হুগলি, 18 মার্চ : কোরোনা আতঙ্কে হুগলিতে বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহ বন্ধের নির্দেশ দিল প্রশাসন ৷ যার ফলে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে সাংস্কৃতিক সংস্থাগুলি ও সংস্কৃতিমনস্করা ৷
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, রাজ্যে বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহগুলি বন্ধ রাখতে হবে । সেই নির্দেশ অনুযায়ী চন্দননগরের রবীন্দ্রভবনসহ একাধিক প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ করে দেয় হুগলি প্রশাসন । সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী 31 মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে প্রেক্ষাগৃহগুলি ৷ এক জায়গায় বহু মানুষের সমাগম থেকে রেহাই পাওয়ার জন্যই এই নির্দেশিকা । ফলে, জেলার সরকারি ও বেসরকারি অনুষ্ঠানগুলি বাতিল করতে বাধ্য হচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা । অনুষ্ঠান বাতিলের ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে । একদিকে যেমন পুনরায় অনুষ্ঠানের জন্য খরচের পরিমাণ বাড়ছে । অন্যদিকে, এই অনুষ্ঠান বাতিল হওয়ার ফলে রুটি-রুজি হারাচ্ছেন বহু মানুষ । এমনিতেই কোরানা আতঙ্কে বন্ধ হয়েছে স্কুল-কলেজ আদালত । বিভিন্ন জায়গায় বন্ধ থাকার ফলে ক্ষতির মুখে পড়ছে ছোটো ব্যবসায়ীরা । রেহাই নেই চন্দননগর রবীন্দ্রভবনের মহিলা পরিচালিত ক্যান্টিনেরও । এর উপর নির্ভর করেই চলে তাঁদের সংসার । আর এই কোরোনা আতঙ্কে কর্মহীন হতে হবে তাঁদের মতো বহু মানুষকে ।
চন্দননগরের এক সংস্থার তরফে কৌশিক দত্ত বলেন, " গত 28 মার্চ দেবশংকর হালদার ও শুভাশিস মুখোপাধ্যায় অভিনীত একটি নাটক মঞ্চস্থ হওয়ার কথা ছিল । কোরোনার আতঙ্কে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী অনুষ্ঠান বাতিল করতে বাধ্য হই । তবে নতুন করে আবার অনুষ্ঠান করলে প্রচারে খরচ বাড়বে । জেলায় প্রেক্ষাগৃহগুলিতে নির্দিষ্ট দিনে সরকারি অনুষ্ঠান ছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল । কিন্তু কোরোনার কারণে সেগুলি পিছিয়ে গেছে । "
রবীন্দ্রভবন কর্তৃপক্ষ ও চন্দননগরের SDICO সমশ্রী পাল বলেন, "তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের জ্যোতিরিন্দ্র প্রেক্ষাগৃহতে কোরোনার জন্য সমস্ত রকম অনুষ্ঠান বাতিল করা হয় । ইতিমধ্যে 31 মার্চ পর্যন্ত 10টি অনুষ্ঠান বাতিল হয়েছে । তবে তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের আধিকারিক জানিয়েছেন, অন্য যে কোনও দিন অনুষ্ঠান করলে কোনও অতিরিক্ত খরচ নেওয়া হবে না ।"
পৌরনিগমের ক্যান্টিনের এক মহিলা কর্মী করুণা মণ্ডল বলেন, "অনুষ্ঠান ছাড়াও স্কুল-কলেজ, আদালত থেকে মানুষজন খাওয়া-দাওয়ার জন্য এখানে আসতেন । যদি সবই বন্ধ হয়ে যায় তাহলে আমাদের রুটি-রুজির উপর হাত পড়বে । আর ক্যান্টিন বন্ধ হয়ে গেলে আমাদের রোজগারও বন্ধ হয়ে যাবে ।" ক্যান্টিনের জন্য কাঁচামাল কেনা হয়েছিল । তাও নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি ।