চন্দননগর, 10 জুন : মদের দাম মেটানোকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ, বোমাবাজি ৷ ঘটনা ঘিরে বুধবার রাতে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হুগলির চন্দননগরের নিচুপট্টি ও উর্দি বাজার এলাকা ৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গভীর রাত পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে ইট, কাচের বোতল ছোড়াছুড়ি হয় ৷ দোকানপাট ভাঙচুর করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় ৷ ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি গাড়িও ৷ পরে চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ৷
বুধবার রাতের এই ঘটনার পরই চন্দননগর পুলিশের তরফে 5, 6, 7, 11 এবং 12 নম্বর ওয়ার্ডে 144 ধারা জারি করা হয় ৷ স্থানীয় লক্ষ্মীগঞ্জ বাজার, নিচুপট্টি, চাউলপট্টি, উর্দি বাজার, বিন্দুবাসিনী পাড়ায় সব দোকানপাট বন্ধ রাখতে বলা হয় ৷ এলাকা শান্ত রাখতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই চলছে মাইকিং ৷ বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে ৷ প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কোনও দোকান খোলা যাবে না বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷
সকলে প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলছেন কিনা, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে এলাকায় ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে ৷ বুধবার রাতের ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ অন্যদিকে, এক পুলিশ আধিকারিক-সহ মোট চারজন আহত হয়েছেন এই ঘটনায় ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাত 10 টা নাগাদ প্রতিদিনের মতোই চন্দননগরের নিচুপট্টি এলাকায় মদের ঠেক চলছিল ৷ স্থানীয়দের অভিযোগ, লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যেই লুকিয়ে মদ বিক্রি হয় এই এলাকায় ৷ মদের দাম মেটানো নিয়ে গন্ডগোল বাধে ৷
আরও পড়ুন : বহরমপুর শহরে বোমা উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য
অভিযোগ, সেখানে কিছু মদ্যপ ব্য়ক্তি এসে ঝামেলা শুরু করে ৷ বচসা থেকে মারপিট শুরু হয় ৷ শুরু হয় বোতল ছোড়াছুড়ি ও বোমাবাজি ৷ এমনকী, রাতে এলাকার একাধিক দোকান ও হোটেল ভাঙচুর করা হয় ৷ আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একটি দোকানে ৷ লক্ষ্মীগঞ্জ বাজারে একটি রেস্তোরাঁও ভাঙচুর করা হয় ৷
ঘটনার খবর পেয়ে চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ ও দমকল হাজির হয় ৷ দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আগুন আয়ত্বে আনা হয়। পরে র্যাফ ও পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় ৷ এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে ৷ চলছে টহলদারি ৷