উত্তরপাড়া, 6 জুন : 24 ঘন্টার মধ্যে উত্তরপাড়ায় রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কে ডাকাতি ঘটনার কিনারা করল পুলিশ । ব্যাঙ্কের CCTV ফুটেজ দেখে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ । শুক্রবার দুপুর পৌনে তিনটে নাগাদ একটি ডাকাত দল আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে লক্ষাধিক টাকা নিয়ে চম্পট দেয়। উত্তরপাড়ার রাজেন্দ্র অ্যাভিনিউয়ের ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক থেকে বন্দুক দেখিয়ে মোট 17 লাখ 28 হাজার 325 টাকা নিয়ে বাইকে করে চলে যায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনার খবর পেয়ে তদন্ত শুরু করে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ। মাত্র 24 ঘণ্টার মধ্যেই ডাকাতদের খোঁজ পাওয়া গেল। এই ঘটনায় মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে একটি ওয়ান সাটার ও 10 লাখ 8 হাজার 350 টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।
তদন্তে নেমে সোর্স ইনফরমেশান ও CCTV ফুটেজের সাহায্যে দুষ্কৃতীদের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। প্রিতম ঘোষ ওরফে বাবাই,ওরফে বাবু ,ওরফে দেবজিৎ নামে মূল অভিযুক্তকে ধরে পুলিশ।পেট্রল পাম্প ডাকাতি সহ বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত আছে সে। 2014 সালে ওড়িশায় ধরা পরে জেলও হয় প্রিতমের। পরে জেল থেকে ফেরার হয়ে যায় এই দুষ্কৃতী । বিভিন্ন জেলায় দশ বারোটা ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে । সোনার দোকানে ডাকাতি,পেট্রোল পাম্প ডাকাতি ও ব্যাঙ্ক ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে । এই অভিযুক্ত আগে উত্তরপাড়ায় থাকত । চুঁচু্ড়া রবীন্দ্রনগরে প্রিতমের শ্বশুরবাড়ির পাশের একটি বাড়ি থেকে তাকে ধরা হয়। প্রিতমের কাছ থেকে 10 লাখ 8 হাজার 350 টাকা উদ্ধার হয়।বৃহস্পতিবার লকডাউনের সময় বিহারের বসেরা গ্রাম থেকে সাইকেল নিয়ে ফিরে আসে সে । ডাকাতির পর ভদ্রকালীতে এক জঙ্গলে টাকা ভাগ করতে দুষ্কৃতীরা আসে । তিন অভিযুক্ত সঞ্জয় পাশোয়ান(ছোটু), তাপস দাস(গোপাল),সঞ্জীব পাশোয়ান ছিল সেখানে । গ্রেপ্তারের পর তাদের থেকে প্রিতমের ওরফে দেবজিতের নাম জানতে পারে পুলিশ। উত্তরপাড়ায় এক সময় থাকত প্রিতম। এর আগে ব্যাঙ্কে দুবার গিয়ে রেইকি করে।
চন্দননগর কমিশনার হুমায়ন কবির ও তদন্তকারী অফিসাররা তদন্তে নেমে জানতে পারেন, বাস কনডাক্টর সঞ্জয় পাশোয়ান,তাপস রং মিস্ত্রী এবং সঞ্জীব পাশোয়ান ড্রাইভারি করে জীবন কাটাত। এরা তিনজনই প্রিতমের পূর্ব পরিচিত। ধৃতদের কাছ থেকে একটি বাইক,একটি ফোর হুইলার পাওয়া গেছে । এই ফোর হুইলারটি ডাকাতিতে ব্যবহার করা হয়। আরও জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কি না তা দেখছে পুলিশ । উদ্ধার না হওয়া বাকি টাকা কোথায় আছে তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।