হুগলি, 17 এপ্রিল: দম্পতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে সোমবার চাঞ্চল্য ছড়াল হুগলির পোলবায় । মৃত প্রিয়জিৎ ঘোষ (24) ও স্ত্রী হুগলির সুগন্ধার পাটুল গ্রামে ভাড়া থাকতেন বলে জানা গিয়েছে । এই ঘটনায় পুলিশ দেহ উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ।
জানা গিয়েছে, মৃত প্রিয়জিৎ ও তাঁর স্ত্রী বিয়ের পর পাটুল গ্রামে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন । মূলত তাঁরা ছিলেন বলাগড়ের জিরাটের বাসিন্দা । গত মার্চ মাসে পাটুলে জয়ন্ত দে'র বাড়ি ভাড়া নেন প্রিয়জিৎ । তিনি সুগন্ধা দিল্লি রোডের পাশে একটি বিস্কুট কারখানায় কাজ করতেন । বাড়িওয়ালার বক্তব্য অনুযায়ী, গতকাল রাত সাড়ে আটটায় দু'জনে বাজার করে বাড়ি ফেরেন । সোমবার সকাল থেকে তাঁদের কোনও সারা শব্দ না পেয়ে সন্দেহ হয় বাড়িওয়ালার । সঙ্গে সঙ্গে খবর দেন পুলিশে । পোলবা থানার পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দম্পতির ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান ।
আরও পড়ুন: দম্পতির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় নয়া মোড়, মৃতার মেয়েকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাণ্ডুয়ার বেড়েলা কোঁচমালি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেড়েলা স্কুলের কাছে বাড়ি প্রিয়জিতের । তাঁর সঙ্গে এক কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল । তাতে আপত্তি ছিল মেয়ের পরিবারের । যুবকের পরিবারের আর্থিক অবস্থাও ভালো নয় । দু'বছর আগে মারা গিয়েছেন প্রিয়জিতের বাবা । পরিবারে মা ও ছেলের সংসার। প্রিয়জিতের মা লোকের বাড়িতে কাজ করে কোনও ক্রমে সংসার চালান ।
গত দশ বারো দিন আগে প্রিয়জিৎ পাশের গ্রামের এক নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে করে পালিয়ে আসেন পোলবায় । সেখানে বিয়ে করে সংসার করছিলেন তাঁরা । কিন্তু এই বিয়ে মেনে নেয়নি মেয়ের পরিবারের লোকজন । অভিযোগ, তাঁরা নাকি ছেলের বাড়িতে এসে ধমকও দিয়ে যান । পরিস্থিতি বেগতিক দেখে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান প্রিয়জিৎ ও তাঁর নাবালিকা স্ত্রী । কী কারণে আত্মহত্যা তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ । ইতিমধ্যেই পোলবা থানার পুলিশ দুই পরিবারের সদস্যদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ।