বলাগড়, 13 ডিসেম্বর: দুয়ারে রেশনের জিনিসপত্র বিক্রি করার অভিযোগ ৷ তা খতিয়ে দেখতেই সরাসরি ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী ৷ এমনকী হাতেনাতে পাকড়াও করলেন অভিযুক্ত মহিলাকে ৷ বুধবার বলাগড়ের ডুমুরদহ নিত্যানন্দপুর 2 গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা ৷ অভিযুক্ত কীভাবে উপভোক্তাদের থেকে জিনিসপত্র কিনতে পারেন সেই প্রশ্ন তুলেছেন ৷
সূত্রের খবর, এদিন শেরপুর মাঠে দুয়ারে রেশন কর্মসূচি চলছিল । সেই সময়েই রেশন থেকে পাওয়া চাল,আটা-সহ বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করছিলেন উপভোক্তারা । কাজলী দাস নামে একজনের বিরুদ্ধে এই সমস্ত জিনিসপত্র কিনে নেওয়ার অভিযোগ ৷ এদিকে রেশনে জিনিসপত্র কেনার অভিযোগ পেয়েই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী ৷ তিনি অভিযুক্ত কাজলী দাসের সঙ্গে কথা বলেন ৷ কীভাবে উপভোক্তাদের থেকে তিনি জিনিস পত্র কিনতে পারেন সেই প্রশ্ন করেন ৷ এরপরই ধমকের সুরে বিধায়ক বলেন, "কয়েকদিন ধরেই অভিযোগ পাচ্ছিলাম রেশনের চাল আটা বিক্রি হচ্ছে । সেই কারণে আজ এখানে এসেছি ৷ মানুষের জন্য রেশনে চাল, আটা দেওয়া হয় সরকারের তরফে ৷ সেই চাল-আটা বিক্রি কেন হবে ? কারুর রেশনের মাল বেচার কোন অধিকার নেই । আমিও এই চাল খাই। কেউ যদি ধনী হয় তাহলে এই চাল নিও না। রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসন আছে ।"
তবে অভিযুক্ত কাজলী দাস জানান, তিনি তৃণমূল কর্মী ৷ পাড়ায় পাড়ায় রেশনের জিনিসপত্র কিনে পেট চালান । গ্রাহকরা রেশন তুলে তাঁকে বিক্রি করে দেয় ৷ দল থেকে কোন সাহায্য পায়নি তাই বাধ্য হয়ে এই কাজ করছেন । যদিও সরকারের বিরুদ্ধে এই বাহানাতেও তিনি ছাড় পাননি ৷ বিধায়ক ধমকের সুরে বলেন সরকারি জনিস-পত্র তিনি কোনওভাবেই কিনতে পারেন না ৷ এই প্রসঙ্গেই রেশন ডিলার বাচ্চু মুখোপাধ্যায় বলেন, "দুয়ারে রেশন নেওয়ার পর গ্রাহকরা কি করছে সেটা তাদের ব্যাপার। দেখি অনেকেই চাল আটা বিক্রি করে দেন। এর সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই ।"
আরও পড়ুন: