ETV Bharat / state

Child Death in Hooghly: পোলবায় অ্যাডিনো ভাইরাসের বলি 9 মাসের সুস্মিতা ? হাসপাতালের দাবি, নিউমোনিয়া

হুগলির পোলবায় 9 মাসের শিশুর মৃত্যু ৷ অ্য়াডিনো ভাইরাসকেই দায়ী করছে পরিবার (Child Died by Adenovirus) ৷ চিকিৎসকরা বলছেন নিউমোনিয়া ৷

family members claim nine month old child died by Adenovirus in Hooghly
হুগলিতে শিশুর মৃত্যু
author img

By

Published : Feb 27, 2023, 10:05 PM IST

পরিবারের কাঠগড়ায় অ্য়াডিনো ভাইরাস

হুগলি, 27 ফেব্রুয়ারি: হুগলির বাসিন্দা এক শিশুর মৃত্যুতে কাঠগড়ায় অ্য়াডিনো ভাইরাস ! পরিবারের সদস্যদের আশঙ্কা, অ্য়াডিনো ভাইরাসে আক্রন্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে হুগলির পোলবার মহেশপুর গ্রামের বাসিন্দা সুস্মিতা মণ্ডলের (Child Died by Adenovirus) ৷ সুস্মিতার বয়স মাত্র 9 মাস ৷ যদিও তার মৃত্যুর শংসাপত্রে অ্য়াডিনো ভাইরাসের উল্লেখ নেই বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা ৷ বদলে মৃত্যুর কারণ হিসাবে নিউমোনিয়ার উল্লেখ রয়েছে ৷

সুস্মিতার মামা প্রভাংশু বিশ্বাস জানিয়েছেন, তাঁর ভাগ্নির বুকে সর্দি বসে 'নিউমোনিয়া মতো' হয়েছিল ৷ প্রথমে তাকে চুঁচুড়া হাসপাতালে ভরতি করা হয় ৷ এরপর গত সোমবার আরও ভালো চিকিৎসার জন্য কলকাতার মেডিক্য়াল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয় শিশুটিকে ৷ সেখানেই আটদিনের মাথায় (27 ফেব্রুয়ারি, 2023) মৃত্যু হয় ছোট্ট সুস্মিতার ৷ এই প্রসঙ্গে প্রভাংশু বলেন, "আমাদের সেভাবে কিছু বলেননি চিকিৎসকরা ৷ 1 লক্ষ টাকার একটি ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিল ৷ আমার ভাগ্নির ফুসফুস একবারেই কাজ করছিল না ৷ ইনজেকশন দিয়েও কোনও লাভ হয়নি ৷ শ্বাসকষ্ট ক্রমশ বাড়ছিল ৷ হৃদস্পন্দন কমছিল ৷ শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো যায়নি ৷"

আরও পড়ুন: শহরে অ্যাডিনো ভাইরাস মোকাবিলায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক কলকাতা পৌরনিগমে

প্রসঙ্গত, হুগলি জেলায় অ্য়াডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে ৷ শিশুদের মধ্যে বাড়ছে জ্বর, সর্দি, কাশির মতো উপসর্গও ৷ এই প্রসঙ্গে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভুঁইয়া জানিয়েছেন, হুগলিতে এখনও পর্যন্ত জ্বরে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা 304 ৷ এদের মধ্য়ে জেলা হাসপাতালে ভরতি রয়েছে 9 জন ৷ এছাড়াও, শ্রীরামপুরে 11 জন, আরামবাগে 28 জন ভর্তি রয়েছে হাসপাতালে ৷ প্রতিদিন ব্লকগুলি থেকে আক্রান্তের পরিসংখ্যান নেওয়া হচ্ছে ৷ আরামবাগে জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন শিশুর সংখ্য়া সবথেকে বেশি ৷

সিএমওএইচ আরও জানান, প্রশাসন পরিস্থিতির উপর সর্বদা নজর রাখছে ৷ ইতিমধ্য়েই অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক করা হয়েছে ৷ ব্লক, মহকুমা ও জেলা হাসপাতালগুলিকে তৎপরতা ও পারস্পরিক সমন্বয়ের ভিত্তিতে কাজ করতে বলা হয়েছে ৷ করোনার মতোই এখানেও আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে ৷ সেই ওয়ার্ডে শিশুর সঙ্গে মায়েরও থাকার বন্দোবস্ত করতে বলা হয়েছে ৷

