শিলিগুড়ি, 21 ডিসেম্বর : একুশের নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া সবচেয়ে বড় প্রতিশ্রুতিগুলির একটি ছিল 'দুয়ারে রেশন' প্রকল্প (Ration dealers are agitating to close duare ration project)৷ অর্থাৎ ক্ষমতায় এলে রেশন আর কাউকে রেশন দোকানে গিয়ে নিয়ে আসতে হবে বরং তা পৌঁছে দেওয়া হবে সকলের বাড়িতে বাড়িতে ৷ ইতিমধ্যে এই প্রকল্প শুরুও করে দিয়েছে রাজ্য সরকার ৷ কিন্তু এবার এই নিয়েই প্রতিবাদে সরব হলেন খোদ রেশন ডিলাররাই ৷ দিদির এই নতুন প্রকল্প থেকে অব্যহতি চান তাঁরা ৷ তাঁদের দাবি দুয়ারে রেশনের কারণে রেশন ব্যবস্থায় অচলাবস্থার পাশাপাশি বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের ।
আর তাই এবার প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহন করতে চলেছে তাঁরা ৷ শিলিগুড়িতে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের সম্মেলনে রেশন ডিলারদের পাঁচটি সংগঠনের যৌথ মঞ্চের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এই কর্মসূচির নাম হতে চলেছে "দিদির পায়ে ডিলারদের আর্তনাদ" । খবর অনুযায়ী, 27 ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে কলকাতায় দুটো মিছিল করা হবে । একটি মিছিল শুরু হবে শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড় থেকে এবং অন্যটি শুরু হবে বাবুঘাট থেকে ৷ দুটি মিছিল মিলিত হবে রানি রাসমণি রোডে । তারপর মুখ্যমন্ত্রীকে একটি স্মারকলিপিও জমা দেবেন তাঁরা ।
আরও পড়ুন : দ্বিতীয় দফায় কলকাতাতেই দুয়ারে সরকারের নামমাত্র শিবির
নির্বাচনে জয়ের পরে নভেম্বর মাস থেকেই 'দুয়ারে রেশন' প্রকল্পের সূচনাও করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তারপর থেকেই চরম বিপাকে পড়েছেন ডিলাররা । সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেন, "দুয়ারে রেশন প্রকল্প যেদিন উদ্বোধন হয়েছিল সেদিন আমিও উপস্থিত ছিলাম । ওই প্রকল্প নিয়ে সেদিনই আমি সন্দেহ প্রকাশ করেছিলাম । কিন্তু কিছু আমলার বুদ্ধিতে এই পদক্ষেপ নেন মুখ্যমন্ত্রী । আর তাতে সবথেকে বেশি বিপদে পড়েছি আমরা । প্রতি মাসে আমাদের 19 হাজার টাকা করে ক্ষতি হচ্ছে । মানুষও ফুটপাতে দাঁড়িয়ে রেশন নিতে চাইছেন না । তাঁরাও দোকানে এসেই রেশন নিচ্ছেন ।"
তিনি আরও বলেন, "সরকার আমাদের বলেছে সকলে যাতে রেশন পায় । কিন্তু বায়োমেট্রিকে আঙুলের ছাপ না মিললে রেশন কার্ড থাকা সত্বেও তাঁকে রেশন দিতে পারছিনা । এতে আমাদেরই খারাপ লাগছে । তাই আমরা দুয়ারে রেশন থেকে অব্যহতি চাওয়ার পাশাপাশি এই পদ্ধতিতে রেশন দেওয়া বন্ধের দাবি করছি । আর এই দাবিতেই আমরা মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হব । কারণ এই রাজ্যে উনি ছাড়া আমাদের এই সমস্যার সমাধান আর কেউ করতে পারবেন না ।"