ETV Bharat / state

শিলিগুড়িতে অনলাইনে দেহ ব্যবসার ছবি ETV ভারতের অন্তর্তদন্তে, ধৃত 2 - Sex racket in siliguri, 2 arrested

দিনেদুপুরে শিলিগুড়িতে চলছে দেহ ব্যবসার চক্র । এই চক্র চলছে ইন্টারনেটের সৌজন্যে । রয়েছে বিভিন্ন ওয়েবপেজ । আর সেই ওয়েবপেজের সূত্র ধরেই গতকাল রাতে ETV ভারতের অন্তর্তদন্তে ধরা পড়ল গোপনে দেহ ব্যবসার ছবি ।

শিলিগুড়িতে অনলাইনে রমরমা দেহ ব্যবসা, ধৃত 2
author img

By

Published : Jul 12, 2019, 7:26 AM IST

Updated : Jul 12, 2019, 11:00 AM IST

শিলিগুড়ি, 12 জুলাই : মাত্র 10 হাজারেই মিলছে শয্যাসঙ্গী । দিনেদুপুরে শিলিগুড়িতে চলছে দেহ ব্যবসার চক্র । এই চক্র সক্রিয় ইন্টারনেটের সৌজন্যে । রয়েছে বিভিন্ন ওয়েবপেজ । আর সেই ওয়েবপেজের সূত্র ধরেই গতকাল রাতে ETV ভারতের অন্তর্তদন্তে গোপন ক্যামেরায় ধরা পড়ল দেহ ব্যবসার ছবি । পুলিশের জালে ধরা পড়ল চক্রের দুই পান্ডা । ধৃতদের নাম সুকুমার রায় ও নিবাস রায় । দু'জনেই কোচবিহারের বাসিন্দা ।


সুকুমার শিলিগুড়ির একটি হোটেলে বেয়ারার কাজ করে । নিবাস শিলিগুড়ি শহর সংলগ্ন ডাবগ্রাম-2 পঞ্চায়েতের বাসিন্দা । সে শিলিগুড়ির সেবক রোড এলাকায় একটি শপিংমলে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করে । পুলিশের নজর এড়াতে গোটা ব্যবসাটাই চলে ইন্টারনেটে । এসকর্ট সার্ভিসের নামে রয়েছে একাধিক ওয়েবপেজ । সেখানে এসকর্ট সার্ভিসের বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি থাকছে নির্দিষ্ট ফোন নম্বর । যদিও ফোন করলে সরাসরি এসকর্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব নয় । সেই নম্বরের মাধ্যমে খদ্দেরের সঙ্গে প্রথমে কথা বলবে চক্রের পান্ডা । চক্র পরিচালনা হয় কলকাতা থেকে । চক্রের পান্ডার অধীনে রয়েছে কিছু যুবক । তারা ক্যারিয়ার ও সাপ্লায়ার হিসেবে কাজ করে মোটা টাকার বিনিময়ে । সেই সঙ্গে খদ্দেরকে হোটেলে ঘর বুকিংয়ের ব্যবস্থাও করে দেয় । পুরো ব্যবসাটাই চলে ইন্টারনেট ও ফোনের মাধ্যমে । খদ্দেরকে ভরসাযোগ্য মনে হলে তার সঙ্গে দেখা করে ক্যারিয়ার ও সাপ্লায়ার । অগ্রিম অর্থ বুঝে নিয়ে খদ্দেরের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয় এসকর্টকে ।

ওয়েবপেজের সূত্র ধরে দেহ ব্যবসার পর্দা ফাঁস করতে প্রথমে আমাদের প্রতিনিধি যোগাযোগ করেন ওয়েবপেজে দেওয়া ফোন নম্বরে । সেই নম্বরে যোগাযোগ করা হলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় এসকর্টের দর । আমাদের প্রতিনিধি তাতে রাজি হলে ওপ্রান্ত থেকে হোয়াটসঅ্যাপ মারফৎ পাঠানো হয় কিছু মেয়ের ছবি । তারপর দরদাম চূড়ান্ত করতে মোবাইল ফোনে পাঠানো হয় ক্যারিয়ারের ফোন নম্বর । তার কাজ খদ্দেরকে সাপ্লায়ারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া । সবশেষে সাপ্লায়ার খদ্দেরকে এসকর্টের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে প্রাপ্য টাকা বুঝে নেয় । এরপরেই চূড়ান্ত হয় নিরাপদ আস্তানা যেখানে খদ্দেরকে নিয়ে যাবে এসকর্ট ।

