শিলিগুড়ি, 22 সেপ্টেম্বর : রোগ নির্ণয় করতে আর নমুনা পাঠাতে হবে না কলকাতায় । এখন থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেই হবে শিশুদের রক্ত ও লালারস নমুনার পরীক্ষা । মঙ্গলবার একথা জানান দার্জিলিঙের জেলাশাসক এস পুন্নমবল । এদিন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার সঞ্জয় মল্লিক, অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহা ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রিভিউ মিটিং করেন জেলাশাসক ।
বৈঠকে পরীক্ষার সমস্যা, শিশুদের চিকিৎসার বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন জেলাশাসক । মূলত, আগে শিশুদের জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার কারণ জানতে তাদের রক্ত ও লালারসের নমুনা কলকাতার স্কুলস অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে পাঠাতে হত । রাজ্যের অন্যান্য জেলার হাসপাতাল থেকেও ওইখানে নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। নমুনার চাপে রিপোর্ট আসতে দেরি হত । এতে চিকিৎসায় বেশ বেগ পেতে হত চিকিৎসকদের । সেই সমস্যা সমাধানে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে মাল্টিপ্লেক্ট পিসিআর নামে ওই কিট ব্যবহারে সবুজ সংকেত মিলেছে । ইতিমধ্যে ওই কিটের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে । মোট ছয় রকমের রোগ নির্ণয়ের কিট নেবে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ।
সব ঠিক থাকলে এক সপ্তাহের মধ্যে হাসপাতালেই শুরু হবে শিশুদের নমুনা পরীক্ষা । ওই কিটের মাধ্যমে হাসপাতালের ভাইরাল রিসার্চ অ্যান্ড ডায়গনস্টিক ল্যাবরেটরিতে করা হবে সংগৃহীত নমুনার পরীক্ষা । তাতে যেমন দ্রুত পরীক্ষা করা সম্ভব হবে, পাশাপাশি রিপোর্ট তাড়াতাড়ি পাওয়া যাবে । এতে শিশুদের চিকিৎসার গতি আরও ত্বরান্বিত হবে । শুধু মাত্র শিলিগুড়ি নয় । উত্তরবঙ্গের সমস্ত হাসপাতালের নমুনা এখন থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেই পরীক্ষা হবে ৷
আরও পড়ুন, Fever : উত্তরবঙ্গের অজানা জ্বরের রহস্য সমাধান, শিশুদের নমুনায় মিলল ডেঙ্গু-স্ক্রাব টাইফাস
জেলাশাসক এস পুন্নমবলম বলেন, "পরীক্ষার জন্য কিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নমুনা আর স্কুলস অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে পাঠাতে হবে না । এক সপ্তাহের মধ্যেই হাসপাতালে পরীক্ষা হবে।" পাশাপাশি তিনি জানান, প্রত্যেক দিন গড়ে 10 থেকে 15 জন শিশু উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে । সব মিলিয়ে শিশুদের জন্য 115 টি শয্যা প্রস্তুত রয়েছে । বর্তমানে হাসপাতালে 54 জন শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদিন আরও তিনজন শিশুকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতাল থেকে রেফার করা হয়েছে । যদিও একদিনে হাসপাতালে কোনও শিশুর জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়নি ।