি দিয়েছে , তাঁর স্ত্রীকে প্রশাসকের পদের দায়িত্ব দিয়েছে। তাহলে কেনই বা তিনি এই দলের বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করবেন ৷ তিনি বলেন, "বাঁশবেড়িয়া বিধানসভার বিধায়ক তপন দাশগুপ্তকে আমি আমার অভিভাবক হিসেবে মানি । তিনিও কোনওভাবে বলতে পারবেন না, আমি অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত আছি । আমার সঙ্গে এটা অন্যায় হল, অথচ যারা দলে পদে থেকে অন্যায় করছে তাদের কিছু হল না।"