হুগলি, 24 সেপ্টেম্বর : আবারও মিড ডে মিল দুর্নীতি ৷ চুঁচুড়ার বালিকা বাণীমন্দিরের পর এবার সিঙ্গুরের নসিবপুর উচ্চ বিদ্যালয়৷ অভিযোগ, গত সাত মাস ধরে পড়ুয়াদের পোকা ভরা চালের ভাত দিচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ ৷ অভিযোগ পেয়েই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বিদ্যালয়ে আসেন স্কুল পরিদর্শক পার্থ দে ৷ অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ৷
স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্য ও সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের অভিযোগ, দীর্ঘ সাত মাস ধরে স্কুলে মিড ডে মিলে পচা চাল এবং পোকা ভরতি চালের ভাত দেওয়া হচ্ছে পড়ুয়াদের ৷ স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক ও পরিচালন সমিতির সভাপতি এই ঘটনায় দায়ী ৷ যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি মদনমোহন কোলে ৷ বলেন, "এখানে কোনও অসঙ্গতি নেই ৷ কয়েক বস্তা চালে হয়তো পোকা ধরেছে৷ তবে সেগুলো পুনরায় ফেরত পাঠিয়ে ভালো চাল আনা হবে ৷ "
আরও পড়ুন : খবর প্রকাশের পর রাতারাতি মেনুর পরিবর্তন, পড়ুয়াদের পাতে ডিম, ভাত
বর্তমানে স্কুলে মজুত 83 বস্তা চালে পোকায় ভর্তি এবং তা খাওয়ার অযোগ্য ৷ পড়ুয়াদের পক্ষেও তা অস্বাস্থ্যকর বলে মনে করেন স্কুল পরিদর্শক এবং নবনিযুক্ত প্রধান শিক্ষক৷ পোকাধরা চাল যতদিন না পালটানো হয়, ততদিন মিড ডে মিল বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন খোদ পঞ্চায়েত সদস্য ৷ যত দ্রুত সম্ভব মিড ডে মিলের চাল বদলানো হবে বলে জানিয়েছেন সিঙ্গুর ব্লকের স্কুল পরিদর্শক পার্থ দে ৷ পোকা থাকার কারণে চাল বাছাই করতে ও ধোওয়ায় অনেক সময় যাচ্ছে রাঁধুনিদের ৷ চাল ধোওয়ার পরও পোকা যাচ্ছে না ৷ তাই পোকাধরা চালের ভাতই দেওয়া হচ্ছে পড়ুয়াদের ৷ ফলে খাবারের গুণগত মান কমার পাশাপাশি পড়ুয়াদের শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷
সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য শম্ভুনাথ ঘোষ বলেন, "স্কুলের অভিভাবকদের অভিযোগ দীর্ঘ সাত মাস ধরে পোকাধরা চালের ভাত দেওয়া হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের ৷ স্কুল কমিটির সভাপতি এবং স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে এই পোকাধরা চালের ভাত দেওয়া হচ্ছে ৷ রাঁধুনিরা বারবার অভিযোগ জানালে তাঁদের ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে রাখা হচ্ছে ৷ আমাদের দাবি, ভালো চাল খাওয়াতে হবে ছাত্রছাত্রীদের ৷ না হলে স্কুলে মিড-ডে মিল বন্ধ রাখতে হবে ৷''
স্কুলের নবনিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পিন্টুকুমার মণ্ডল বলেন, "কয়েকদিন আগে স্কুলের দায়িত্ব নিয়েছি ৷ নিজে দেখেছি এবং বিষয়টি নিয়ে অভিযোগও জানিয়েছি ৷ এই চাল খেলে পড়ুয়ারা অসুস্থ হয়ে পড়বে৷ স্কুল পরিদর্শক দপ্তর থেকে যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সেটাই কার্যকর করা হবে ৷"