শ্রীরামপুর, 27 নভেম্বর : বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেছিলেন স্ত্রী ৷ একতরফা নিষ্পত্তি হওয়ার কথা ছিল ৷ সেই রাগেই গুলি করে খুন ৷ এই অভিযোগ উঠেছিল সুলতান আলি নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে ৷ আজ শ্রীরামপুর আদালত দোষী সাব্যস্ত করে তাকে ৷ মামলার সাজা ঘোষণা করা হয় ৷ যাবজ্জবীন সাজা দেওয়া হয় অভিযুক্তকে ৷
ঘটনাটি কোন্নগরের শ্রীনাথ ঘোষ সরণি এলাকার ৷ প্রায় এক বছরের সম্পর্ক ৷ তারপরই শুভলগ্না চক্রবর্তীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সুলতান আলির ৷ আইনি বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে । বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করে শুভলগ্না । এরপরই 2018 সালের 12 সেপ্টেম্বরের সন্ধায় প্রেমিকা শুভলগ্নার বাড়িতে চড়াও হয় সুলতান । 7mm পিস্তল থেকে শুভলগ্নার পিঠে গুলি করে সে । ঘটনাস্থানেই মৃত্যু হয় তাঁর । শুভলগ্নার বাবা ও মাকে পিস্তলের বাঁট দিয়ে আঘাত করে জখম করে । ঘটনার পর খুনের অভিযোগ দায়ের হয় সুলতানের বিরুদ্ধে । তদন্ত শুরু করে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ । আগ্নেয়াস্ত্র সহ সুলতানকে গ্রেফতার করে তদন্তকারী অফিসার । ভারতীয় দণ্ডবিধির 302/307 এবং 25 ও 27 নং ধারায় মামলা দায়ের করে পুলিশ । 14 জন সাক্ষী দেন । শ্রীরামপুর আদালতের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সেশন (সেকেন্ড) কোর্টে মামলার বিচার প্রক্রিয়া চলে । আজ বিচারক মহানন্দ দাস অভিযুক্ত সুলতান আলিকে দোষী সাব্যস্ত করেন ।
সরকার পক্ষের আইনজীবী অরূপ আগরওয়াল বলেন, "কোন্নগরে 12 ই জুলাই 2018 আইনি মতে বিয়ে করা স্ত্রীকে খুন করে সুলতান আলি নামের এক যুবক ৷ আগামী কাল সাজা ঘোষণা করবে আদালত ৷ কোন্নগরের বাসিন্দা তুষার চক্রবর্তীর মেয়ে শুভলগ্না চক্রবর্তীকে খুন করে । শুভলগ্নার সঙ্গে সুলতান বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল আগেই । শুভলগ্নার বক্তব্য ছিল তাকে ভুল বুঝিয়ে বিয়ে করেছিল সুলতান । পরবর্তীকালে অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সেশন আদালতে একটি বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা আবেদন জানায় শুভলগ্না । সেই ডিভোর্স মামলায় 26/8/2018 তারিখে একতরফা নিষ্পত্তি হওয়ার কথা ছিল । ওই দিন সন্ধ্যায় সুলতান শুভলগ্নার বাড়িতে আগে থেকেই লুকিয়েছিল । যে মুহুর্তে শুভলগ্না মোটরসাইকেল থেকে নামে, সঙ্গে সঙ্গে পিঠে গুলি করে সে । "