হুগলি, 13 জুলাই : হুগলি জেলায় কমেছে করোনার দৈনিক টিকাকরণের হার ৷ এখন প্রতিদিন 15 হাজার থেকে 16 হাজার মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে ৷ এমনই জানিয়েছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী ৷ তাঁর দাবি, টিকার জোগান কমে যাওয়াতেই কমেছে দৈনিক টিকাকরণের হার ৷ আগে এর অন্তত দ্বিগুণ পরিমাণ মানুষকে এক-একদিনে করোনার টিকা দেওয়া হত ৷
আরও পড়ুন : করোনার তৃতীয় ঢেউ দুশ্চিন্তায় ফেলেছে চন্দননগর কুমোর পাড়ার মৃৎশিল্পীদের
প্রশাসনিক সূত্র খবর, এখনও পর্যন্ত জেলার প্রায় 14 লাখ 50 হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে ৷ টিকাকরণের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় দফার ডোজকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে ৷ ধীরে ধীরে বাড়ানো হচ্ছে টিকার জোগান ৷ পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকা হাতে এলেই প্রথম দফার ডোজের সংখ্যা বাড়ানো হবে ৷
আরও পড়ুন : করোনায় বিপন্ন বাংলার লোকশিল্প, কর্মহীন চন্দননগর ব্রতচারীর শিল্পীরাও
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আগে প্রতিদিন 25 হাজার থেকে 30 হাজার মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছিল ৷ এখন প্রতিদিন 15 হাজার থেকে 16 হাজার মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে ৷ যা চাহিদার তুলনায় অনেকটাই কম ৷’’ সিএমওএইচ জানিয়েছেন, ‘‘মোট যে পরিমাণ টিকা আসছে, তার 60 শতাংশই দ্বিতীয় ডোজের জন্য রেখে দেওয়া হচ্ছে ৷ তাছাড়া, টিকাকরণের ক্ষেত্রে সুপার স্প্রেডারদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে ৷ যাঁরা বিদেশে চাকরি বা পড়াশোনোর জন্য যাচ্ছেন, তাঁরাও এই অগ্রাধিকার পাচ্ছেন ৷ এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্যই হল, যাঁরা ইতিমধ্যেই করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাঁদের দ্বিতীয় ডোজও দিয়ে দেওয়া ৷ না হলে প্রথম ডোজ নেওয়াটাই বৃথা হবে ৷ আমাদের আশা, খুব শীঘ্রই আমরা সকলকে দ্বিতীয় ডোজ দিয়ে দিতে পারব ৷ তারপরই ফের প্রথম ডোজ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে ৷’’