দার্জিলিং, 15 মার্চ : দার্জিলিং পৌরসভার নতুন চেয়ারম্যান (Chairman of Darjeeling Municipality) ও ভাইস চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা হল মঙ্গলবার । এদিন দার্জিলিং পৌরসভার নির্বাচিত কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল ৷ নবনির্বাচিত 32 জন কাউন্সিলরদের শপথবাক্য পাঠ করান দার্জিলিংয়ের মহকুমাশাসক দুলেন রায় । এরপরই নির্বাচিত সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলরদের তরফে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করা হয় । দার্জিলিং পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন 31 নম্বর ওয়ার্ডের হামরো পার্টির কাউন্সিলর রীতেশ পোর্টেল ৷ ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছে 25 নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর ইয়াংজি শেরপাকে ৷
এদিনই রীতেশ পোর্টেল চেয়ারম্যান ও ইয়াংজি শেরপা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শপথ নেন ৷ উল্লেখ্য, সদ্যসমাপ্ত পৌরভোটে দার্জিলিং পৌরসভার 32টি আসনের মধ্যে 18টি আসনে সদ্য গঠিত হামরো পার্টি, 9টি আসন অনিত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা, তিনটি আসনে বিমল গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা জয় পেয়েছে ৷ তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে দু‘টি আসন ৷
আরও পড়ুন : বাগডোগরায় রানওয়েতে ফাটল, বন্ধ বিমান পরিষেবা
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, 31 বছরের রীতেশ পোর্টেলকে চেয়ারম্যান করে পৌরসভার রাশ নতুন প্রজন্মর হাতে তুলে দেওয়ার বার্তাই দিতে চেয়েছেন হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড । অন্যদিকে, পৌরসভার বিরোধী দলনেতা হিসেবে ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার অমর লামার নাম উঠে এসেছে ৷ এদিন শপথ গ্রহণের পর রীতেশ পোর্টেল বলেন, "আমি একজন সমাজসেবক । বরাবরই আমি মানুষের কাজ করে এসেছি । তবে 31 বছর বয়স হলেও কাজ করার উদ্যম রয়েছে । প্রত্যেকের সহযোগিতায় কাজ করব। বিরোধীদের সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে । আগে পৌরসভায় স্বৈরাচারী শাসক ছিল । বিরোধী বলতে কিছু ছিল না । কিন্তু পাহাড়ে গণতন্ত্র ফিরে এসেছে । এবার আমরা পাহাড়বাসীর জন্য সবথেকে সুন্দর দার্জিলিং গড়ে তুলব ।"
বিরোধী দলনেতা অমর লামা এদিন বলেন, "আমরা যেমন পৌরসভার বোর্ডের ভুলভ্রান্তি তুলে ধরব, তেমনই উন্নয়নের প্রস্তাব দেব । বোর্ড পরিচালনায় আমাদের সম্পূর্ণ সহযোগিতা থাকবে ।" রাজনৈতিক মহলের মতে, এতদিন যাবৎ পাহাড়ে বিরোধী বলতে তেমন কেউ ছিল না । দার্জিলিং পৌরসভার বোর্ডে প্রথমে জিএনএলএফ, তারপর বিমল গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা রাজত্ব করেছে । 32টির মধ্যে একটি আসনও কোনও বিরোধী দল পায়নি । কিন্তু 2017 সালের পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যান্ডের আন্দোলনের পর ধীরে ধীরে পাহাড়ে শান্তি বজায় আসে । সঙ্গে পাহাড়ে যে গণতন্ত্র ফিরে এসেছে তার প্রমাণ দার্জিলিং পৌরসভা নির্বাচনে বিরোধীদের অবস্থান ।