রমা মনে করেন, এই সময় আবহাওয়ার পরিবর্তনের জেরে ভাইরাসঘটিত রোগের প্রকোপ বাড়ে ৷ অন্যান্য় ভাইরাসের পাশাপাশি অ্য়াডিনো ভাইরাসেরও উপস্থিতি চোখে পড়ছে ৷ এর মোকাবিলায় বেশি করে জলপান ও পর্যাপ্ত পরিমাণে সুষম আহারের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা ৷ সঙ্গে দরকার নিয়মিত ভালো ঘুম ৷ কারণ, শরীর দুর্বল হলে ভাইরাসের কবল থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন ৷

পরিবারের কাঠগড়ায় অ্য়াডিনো ভাইরাস

হুগলি, 27 ফেব্রুয়ারি: হুগলির বাসিন্দা এক শিশুর মৃত্যুতে কাঠগড়ায় অ্য়াডিনো ভাইরাস ! পরিবারের সদস্যদের আশঙ্কা, অ্য়াডিনো ভাইরাসে আক্রন্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে হুগলির পোলবার মহেশপুর গ্রামের বাসিন্দা সুস্মিতা মণ্ডলের (Child Died by Adenovirus) ৷ সুস্মিতার বয়স মাত্র 9 মাস ৷ যদিও তার মৃত্যুর শংসাপত্রে অ্য়াডিনো ভাইরাসের উল্লেখ নেই বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা ৷ বদলে মৃত্যুর কারণ হিসাবে নিউমোনিয়ার উল্লেখ রয়েছে ৷

সুস্মিতার মামা প্রভাংশু বিশ্বাস জানিয়েছেন, তাঁর ভাগ্নির বুকে সর্দি বসে 'নিউমোনিয়া মতো' হয়েছিল ৷ প্রথমে তাকে চুঁচুড়া হাসপাতালে ভরতি করা হয় ৷ এরপর গত সোমবার আরও ভালো চিকিৎসার জন্য কলকাতার মেডিক্য়াল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয় শিশুটিকে ৷ সেখানেই আটদিনের মাথায় (27 ফেব্রুয়ারি, 2023) মৃত্যু হয় ছোট্ট সুস্মিতার ৷ এই প্রসঙ্গে প্রভাংশু বলেন, "আমাদের সেভাবে কিছু বলেননি চিকিৎসকরা ৷ 1 লক্ষ টাকার একটি ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিল ৷ আমার ভাগ্নির ফুসফুস একবারেই কাজ করছিল না ৷ ইনজেকশন দিয়েও কোনও লাভ হয়নি ৷ শ্বাসকষ্ট ক্রমশ বাড়ছিল ৷ হৃদস্পন্দন কমছিল ৷ শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো যায়নি ৷"

আরও পড়ুন: শহরে অ্যাডিনো ভাইরাস মোকাবিলায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক কলকাতা পৌরনিগমে

প্রসঙ্গত, হুগলি জেলায় অ্য়াডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে ৷ শিশুদের মধ্যে বাড়ছে জ্বর, সর্দি, কাশির মতো উপসর্গও ৷ এই প্রসঙ্গে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভুঁইয়া জানিয়েছেন, হুগলিতে এখনও পর্যন্ত জ্বরে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা 304 ৷ এদের মধ্য়ে জেলা হাসপাতালে ভরতি রয়েছে 9 জন ৷ এছাড়াও, শ্রীরামপুরে 11 জন, আরামবাগে 28 জন ভর্তি রয়েছে হাসপাতালে ৷ প্রতিদিন ব্লকগুলি থেকে আক্রান্তের পরিসংখ্যান নেওয়া হচ্ছে ৷ আরামবাগে জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন শিশুর সংখ্য়া সবথেকে বেশি ৷

সিএমওএইচ আরও জানান, প্রশাসন পরিস্থিতির উপর সর্বদা নজর রাখছে ৷ ইতিমধ্য়েই অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক করা হয়েছে ৷ ব্লক, মহকুমা ও জেলা হাসপাতালগুলিকে তৎপরতা ও পারস্পরিক সমন্বয়ের ভিত্তিতে কাজ করতে বলা হয়েছে ৷ করোনার মতোই এখানেও আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে ৷ সেই ওয়ার্ডে শিশুর সঙ্গে মায়েরও থাকার বন্দোবস্ত করতে বলা হয়েছে ৷

রমা মনে করেন, এই সময় আবহাওয়ার পরিবর্তনের জেরে ভাইরাসঘটিত রোগের প্রকোপ বাড়ে ৷ অন্যান্য় ভাইরাসের পাশাপাশি অ্য়াডিনো ভাইরাসেরও উপস্থিতি চোখে পড়ছে ৷ এর মোকাবিলায় বেশি করে জলপান ও পর্যাপ্ত পরিমাণে সুষম আহারের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা ৷ সঙ্গে দরকার নিয়মিত ভালো ঘুম ৷ কারণ, শরীর দুর্বল হলে ভাইরাসের কবল থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.