শিলিগুড়িতে অনলাইনে রমরমা দেহ ব্যবসা, ধৃত 2
সুকুমার রায় ও নিবাস রায়

আমাদের প্রতিনিধি ক্যারিয়ারকে প্রশ্ন করেছিল পুলিশের ভয় রয়েছে কি না । কিন্তু ক্যারিয়ার জানায় পুলিশের কোনও ভয় নেই । সবটাই সেটিং থাকে । শুধু টাকা দিতে হবে চাহিদা মতো । তাহলেই এসকর্ট থেকে শুরু করে নিরাপদ স্থান সবটাই মিলবে অনায়াসে । শহর জুড়ে চলা এই দেহ ব্যবসার খবর পেতেই শিলিগুড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থানে হাজির হয়ে দুই যুবককে গতকাল রাতে গ্রেপ্তার করে ।

দেখুন ভিডিয়ো

শিলিগুড়ি, 12 জুলাই : মাত্র 10 হাজারেই মিলছে শয্যাসঙ্গী । দিনেদুপুরে শিলিগুড়িতে চলছে দেহ ব্যবসার চক্র । এই চক্র সক্রিয় ইন্টারনেটের সৌজন্যে । রয়েছে বিভিন্ন ওয়েবপেজ । আর সেই ওয়েবপেজের সূত্র ধরেই গতকাল রাতে ETV ভারতের অন্তর্তদন্তে গোপন ক্যামেরায় ধরা পড়ল দেহ ব্যবসার ছবি । পুলিশের জালে ধরা পড়ল চক্রের দুই পান্ডা । ধৃতদের নাম সুকুমার রায় ও নিবাস রায় । দু'জনেই কোচবিহারের বাসিন্দা ।


সুকুমার শিলিগুড়ির একটি হোটেলে বেয়ারার কাজ করে । নিবাস শিলিগুড়ি শহর সংলগ্ন ডাবগ্রাম-2 পঞ্চায়েতের বাসিন্দা । সে শিলিগুড়ির সেবক রোড এলাকায় একটি শপিংমলে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করে । পুলিশের নজর এড়াতে গোটা ব্যবসাটাই চলে ইন্টারনেটে । এসকর্ট সার্ভিসের নামে রয়েছে একাধিক ওয়েবপেজ । সেখানে এসকর্ট সার্ভিসের বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি থাকছে নির্দিষ্ট ফোন নম্বর । যদিও ফোন করলে সরাসরি এসকর্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব নয় । সেই নম্বরের মাধ্যমে খদ্দেরের সঙ্গে প্রথমে কথা বলবে চক্রের পান্ডা । চক্র পরিচালনা হয় কলকাতা থেকে । চক্রের পান্ডার অধীনে রয়েছে কিছু যুবক । তারা ক্যারিয়ার ও সাপ্লায়ার হিসেবে কাজ করে মোটা টাকার বিনিময়ে । সেই সঙ্গে খদ্দেরকে হোটেলে ঘর বুকিংয়ের ব্যবস্থাও করে দেয় । পুরো ব্যবসাটাই চলে ইন্টারনেট ও ফোনের মাধ্যমে । খদ্দেরকে ভরসাযোগ্য মনে হলে তার সঙ্গে দেখা করে ক্যারিয়ার ও সাপ্লায়ার । অগ্রিম অর্থ বুঝে নিয়ে খদ্দেরের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয় এসকর্টকে ।

ওয়েবপেজের সূত্র ধরে দেহ ব্যবসার পর্দা ফাঁস করতে প্রথমে আমাদের প্রতিনিধি যোগাযোগ করেন ওয়েবপেজে দেওয়া ফোন নম্বরে । সেই নম্বরে যোগাযোগ করা হলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় এসকর্টের দর । আমাদের প্রতিনিধি তাতে রাজি হলে ওপ্রান্ত থেকে হোয়াটসঅ্যাপ মারফৎ পাঠানো হয় কিছু মেয়ের ছবি । তারপর দরদাম চূড়ান্ত করতে মোবাইল ফোনে পাঠানো হয় ক্যারিয়ারের ফোন নম্বর । তার কাজ খদ্দেরকে সাপ্লায়ারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া । সবশেষে সাপ্লায়ার খদ্দেরকে এসকর্টের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে প্রাপ্য টাকা বুঝে নেয় । এরপরেই চূড়ান্ত হয় নিরাপদ আস্তানা যেখানে খদ্দেরকে নিয়ে যাবে এসকর্ট ।

শিলিগুড়িতে অনলাইনে রমরমা দেহ ব্যবসা, ধৃত 2
সুকুমার রায় ও নিবাস রায়

আমাদের প্রতিনিধি ক্যারিয়ারকে প্রশ্ন করেছিল পুলিশের ভয় রয়েছে কি না । কিন্তু ক্যারিয়ার জানায় পুলিশের কোনও ভয় নেই । সবটাই সেটিং থাকে । শুধু টাকা দিতে হবে চাহিদা মতো । তাহলেই এসকর্ট থেকে শুরু করে নিরাপদ স্থান সবটাই মিলবে অনায়াসে । শহর জুড়ে চলা এই দেহ ব্যবসার খবর পেতেই শিলিগুড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থানে হাজির হয়ে দুই যুবককে গতকাল রাতে গ্রেপ্তার করে ।

দেখুন ভিডিয়ো
Intro:১০ হাজারে শিলিগুড়িতে শয্যা সঙ্গীনি! ইটিভি ভারতের অন্ততদন্ত!

