কোন্নগর, 22 অগস্ট: গোঁফের আমি গোঁফের তুমি গোঁফ দিয়ে যায় চেনা ৷ কবি সুকুমার রায়ের লেখা বিখ্যাত গোঁফচুরি কবিতার এই লাইন সকলেরই জানা ৷ কিন্তু জানেন কি হুগলির কোন্নগরের বাসিন্দা অশোক মাহাতোর এমনই বিখ্যাত গোঁফ রয়েছে ৷ এই গোঁফের সাহায্যেই ইট তুলে ও টোটো টেনে তিনি অবাক করে দিচ্ছেন সকলকে ৷
তাঁর শক্তিশালী গোঁফের সাহায্যে 2 থেকে 10 কেজি ওজন তুলে ফেলছেন তিনি ৷ অনায়াসেই গোঁফের সঙ্গে দড়ি বেঁধে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন টোটো । তবে নিজস্ব এই কৃতিত্বের জাহির করেন না তিনি । আর পাঁচজনের মতো শুধু শখেই গোঁফ রাখেন ৷ খুবই সাধারণ জীবনযাপন তাঁর । গোঁফের সুবাদে বিভিন্ন জায়গা থেকে চাকরির সুযোগ এলেও শুধুমাত্র পড়াশোনা না জানায় তা প্রত্যাখ্যান করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি ।
ছোটবেলা থেকেই গোঁফ রাখার শখ অশোকবাবুর । আর সেই গোঁফ ঘিরে পরিচর্যার শেষ নেই তাঁর । পরিবারের শত বারণের পরও গোঁফের প্রতি ভালোবাসা রয়েছে এই 55 বছর বয়সেও । অল্পবয়সে পাড়ার অনুষ্ঠানে গোঁফ নিয়ে খেলা দেখিয়েছেন অনেকবার । কিন্তু সেভাবে প্রচারে আসতে চান না তিনি । পড়াশোনার দৌড় বেশি দূর নয় । তাই জাতীয় স্তরে বিভিন্ন রেকর্ডের ব্যাপারেও ততটা ওয়াকিবহল নন অশোক বাবু। বর্তমানে তিনি একজন টোটোচালক । তার গোঁফের জন্য সিকিউরিটি গার্ড থেকে বিভিন্ন হোটেল-সহ নানা জায়গা থেকে চাকরির সুযোগ পেলেও তিনি যেতে চাননি কেবলমাত্র পড়াশোনা শেখা হয়নি বলে ।
পাড়ার কেউ অনুরোধ করলে তিনি অনায়াসেই গোঁফ দিয়ে 2 কিলো থেকে 10 কিলো ওজনের ইট তুলছেন ৷ গোঁফের সাহায্যেই টেনে নিয়ে যাচ্ছেন টোটো । যা দেখে সকলেই হতবাক । যদিও এই বিষয়ে কোনও ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করার ইচ্ছা নেই গোঁফ মালিকের । এই বিষয়ে অশোক মাহাতো বলেন, "সকলের যেমন শখ আছে আমারও শখ রয়েছে গোঁফ রাখার ।পরিবার আপত্তি থাকা সত্বেও আমি দীর্ঘদিন ধরেই গোঁফের যত্ন করি । এর জন্য অনেকেই আমার সঙ্গে ছবিও তোলেন ।"