দার্জিলিং, 1 জুন : লকডাউনে হোটেল কর্মীদের বেতন দেওয়া নিয়ে মতানৈক্য পাহাড়ে । পরিস্থিতি এমন ঘোরালো হয়েছে যে, শ্রম দপ্তরের দ্বারস্থ হতে হয়েছে দুই পক্ষকেই। তাতেও মেলেনি সমাধান সূত্র । শ্রম দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, শ্রমিক-মালিক প্রতিনিধিদের নিয়ে শীঘ্রই একটি বৈঠক হবে। সোমবার হোটেল মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয়েছে সহ-শ্রম কমিশনার দীপনারায়ণ ভান্ডারির । পাশাপাশি হোটেল শ্রমিক-কর্মচারিদের সরকারি আর্থিক প্যাকেজের আওতায় আনার দাবিও তোলা হয়েছে।
শৈল্যশহর দার্জিলিং লকডাউনে মুখ থুবড়ে পড়েছে। পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত দার্জিলিঙের হোটেল ব্যবসা দু' মাসের বেশি সময় ধরে পুরোপুরি বন্ধ। এই অবস্থায় হোটেল কর্মীদের বেতন কাটছাঁট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মালিকরা। মাত্র 30 শতাংশ বেতন দেওয়ার কথা জানিয়েছেন হোটেল মালিকরা।
দার্জিলিঙে প্রায় 20 হাজার হোটেল কর্মী রয়েছেন। হোটেলে কাজ করেই দিন কাটত তাঁদের । কিন্তু, লকডাউনে বন্ধ হোটেল। রোজগারের অন্য রাস্তাও বন্ধ। এই অবস্থায় 30 শতাংশ বেতন দিয়ে কী ভাবে সংসার চালাবেন? এই চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন হোটেল কর্মীরা।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ট্রেড ইউনিয়ন ও হোটেল মালিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেন দার্জিলিঙের সহকারী শ্রম আধিকারিক দীপনারায়ণ ভাণ্ডারি। কিন্তু, বৈঠকে কোনও সমাধান সূত্র বের না হওয়ায় দ্বিতীয় দফার বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অপরদিকে হোটেল শ্রমিক-কর্মচারী সংগঠনের দাবি, অবিলম্বে সরকারের আর্থিক প্যাকেজের আওতায় হোটেল শ্রমিক-কর্মচারীদের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।