আরামবাগ, 14 অগস্ট: ছেলের গ্রেফতারির খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন । নিজেকে সামলেই পরে দাবি করেন, তাঁর ছেলে যাদবপুর পড়ুয়ার ছাত্র মৃত্যুতে জড়িত নন । শনিবার রাতেই নিজের গ্রেফতারির খবর বাবা শান্তিনাথ ঘোষকে ফোন করে বলেন যাদবপুর ছাত্রমৃত্যুতে ধৃত মনোতোষ । পরিবারের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে মনোতোষ কোনও ভাবেই জড়িত নয় ।
যাদবপুরের প্রথম বর্ষের পডুয়া রহস্য মৃত্যুতে আগেই গ্রেফতার হয়েছে সৌরভ চৌধুরী ৷ তাকে জেরা করেই উঠে এসেছে আরও দুই পড়ুয়া মনোতোষ ঘোষ ও দীপশেখর দত্তের নাম ৷ এই রহস্যমৃত্যুর তদন্তে আরও নাম উঠে আসতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা ৷ মনোতোষ আরামবাগের বাসিন্দা ৷ সমাজবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ৷
অভিযুক্ত মনোতোষের বাবা শান্তিনাথ জানান, তাঁর ছেলে ওই পডুয়ার মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত নয় ৷ বারবার ফোনে এই নিয়ে ছেলের সঙ্গে কথাও হয়েছে তাঁর ৷ তবে মনোতোষের বাবা-মার কথাতেই বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে । সরাসরি ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ না করলেও, তাঁদের ছেলেকেও সিনিয়ারদের কথামতো চলতে হতো বলে জানান ৷ কখনও সিনিয়রদের কথা মত জলের বোতল এনে দিতে হতো আবার কখনও সিনিয়রদের কথাতেই মাথার চুল ছোট করে কাটতে হত ছাত্রদের । এমনকী প্রথমবর্ষে ওই পড়ুয়াকে হস্টেলে মনোতোষদের রুমেই রাখতে হয়েছিল একদিন । সেই থেকেই ওই পডুয়ার সঙ্গে মনোতোষের পরিচয় হয় ৷ এর বেশি আর কোনও ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয় মনোতোষ, এমনটাই দাবি পরিবারের ।
আরও পড়ুন: যাদবপুরকাণ্ডে ধৃত 2 পড়ুয়ার পুলিশি হেফাজত, আলোচনায় রহস্যময় চিঠি
যাদবপুরের পড়ুয়ার রহস্য মৃত্যুতে নাম উঠে আসছে একাধিক সিনিয়রের ৷ মৃতের ছাত্রের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে সৌরভকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতেই বেশ কিছু ছাত্রের নাম জানতে পারে পুলিশ ৷ অভিযুক্ত সৌরভ চৌধুরীর 10 দিন এবং মনোতোষ ও দীপ শেখরের 9 দিনের পুিলিশ হেফাজত ৷