হুগলি, 23 জুন: সমাজ জীবনে থেকে বিনোদনের পর্দা ছাড়িয়ে এবার ভোটের ময়দানে শাশুড়ি-বৌমার লড়়াই । তবে এই লড়াই উন্নয়নের স্বার্থে, এই লড়াই দশের ভালো করার স্বার্থে । ফলে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে হুগলির পাণ্ডয়া সাক্ষী থাকতে চলেছে শাশুড়ি ও বৌমার অন্যরকম ভোটের লড়াই দেখতে ।
পান্ডুয়ায় সিমলাগড় ভিটাসিন গ্রাম পঞ্চায়েতের 110 নম্বর বুথে শাশুড়ি লক্ষ্মীরানি মাণ্ডি হলেন সিপিআইএম প্রার্থী। আর বৌমা সোনালি মাণ্ডি বিজেপির প্রার্থী হয়ে একই বুথে পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়ছেন। সম্পর্কে লক্ষ্মীরানি সোনালির খুড়তুতো শাশুড়ি। পাশাপাশি বাড়িতেই থাকেন তাঁরা। পরিবারে মধ্যে যথেষ্ট ভালো সম্পর্ক থাকলেও রাজনৈতিক মতাদর্শ আলাদা। ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রত্যেকে তাঁদের দলীয় দাবিকে সামনে রেখেই ভোট প্রচারে নেমেছেন শাশুড়ি-বৌমা ।
সেই দাবিতে যেমন রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের একশো দিনের কাজ, তেমনি রয়েছে পানীয় জল ও পাকা রাস্তার দাবি। ভোটের ময়দানে সম্পর্ক যেমনই হোক না কেন, লক্ষ্মীরানি মাণ্ডি সম্পর্কে বড় । তাই রাজনৈতিক মতানৈক্য সরিয়ে প্রচারে বেরিয়ে শাশুড়ির কাছ থেকে আর্শীবাদও নেন বৌমা সোনালি। লক্ষ্য একটাই গ্রামের উন্নতি সাধন করা।
বিজেপি প্রার্থী বৌমা সোনালি মাণ্ডি বলেন, "আমার সঙ্গে শাশুড়ির সম্পর্ক ভালোই । জয়ের জন্য আমাকে আশীর্বাদও করেছেন। রাজনৈতিক বিষয়টা বাইরের । সেটা ঘরে টেনে নিয়ে আসা ঠিক হবে না । তাই আগামিদিনেও যাতে সম্পর্ক ভালো থাকে সেই চেষ্টাই আমরা করব। অবশ্যই আমি জয়ী হব। জয়ী হলে গ্রামের পানীয় জলের সমস্যা দূর করার চেষ্টা করব। এছাড়াও ঢালাই রাস্তা হয়নি, সেটাও করব।"
আরও পড়ুন: আদালতের নির্দেশ মানা হচ্ছে কি না জানতে কমিশনকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
সিপিআইএম প্রার্থী লক্ষ্মীরানি মাণ্ডি বলেন, "বৌমার সঙ্গে সম্পর্ক খুবই ভালো। বৌমা তার মতো লড়ছে, আমি আমার মতো প্রচার করছি । জয়ী হলে সকলের জন্য কাজ করব। গরিব মানুষের পাশে দাঁড়াব। সকলে যাতে একশো দিনের কাজ ও আবাস যোজনার ঘর পায় তার জন্য চেষ্টা করব। রাস্তা থেকে পানীয় জল ও আলোর ব্যবস্থা করব। বৌমাকেও বলব পাশে থাকার জন্য । দু'জনেই জেতার চেষ্টা করব। তবে আমি আশা করছি জেতার।"