শিলিগুড়ি, 23 জানুয়ারি : মাটিগাড়া থেকে পুলিশের অভিযানে অস্ত্র উদ্ধারকাণ্ডে নয়া মোড় । উদ্ধার হওয়া অস্ত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল পাহাড়ের উদ্দেশ্যে । শুধু তাই নয় । পাহাড়ের রাজনৈতিক দলেরই এক নেতা ধৃতদের মধ্যে একজনকে টাকা দিয়েছিল অস্ত্র কেনার । এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারীদের হাতে । তদন্তের কিনারা করতে ময়দানে নেমেছেন খোদ কালিম্পং জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিম শেখ ৷ এদিন সকালে কালিম্পং থেকে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের মাটিগাড়া থানায় অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তিনি । তবে কী ফের পাহাড়ে রাজনৈতিক অশান্তি লাগানোর পরিকল্পনা ছিল । বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ঘুম উবে গিয়েছে পুলিশ আধিকারিকদের । কালিম্পংয়ের এসপি হরেকৃষ্ণ পাই বলেন, "তদন্ত চলছে । এখনই কিছু বলা সম্ভব নয় ।"
21 জানুয়ারি মাটিগাড়া থানার পুলিশের অভিযানে 7টি পিস্তল এবং 91 রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে । ঘটনায় 4 জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল । ধৃতদের মধ্যে 3 জন বিহারের বাসিন্দা । আর একজন কালিম্পংয়ের বাসিন্দা রাহুল ত্রিক্ষত্রী । ওই যুবকের বিরুদ্ধে কালিম্পং থানায় ছিনতাই, ডাকাতি, তোলাবাজির মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে । তার কাছ থেকেই উদ্ধার হয়েছিল একটি পিস্তল এবং 14 রাউন্ডগুলি । ওই বন্দুক এবং গুলি নিয়ে শিবমন্দির থেকে কালিম্পংয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল রাহুলের । কিন্তু তার আগেই তাকে ধরে ফেলে পুলিশ । জিজ্ঞাসাবাদে বিহারের ভাগলপুরের তিন দুষ্কৃতীকে পাকড়াও করতে সক্ষম হয় পুলিশ ।
আরও পড়ুন : মাটিগাড়ায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার 4
2017 সালের পাহাড়ে পৃথক রাজ্যের দাবিতে সশস্ত্র আন্দোলন হয়েছিল । চলেছিল গুলিও । মৃত্যু হয়েছিল অমিতাভ মালিক নামে এক পুলিশ কর্মীর । অস্ত্র ধারায় একাধিক রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগও উঠেছিল । মাঝে কিছুটা শান্তি ফিরলেও সাড়ে 3 বছর পর বিমল গুরুংয়ের প্রত্যাবর্তনে ফের নতুন করে পাহাড়ে অশান্তির আশঙ্কা করছে রাজনৈতিক মহল । রাহুল ত্রিক্ষত্রী ধরা পড়তেই এদিন সকালে তাকে জেরা করেন আজিম শেখ । এমনকি রাহুল ত্রিক্ষত্রীকে হেপাজতে নেওয়ার আবেদনও জানাবেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে । কোন রাজনৈতিক দলের নেতা কত টাকা দিয়েছিল ওই অস্ত্র কেনার জন্য এবং কেন দিয়েছিল সেই সব প্রশ্নের কিনারা করতে তৎপর হয়েছে তদন্তকারীরা ।