শিলিগুড়ি, ১২ জুলাইঃ ১০ হাজারেই শিলিগুড়িতে মিলছে মনের মতোন শয্যা সঙ্গীনি। দেহ ব্যবসার এই চক্র সক্রিয় হয়েছে ইন্টারনেটের সৌজন্যে। ওয়েবপেজের সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার রাতে চলা ইটিভি ভারতের অন্ততদন্তে সেই গোপন ব্যবসার পর্দা ফাঁস হল। পুলিসের জালে ধড়া পড়ল দুই দেহ ব্যবসায়ী।

পুলিসি ধড়পাকড় এড়াতে দেহ ব্যবসার আতুড়ঘর হয়ে উঠেছে ইন্টারনেট দুনিয়া। স্কট সার্ভিসের নামে তৈরী করা হচ্ছে ওয়েব পেজ। সেখানে স্কট সার্ভিসের বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি থাকছে একটি নির্দিষ্ট ফোন নম্বর। ওয়েবপেজে দেওয়া সেই নম্বরের সৌজন্যেই খদ্দেরদের সঙ্গে প্রথম আলাপ সারেন দেহ ব্যবসার মূল পান্ডারা। সূদূর কলকাতায় বসে চক্রটি পরিচালনা করেন তারা। তাদের অধীনে রয়েছে বেশকিছু যুবক। যারা ক্যারিয়ার এবং সাপ্লায়ার হিসেবে কাজ করে মোটা টাকার বিনিময়ে। কেউ হোটেলের বন্দোবস্ত করে দেয় তো কেউ আবার যোগান দিয়ে থাকে শয্যা সঙ্গীনির। প্রাথমিকভাবে সবটাই চলে সোশ্যাল মাধ্যম ও ফোন কলের মাধ্যমে। খদ্দের ভরসা যোগ্য হতেই প্রথমে সামনে আসেন ক্যারিয়ার ও সাপ্লায়ার। অগ্রিম অর্থ বুঝে নিয়ে খদ্দেরের হাতে তুলে দেন শয্যা সঙ্গীনিকে।

ওয়েবপেজের সূত্র ধরে দেহ ব্যবসার পর্দা ফাঁসে নামতেই প্রথমে আমাদের প্রতিনিধি যোগাযোগ করেন ওয়েব পেজে দেওয়া ফোন নম্বরে। সেই নম্বর যোগাযোগ করা হলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় শয্যা সঙ্গীনির দর। খদ্দেরের তরফে ইতিবাচক উত্তর যেতেই ওপ্রান্ত থেকে হোয়াটসঅ্যাপ মারফৎ পাঠানো হয় বেশকিছু স্বপ্ন সুন্দরী শয্যা সঙ্গীনির ছবি৷ যে কোন একটি বাছাই করে দরদাম চূড়ান্ত করতেই মেসেজ মাধ্যমে দেওয়া হয় দ্বিতীয় ব্যক্তির(ক্যারিয়ার) ফোন নম্বর। দ্বিতীয় ওই ব্যক্তির কাজ খদ্দেরদের সাপ্লায়ারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। সবশেষে সাপ্লায়ার শয্যা সঙ্গীনির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে প্রাপ্য টাকা বুঝে নেন। এরপরেই চূড়ান্ত হয় নিরাপদ আস্তানা।

ক্যারিয়ারের সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তায় সে জানায় পুলিসের কোন ভয় নেই। সবটাই সেটিং থাকে। শুধু টাকা দিতে হবে চাহিদা মতোন। তাহলেই মনের মতোন শয্যা সঙ্গীনি থেকে শুরু করে নিরাপদ স্থান সবটাই মিলবে অনায়াসে।

শহর জুড়ে চলা এই দেহ ব্যবসার খবর পেতেই শিলগুড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে। ধৃত ওই দুই যুবকের নাম সুকুমার রায় ও নিবাস রায়। সুকুমার কোচবিহারের বাসিন্দা। শিলিগুড়ির একটি হোটেলে বেয়ারার কাজ করে সে। অন্যদিকে নিবাস রায় শিলিগুড়ি শহর সংলগ্ন ডাবগ্রাম দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা। সেই শিলিগুড়ির সেবক রোড এলাকার একটি শপিং মলের নিরাপত্তা রক্ষী। Body:.Conclusion:.
Last Updated : Jul 12, 2019, 11:00 AM IST

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.