দার্জিলিং, 5 নভেম্বর: আগামী লোকসভা নির্বাচনেও (General Election 2024) দার্জিলিং আসনে (Darjeeling) জয়লাভ করবে বিজেপি (BJP) ৷ ভারতীয় সংবিধানের অধীনে খুব দ্রুত পাহাড় সমস্যার স্থায়ী সমাধানসূত্র বের করা হবে ৷ শনিবার দার্জিলিংয়ের গোর্খা দুঃখ নিবারণী মঞ্চে আয়োজিত একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে এমনটাই দাবি করলেন বিজেপি-এর রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ৷
এদিন সুকান্তর সঙ্গে ছিলেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা (Raju Bista) ৷ পাহাড় ও চব্বিশের ভোট নিয়ে তাঁর গলাতেও শোনা গেল একই সুর ৷ দুই নেতা তথা সাংসদেরই দাবি, পাহাড় সমস্যার স্থায়ী সমাধান একমাত্র বিজেপি-ই করতে পারে ৷ তৃণমূল কংগ্রেস বা অন্য কারও পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব নয় ! তবে এই কাজ সময় লাগছে ৷ কারণ, এই সমস্যা বহু পুরনো ৷ কিন্তু, পাহাড়বাসীকে ধৈর্য রাখতে হবে ৷ তাহলেই সমস্যা চিরদিনের মতো মিটে যাবে, মন্তব্য সুকান্তর ৷
আরও পড়ুন: অনন্ত মহারাজের উলটো সুর সুকান্তের গলায়, ওড়ালেন বঙ্গভঙ্গের সম্ভাবনা
প্রসঙ্গত, একদিনের পাহাড় সফরে এদিনই শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং আসেন সুকান্ত মজুমদার ৷ দলীয় কর্মসূচির মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি জিটিএ-র বিরোধিতায় সুর চড়ান ৷ তাঁর দাবি, জিটিএ-র আড়ালে বিপুল আর্থিক দুর্নীতি হচ্ছে ৷ পাহাড় থেকে রাজ্যের শাসকদলের এক নেতার বিরুদ্ধে নিয়মিত টাকা নিয়ে যাওয়ারও অভিযোগ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি ৷ জিটিএ-র মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক অনিত থাপার নাম না-করে তাঁকে 'তৃণমূল কংগ্রেসের কাটমানি তোলার এজেন্ট' বলে কটাক্ষ করেন তিনি ৷ তাঁর দাবি, পাহাড় সমস্য়ার স্থায়ী সমাধান পেতে হলে আঘে জিটিএ-কে সমূলে উৎখাত করতে হবে ৷
সুকান্ত মজুমদার এদিন এই প্রসঙ্গে বলেন, "পাহাড়ে 90 শতাংশ দুর্নীতি হচ্ছে ৷ কাউকে রেয়াত করা হবে না ৷ সকলকে জেলে যেতে হবে ৷ শুধু দুর্নীতি করার জন্যই পাহাড়ে জিটিএ তৈরি করা হয়েছে ৷ এখান থেকে টাকা কলকাতা পৌঁছে যায় ৷ এক নেতা কলকাতা থেকে এসে ব্যাগে ভরে টাকা নিয়ে যান ৷ আমরা পাহাড়ে কিছু নিতে আসিনি ৷ বরং, ভরসা দিতে এসেছি ৷ পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তন হবে ৷ পরিবর্তন হবে পাহাড়েও ৷ এখানে শান্তি ফিরবে ৷"