দার্জিলিং, 4 জানুয়ারি: ফের শৈলরানিতে লাইনচ্যুত হল পর্যটক বোঝাই টয়ট্রেন । এই নিয়ে তিনদিনে দ্বিতীয়বার একই জায়গায় পর্যটক বোঝাই টয়ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটল । ফলে পরপর এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পর্যটকদের মধ্যে । প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যাত্রী সুরক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে ।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দার্জিলিংয়ের কাকঝোরার কাছে লাইনচ্যুত হয়ে যায় টয়ট্রেনটি । সেই সময় স্টিম ইঞ্জিন চালিত ওই ট্রেনটি ঘুম থেকে দার্জিলিংয়ের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল । ঘুম স্টেশন থেকে পর্যটকদের নিয়ে বের হতেই লাইনচ্যুত হয় ট্রেনটি । দার্জিলিং হিমালয়ান রেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, লাইনচ্যুত হওয়ার সময় ট্রেনটিতে দেশি-বিদেশি 59 জন পর্যটক ছিলেন । তবে সকলেই সুরক্ষিত রয়ছেন ৷ ঘটনার পরে সমস্ত পর্যটকরা গাড়ি ভাড়া করে নিজেরাই দার্জিলিংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন । কিন্তু বারবার এইধরণের টয়ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে পর্যটকদের মধ্যে ।
মঙ্গলবার সকালেও ঠিক একই জায়গায় লাইনচ্যুত হয়েছিল ওই টয়ট্রেনটি । সেই সময় ট্রেনে 64 জন পর্যটক ছিলেন। যদিও পরে তাদের রেল কর্তৃপক্ষ গাড়ি ভাড়া করে গন্তব্যে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করেছিল । কিন্তু এবার সেই ব্যবস্থাটুকুও করা হয়নি পর্যটকদের জন্য ৷ এমনটাই পর্যকদের অভিযোগ। এমনিতেই এখন পাহাড়ে ভরা পর্যটনের মরশুম । তিলধারণের জায়গা নেই হোম-স্টে কিংবা হোটেলগুলিতে। আর শৈলরানির পর্যটনের অন্যতম আকর্ষন টয়ট্রেনে জয়রাইড । এই অবস্থায় বারবার টয়ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় বিরূপ প্রভাব পরছে পর্যটকদের মধ্যে ।
দার্জিলিং-হিমালয়ান রেলের ডিরেক্টর প্রিয়াংশু বলেন, "কাকঝোরার কাছে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে । কেন এইধরনের ঘটনা ঘটছে, তা খতিয়ে দেখা হবে।" হিমালয়ান হসপিটালিটি ট্রাভেল এন্ড ট্যুর ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, "তিনদিনে দু'বার টয়ট্রেনের লাইনচ্যুত হওয়া সত্যি হতাশাজনক । একই জায়গায় কেন এমন ঘটনা ঘটেছে, তা রেল কর্তৃপক্ষের খতিয়ে দেখা দরকার । আর এখন পর্যটন মরশুমে এইধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়ার দরকার রয়েছে রেলের।"
আরও পড়ুন: