জলপাইগুড়ি, 11 মার্চ: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলার বাড়িতে সৌজন্য সাক্ষাৎকারে অনুন্নয়নের অভিযোগ করলেন এক সময়ের পাহাড়ের বেতাজ বাদশা বিমল গুরুং (Hill Area Received Development in Gurung Time) । এই সৌজন্য সাক্ষারকারে তিনি বলেন, "2012 সাল থেকে 2017 সাল পর্যন্ত আমি ক্ষমতায় ছিলাম । তখন পাহাড়ে উন্নয়ন হয়েছিল । তারপর আর কিছুই হয়নি ৷" গুরুঙের পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বারলা বললেন, গুরুঙের আশীর্বাদেই লোকসভা নির্বাচনে লড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি ।
শক্রবার আলিপুরদুয়ারের সাংসদ তথা সংখ্যালঘু উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী জন বারলার লক্ষ্মীপাড়া চা-বাগানের বাড়িতে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসেন বিমল গুরুং। দু'জনের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয় । সেই বৈঠকে বিমল গুরুং বলেন, "আমাদের রাজনৈতিক সমাধান চাই । পাহাড়, তরাই, ডুয়ার্সের গোর্খা, আদিবাসী ও রাজবংশীদের জন্য ভারত সরকারের কাজ করা উচিত। রাজনৈতিক সমাধানের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারকেও বলেছিলাম । তারা কী রাজনৈতিক সমাধান দিতে চায় সেটা জানতে চেয়েছিলাম । সময় আসবে, ভোট আসবে তখন কথা হয় কিন্তু আগামিদিনে ভারত সরকার এটা ভাবুক । এখানের চা শ্রমিকদের নুন্যতম মজুরি লাগু হয়নি । অনেক সমস্যা আছে মানুষের । পাট্টার বিষয়টিও দেখা উচিত । যাঁদের নিজের জমি নেই তাঁদের পাট্টা দেওয়া উচিত।"
বিমল গুরুং আরও জানান, শ্রমিকরা তাদের জমির পাট্টা পাচ্ছে না । 2012 থেকে 2017 সাল পর্যন্ত বিমল গুরুং পাহাড়ের দায়িত্বে ছিলেন ৷ তখন পাহাড়ের জন্য 600 কোটি টাকা কেন্দ্রীয় বরাদ্দ এসেছিল । 166 কোটি টাকা ডিজিএইচসি রেখেছিল ৷ সেটা দিয়েই পাহাড়ের উন্নয়ন হয়েছে । তারপর কিছুই করা হয়নি । গুরুংয়ের দাবি, তাঁর সময়েই উন্নতি হয়েছে । বর্তমানে উন্নয়নের নামে দুর্নীতি হচ্ছে । পাহাড়ে 1600 কোটি টাকার প্রকল্প আছে ষ কিন্তু কিছুই করা হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ।
আরও পড়ুন: আজ দার্জিলিং পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচন
কোন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বারলা বলেন, "বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে আমার বন্ধুত্বের সম্পর্ক । তাঁর আশীর্বাদে আমি লোকসভার টিকিট পেয়েছিলাম । তিনি আমার জন্য অনেক ভোট প্রচার করেছিলেন । উনি ডুয়ার্সে আন্দোলন করেছিলেন। বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব আছে । ভবিষ্যতেও তাঁর সহযোগিতা পাব আসা করি । তাঁকে আমি নিমন্ত্রণ করেছিলাম আমার বাড়িতে আসার জন্য । তাই তিনি এসেছিলেন ।"