ETV Bharat / state

অষ্টমীর বিকেলে প্রথম দেখা, রাতেই পুজো মণ্ডপে মালা বদল

মাস দুয়েক আগে ফেসবুকে আলাপ সুদীপ ও প্রীতমার । অষ্টমীর দিন পুজো প্যান্ডেলে দেখা দু'জনের । আর তার চার ঘণ্টার মধ্যে ঢাক বাজিয়ে পুজো মণ্ডপেই বিয়ে করল দুই প্রেমিক প্রেমিকা ।

author img

By

Published : Oct 10, 2019, 11:28 PM IST

সুদীপ ও প্রীতমা

হিন্দমোটর, 10 অক্টোবর : অষ্টমীর দিন পুজো প্যান্ডেলে দেখা দু'জনের । আর তার চার ঘণ্টার মধ্যে ঢাক বাজিয়ে পুজো মণ্ডপেই বিয়ে করল দুই প্রেমিক প্রেমিকা । দুর্গার সামনে সিঁদুর পরানো, গাঁদার মালা দিয়ে হল মালা বদল । তারপর সারা পাড়া মাথায় করে ঢাকা বাজিয়ে বউ নিয়ে সটান বাড়িতে হাজির হিন্দমোটরের ঘোষ পাড়ার সুদীপ ।

ছেলের এমন কাজ দেখে প্রথমে বাবা-মা অপ্রস্তুত হলেও খুশি মনেই ঘরে তুলে নিলেন বউমা প্রীতমাকে । প্রীতমার বাড়ি শেওড়াফুলিতে । মাস দুয়েক আগে ফেসবুকে আলাপ তাদের । অষ্টমীর দিন শিয়ালদার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে সোশ্যাল মিডিয়া টাওয়ার লোকেশন দেখে ফোন । তারপরই মোটরবাইক নিয়ে হিন্দমোটরে পুজো মণ্ডপে । সেখানেই সিদ্ধান্ত বিয়ে করার । রাজি হয় প্রীতমাও ।

হিন্দমোটরের সুদীপ ঘোষালের সঙ্গে এভাবেই প্রথম দেখাতে বিয়ে হয়ে গেল শেওড়াফুলির প্রীতমা বন্দ্যোপাধ্যায় । দু'জনের ফেসবুকে পরিচয় জুলাই মাসে । ফেসবুক মেসেঞ্জারে কথা অথবা হোয়াটসঅ্যাপে কথা হত । মাঝে মধ্যে ভিডিয়ো কলও হত । তবে সামনাসামনি দেখা হয়নি কোনও দিন । প্রথম দেখা হওয়ার পর বন্ধুরাই বলেছিল, দুর্গাকে স্বাক্ষী রেখে বিয়ে করার কথা । যেমন বলা তেমন কাজ । কোনও পুরোহিত ছাড়া পাড়ার দুর্গাপুজো মণ্ডপে মা দুর্গার সামনে ঢাক বাজিয়ে চার হাত এক হয় । তারপর বাজনা বাজিয়েই রীতিমতো শোভাযাত্রা করে বর-বৌকে বাড়ি পৌঁছে দেয় বন্ধুরাই ।

hindmotor
বিয়ের পর সুদীপ ও প্রীতমা

সুদীপ পেশায় মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ । সে বলে, "এটা একটা অন্যরকম অনুভূতি । বিশ্বাস করতে পারিনি এত বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলব । আমরা দু'জনেই খুব খুশি । যেটা চেয়েছিলাম, সেটা করেছি । ফেসবুকে কমন বন্ধুর থেকে দু'জনের আলাপ । কোনওদিনই আমাদের দেখা হয়নি । অষ্টমীর দিন বের হওয়ার প্ল্যান করি । কিন্তু হঠাৎ সোশ্যাল মিডিয়ার টাওয়ার লোকেশনে দেখি আমরা দু'জনেই সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে যাচ্ছি । সেখানেই প্রথম দেখা আমাদের । তারপরই প্রপোজ় করি আমি । বন্ধুদের প্রস্তাব মতো পাড়ার মণ্ডপে চলে আসি । বাইকে করে আসার সময় ঠিক করি আমরা বিয়ে করব । যদিও এত তাড়া ছিল না । কিন্তু বিয়ে করে ফেলি ।

Hindmotor marriage
বন্ধুদের সঙ্গে বিয়ের পর ছবি তোলায় মেতে দু'জন

নববধূ প্রীতমা বলে আমার বাড়িতে জানে । প্রথম প্রথম এসেছি, মানিয়ে নিতে একটু সমস্যা হচ্ছে । দুর্গার আর্শীবাদে সুদীপকে পেয়েছি । এবার বাবা-মার আর্শীবাদের অপেক্ষা । তাঁদের আর্শীবাদে ছাড়া কিছুই সম্পূর্ণ নয় ।

হিন্দমোটর, 10 অক্টোবর : অষ্টমীর দিন পুজো প্যান্ডেলে দেখা দু'জনের । আর তার চার ঘণ্টার মধ্যে ঢাক বাজিয়ে পুজো মণ্ডপেই বিয়ে করল দুই প্রেমিক প্রেমিকা । দুর্গার সামনে সিঁদুর পরানো, গাঁদার মালা দিয়ে হল মালা বদল । তারপর সারা পাড়া মাথায় করে ঢাকা বাজিয়ে বউ নিয়ে সটান বাড়িতে হাজির হিন্দমোটরের ঘোষ পাড়ার সুদীপ ।

ছেলের এমন কাজ দেখে প্রথমে বাবা-মা অপ্রস্তুত হলেও খুশি মনেই ঘরে তুলে নিলেন বউমা প্রীতমাকে । প্রীতমার বাড়ি শেওড়াফুলিতে । মাস দুয়েক আগে ফেসবুকে আলাপ তাদের । অষ্টমীর দিন শিয়ালদার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে সোশ্যাল মিডিয়া টাওয়ার লোকেশন দেখে ফোন । তারপরই মোটরবাইক নিয়ে হিন্দমোটরে পুজো মণ্ডপে । সেখানেই সিদ্ধান্ত বিয়ে করার । রাজি হয় প্রীতমাও ।

হিন্দমোটরের সুদীপ ঘোষালের সঙ্গে এভাবেই প্রথম দেখাতে বিয়ে হয়ে গেল শেওড়াফুলির প্রীতমা বন্দ্যোপাধ্যায় । দু'জনের ফেসবুকে পরিচয় জুলাই মাসে । ফেসবুক মেসেঞ্জারে কথা অথবা হোয়াটসঅ্যাপে কথা হত । মাঝে মধ্যে ভিডিয়ো কলও হত । তবে সামনাসামনি দেখা হয়নি কোনও দিন । প্রথম দেখা হওয়ার পর বন্ধুরাই বলেছিল, দুর্গাকে স্বাক্ষী রেখে বিয়ে করার কথা । যেমন বলা তেমন কাজ । কোনও পুরোহিত ছাড়া পাড়ার দুর্গাপুজো মণ্ডপে মা দুর্গার সামনে ঢাক বাজিয়ে চার হাত এক হয় । তারপর বাজনা বাজিয়েই রীতিমতো শোভাযাত্রা করে বর-বৌকে বাড়ি পৌঁছে দেয় বন্ধুরাই ।

hindmotor
বিয়ের পর সুদীপ ও প্রীতমা

সুদীপ পেশায় মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ । সে বলে, "এটা একটা অন্যরকম অনুভূতি । বিশ্বাস করতে পারিনি এত বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলব । আমরা দু'জনেই খুব খুশি । যেটা চেয়েছিলাম, সেটা করেছি । ফেসবুকে কমন বন্ধুর থেকে দু'জনের আলাপ । কোনওদিনই আমাদের দেখা হয়নি । অষ্টমীর দিন বের হওয়ার প্ল্যান করি । কিন্তু হঠাৎ সোশ্যাল মিডিয়ার টাওয়ার লোকেশনে দেখি আমরা দু'জনেই সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে যাচ্ছি । সেখানেই প্রথম দেখা আমাদের । তারপরই প্রপোজ় করি আমি । বন্ধুদের প্রস্তাব মতো পাড়ার মণ্ডপে চলে আসি । বাইকে করে আসার সময় ঠিক করি আমরা বিয়ে করব । যদিও এত তাড়া ছিল না । কিন্তু বিয়ে করে ফেলি ।

Hindmotor marriage
বন্ধুদের সঙ্গে বিয়ের পর ছবি তোলায় মেতে দু'জন

নববধূ প্রীতমা বলে আমার বাড়িতে জানে । প্রথম প্রথম এসেছি, মানিয়ে নিতে একটু সমস্যা হচ্ছে । দুর্গার আর্শীবাদে সুদীপকে পেয়েছি । এবার বাবা-মার আর্শীবাদের অপেক্ষা । তাঁদের আর্শীবাদে ছাড়া কিছুই সম্পূর্ণ নয় ।

Intro:অষ্টমীর দিন পুজো প্যান্ডেলে দেখা দুজনের।আর তার চার ঘন্টার মধ্যে ঢাক বাজিয়ে পুজো মন্ডপেই বিয়ে করল দুই প্রেমিক প্রেমিকা।মন্ডপের মা দুর্গার কাছে সিঁদুর নিয়ে গাঁধা মালা দিয়ে মালা বদল।তারপর সারা পাড়া মাথায় করে ঢাকা বাজিয়ে বউ নিয়ে বাড়িতে সটান হাজির হিন্দ মোটরের ঘোষ পাড়ার নিজের বাড়ি সুদীপ।প্রথমে বাবা মা অপ্রস্তুত থাকলেও খুশি মনেই ঘরে তুলে নিলেন বৌমা প্রীতমা কে।প্রীতমার বাড়ি শেওড়াফুলিতে।গত দু মাস আগে ফেসবুকে আলাপ তাদের।অষ্টমীর দিন শিয়ালদার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে সোশ্যাল মিডিয়া টাওয়ার লোকেশন দেখে ফোন।তারপরই মোটর বাইকে করে হিন্দ মোটর পুজো মন্ডপে।সেখানেই সিদ্ধান্ত থেকেই বিয়ে করার।রাজি হয় প্রীতমাও।
হিন্দমোটরের সুদীপ ঘোষালের সঙ্গে এভাবেই প্রথম দেখাতে বিয়ে হয়ে গেলো শেওড়াফুলির
প্রীতমা ব্যানার্জীর।দুজনের
ফেসবুকে পরিচয় জুলাই মাসে।ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে কথা অথবা হোয়াটসঅ্যাপ এ কথা হতো।মাঝে মধ্যে ভিডিও কলও হতো।তবে সামনাসামনি দেখা হয়নি কোনো দিন।বিয়ে যে তখনই হবে এমনটা ভাবেননি তারা।বন্ধুরাই বলে তাহলে আজই হয়ে যাক মা দুর্গাকে স্বাক্ষী রেখে।যেমন বলা তেমন কাজ।।কোনো পুরোহিত ছাড়া পাড়ার দুর্গা পুজো মণ্ডপে মা দুর্গার সামনে ঢাক বাজিয়ে চার হাত এক হয়।তারপর বাজনা বাজিয়েই রীতিমতো প্রসেশান করে বর বৌকে বাড়ি পৌঁছে দেন বন্ধুরাই।Body:WB_HGL_HINDMOTOR MARRIGE_7203418Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.