গৌরীকুণ্ড ও হুগলি, 19 অক্টোবর : 2013 সালে উত্তরাখণ্ডের বন্যায় কেদারনাথের ভয়াবহতা এখনও মানুষের মনে জীবন্ত ৷ তবে ভ্রমণ পিপাসু বাঙালির কেদার দর্শন থেমে নেই ৷ কিন্তু কেদারনাথ ঘুরতে গিয়ে প্রবল বৃষ্টি ও ধসের কারণে আটকে পড়লেন বাংলার আট পর্যটক ৷ হুগলির চুঁচুড়া পুরসভার 29 নম্বর ওয়ার্ড বুড়ো শিববতলার বাসিন্দা চুমকি রায় কেদারনাথ থেকেই তাঁর ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানান ৷
চুমকি রায় বলেন, "আমরা আটকে পড়েছি ৷ একদিন হেলিপ্যাডে রাত কাটিয়েছি ৷ হেলিকপ্টারের জন্য অপেক্ষায় আছি ৷ আপাতত দ্বিগুণ টাকা দিয়ে লজ ভাড়া করে আছি ৷ পানীয় জলের সমস্যা আছে ৷ অনেকে ঝুঁকি নিয়েই এখান থেকে বেরিয়েছেন ৷ ধসের কারণে পাথর পড়ছে । গৌরীকুণ্ড থেকেও আর পর্যটকদের আস্তে দেওয়া হচ্ছে না । যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। আমরা অনেকেই আটকে পড়েছি।"
গত 15 অক্টোবর পূর্বা এক্সপ্রেসে রওনা হয়ে 17 তারিখ কেদারে পৌঁছন চুমকি রায়, তাঁর স্বামী বিশ্বজিৎ রায় ও তাঁদের মেয়ে অন্বেষা ৷ তাঁদের সঙ্গে আরও দু'জন অরিজিৎ শীল ও সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় ছিলেন ৷ ভারী বৃষ্টি আর ঝড় শুরু হতেই ধস নামে পাহাড়ে ৷ অরিজিৎ ও সত্যব্রতবাবু ঝুঁকি নিয়ে গৌরীকুণ্ড নেমে চলে আসতে পারলেও চুমকি দেবীর পরিবার নামতে পারেনি ৷ তাই আশঙ্কায় রয়েছেন চুমকি ও বিশ্বজিৎবাবুর আত্মীয়রা ৷
আরও পড়ুন : ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের স্মৃতি বুকে চেপে 8 বছর পার কেদারনাথের
ভারী বৃষ্টিপাতের সঙ্গে চলছে ঝড় ৷ ফলে উদ্ধারকাজ বাধা পাচ্ছে । কেদারনাথে যে হেলিকপ্টার সার্ভিস ছিল, তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার পর্যটক আটকে রয়েছেন কেদারে ৷ চুমকি দেবীদের কেদার থেকে বদ্রীনাথ গুপ্তকাশি হয়ে লখনউ পৌঁছে 24 তারিখ ফেরার কথা ছিল । কিন্তু খারাপ আবহাওয়া ও দুর্যোগের কারণে খুব খারাপ অবস্থা পর্যটকদের ৷ বর্তমানে অসহায় বাঙালি পরিবারগুলি ৷ পর্যটকদের কথা অনুযায়ী প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ঘোড়া ও বেশ কিছু মানুষের মৃত্যু হয়েছে।