দার্জিলিং, 14 এপ্রিল: স্বাধীনতার পর 75টি বছর কেটে গিয়েছে ৷ এতদিনে শৈলরানি দার্জিলিং পেল তার প্রথম মহিলা পাইলট সাক্ষী প্রধানকে ৷ দার্জিলিংয়ের প্রথম মহিলা এই বিমানচালকের বয়স মাত্র 24 ৷ অল্প বয়সেই বাজিমাত করেছেন গোর্খা সন্তান ৷ এখন পাহাড়জুড়ে চর্চার বিষয় শৈলশহরের এই কন্যা ৷ আসন্ন মে মাস থেকে তিনি বিমানচালক হিসেবে নতুন পথ চলা শুরু করবেন ৷
দার্জিলিংয়ের সাধারণ পরিবেশে বড় হয়েছেন সাক্ষী ৷ সেখান থেকে আজ তিনি বাণিজ্যিক বিমানচালক ৷ স্বভাবত, এই ঘটনায় গর্বিত সকলেই ৷ 2000 সালের 10 মে মিরিকের ডিবি গিরি রোডে জন্মগ্রহণ করেন সাক্ষী ৷ বাবা রুকেশ মণি প্রধান এবং মা বন্দনা মুখিয়ার (প্রধান) একমাত্র মেয়ে ৷ রুকেশ মণির পেশায় ছাপাখানা ব্যবসায়ী ৷
দার্জিলিংয়ের বেথানি স্কুল থেকে সাক্ষী প্রথমে তাঁর প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা শুরু করেন ৷ পরে লরেটো কনভেন্ট স্কুল থেকে আইসিএসসি পাশ করেন ৷ উচ্চমাধ্যমিকে শিলিগুড়ির দিল্লি পাবলিক স্কুলে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেন ৷ শৈশব থেকেই লেখাপড়ায় ভালো ছিলেন সাক্ষী ৷ ছোটবেলার স্বপ্ন ছিল, তিনি একদিন পাইলট হবেন ৷ আর সেই ইচ্ছাশক্তিতে ভর করে আজ তিনি একজন দক্ষ পাইলট ৷
2019 সালে ইন্ডিগো ক্যাডেট পাইলট ট্রেনিং প্রোগ্রামের জন্য নির্বাচিত হওয়ার পর সাক্ষী স্কাইবোর্ন অ্যাভিয়েশন লিমিটেডের মাধ্যমে দিল্লিতে প্রশিক্ষণ শুরু করেন ৷ এরপর 2019-20-তে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় (ফিনিক্স) গ্রাউন্ড ট্রেনিং নেন তিনি ৷ সেখানে প্রশিক্ষণের পর বাণিজ্যিক পাইলট হিসাবে লাইসেন্স পান (এফএএ) দার্জিলিংয়ের সাক্ষী ৷ তিনি ভারত সরকারের বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের অধীনে ডিজিসিএর অধীনে উত্তরাখণ্ডের পান্থনগরেও আরেকটি প্রশিক্ষণ নেন ৷ পরে ডিজিসিএ তাঁকে ভারতীয় বাণিজ্যিক বিমানের পাইলট হিসাবে লাইসেন্সের অনুমোদন দেয় ৷
ভারতীয় বাণিজ্যিক বিমানের পাইলট সাক্ষী সংযুক্ত আরব আমিরাতদের আবুধাবিতে অবস্থিত এতিহাদ এয়ারওয়েজ থেকেও প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ৷ সবশেষে 15 মার্চ তাঁকে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স তাঁকে জুনিয়র ফার্স্ট অফিসার হিসাবে নিযুক্ত করে ৷ দিল্লির গুরুগ্রামের হেড অফিসে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে তাঁকে সংবর্ধনা জানানো হয় ৷ এরপর মে মাস থেকে নতুন পথ চলা শুরু হচ্ছে সাক্ষীর ৷
আরও পড়ুন: দার্জিলিঙের চিড়িয়াখানায় দেখা মিলবে সাইবেরিয়ার বাঘের, থাকছে আরও চমক