চন্দননগর, 2 মার্চ: বিহারে জোড়া খুন করে (Double Murder in Bihar) পলাতক আসামী। গ্রেফতার করা হল হুগলির চন্দননগর থেকে। মোবাইল টাওয়ার লোকেশন থেকে জানা যায় চন্দননগরের কুলুপুকুর এলাকায় লুকিয়ে আছে ওই দুষ্কৃতী। তদন্তে নেমে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে চন্দননগর ভাগাড় ধারের একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ খুঁজে বের করে মহম্মদ আফরেজ ওরফে বছর চব্বিশের আলিকে (Chandannagar Police Arrested)৷
জানা যায়, আফরেজ বন্ধু গুড্ডুর সঙ্গে গত কয়েকদিন ধরে কুলুপুকুর এলাকায় ছিল। এখানে কাজের সন্ধানে আসে সে ৷ বিহার পুলিশ ওই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে চন্দননগর আদালত থেকে ট্রানজিট রিমান্ডে (Transit Remand) সেই রাজ্যে নিয়ে যায়। ভাড়াটিয়া বন্ধু গুড্ডুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় চন্দননগর থানায়। সূত্রের খবর, বিহারে জোড়া খুনের সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন যুক্ত। আফরেজকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এখনও পলাতক মূল অভিযুক্ত। পুলিশ সূত্রে খবর, বিহারের তাজপুরের মোরবায় দু'জনকে খুন করে পালিয়ে আসে এই দুষ্কৃতী আফরেজ।
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে রায়গঞ্জে আটক স্বামী
গত 26 ফেব্রুয়ারি মদের ঠেকে বসে সে খুন করে পঁচিশ বছরের শুভম মিদ্যাকে । সেখানে আরও বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী ছিল। এই ঘটনা দেখে ফেলে 15 বছর বয়সি কিশোর আনমোল কুমার। তাই প্রমাণ লোপাটের জন্য তাকেও গুলি করে হত্যা করে দুষ্কৃতীরা। এরপরই পুলিশ তদন্তে নামে। মোবাইল লোকেশন (Mobile Location) থেকে করে জানতে পারে চন্দননগরে লুকিয়ে আছে দুষ্কৃতীদের একজন। সেই সূত্র ধরেই চন্দননগরে আসে বিহার পুলিশ। আগেই চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশকে খবর দেয়। সেই মতো চন্দননগর পুলিশ এসে আসামীকে বিহার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সেই সঙ্গে তদন্ত করে আরও দুষ্কৃতী এখানে আছে কি না। জানা যায় নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোল থেকেই এই খুন। যদিও পুলিশের অনুমান কোনও প্রেম ঘটিত কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।