দার্জিলিং, 25 ডিসেম্বর: বাঙালির ছুটি মানেই ঘোরা। ছুটি উপভোগ করতে পরিবার কিংবা নিজের কাছের মানুষটিকে সঙ্গে নিয়ে একটু ইতিউতি বেড়ানো। আর সেই ছুটি কাটানো যদি হয় পাহাড়ের কোলে তাহলে তো কথাই নেই ৷ তাই এই শীতের মরশুমে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ঘুরে আসতে পারেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মোড়া অজানা এক গ্রাম থেকে ৷
শীতের ছুটি কাটানোর জন্য এই মোক্ষম জায়গা রয়েছে শৈলরানী দার্জিলিংয়ের কোলেই ৷ শিটং, বিজনবাড়ি, টাইগারহিল, ম্যাল এসব তো সকলেরই চেনা। তাই অফবিট ডেস্টিনেশন হিসাবে বেছে নিতে পারেন 'রঙ্গারুন গ্রাম'। অপূর্ব নৈস্বর্গিক সৌন্দর্যে ভরা ওই গ্রামে গেলে আর ফিরে আসতে মন চাইবে না। হাতে তিন থেকে চার দিনের ছুটি থাকলে আরামে ঘুরে আসতে পারেন রঙ্গারুন গ্রাম থেকে।
এখানে রয়েছে সবুজ চা-বাগানের গালিচা, ঘুমন্ত বুদ্ধের হাতছানি। সবসময় বয়ে যাওয়া রুংডুং নদীর অপূর্ব মেলবন্ধন গ্রামের রোমাঞ্চ যেন কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। রাতে ঝুমঝুমে নির্জন পরিবেশ, চারিদিকে সবুজের সমারোহ, রঙবাহারি ফুল, বয়ে যাওয়া নদীর কলকল, পাখির কলতান ভুলিয়ে দিতে পারে সকল যন্ত্রণা ৷
কীভাবে যাবেন?
বাগডোগরা বিমানবন্দর কিংবা নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে শেয়ার গাড়ি কিংবা রিজার্ভ চারচাকায় চলে যেতে হবে দার্জিলিংয়ের জোড়বাংলো মোড়ে। শেয়ার গাড়িতে গেলে খরচ হবে মাথাপিছু 250 থেকে 300 টাকা। জোড়বাংলো মোড় থেকে এরপর প্রায় 10 কিলোমিটার জঙ্গলের রাস্তা ধরে গেলে পৌঁছে যাওয়া যাবে রঙ্গারুন গ্রামে। চড়াই-উতরাই পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে গ্রামে যাওয়া যায়। জোড়বাংলো মোড় থেকে ওই গ্রামে পৌঁছাতে খরচ হবে মাথাপিছু 600 থেকে 700 টাকা।
আরও পড়ুন
1. জোড়শ্রেণির মন্দির থেকে ঐতিহ্যবাহী মেলা, শীতের ছুটি কাটানোর আদর্শ জায়গা বিষ্ণুপুর
2. এই পুজোয় ঘুরে আসুন 'ফুলের দেশ' রিকিসুমে
3. পুজোর ছুটিতে আপনার অফবিট ডেস্টিনেশন হোক কালিম্পংয়ের রামধুরা