শিলিগুড়ি, 15 ফেব্রুয়ারি: এবার পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তাকে (Raju Bista) একহাত নিলেন জিটিএ'র চিফ এগজিকিউটিভ অনিত থাপা (GTA CEO Anit Thapa)। বুধবার শালবাড়িতে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজু বিস্তার বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন তিনি ।
মূলত, 1986 সাল থেকে পাহাড়ে দ্বিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থা রয়েছে । কিন্তু নির্বাচন হয়নি । পাহাড়বাসীদের অন্যতম দাবি রয়েছে, পাহাড়ে দ্বিস্তরের পরিবর্তে গোটা রাজ্যের মতো ত্রিস্তরবিশিষ্ট পঞ্চায়েত ব্যবস্থা লাগু করা । তবে বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার কেন্দ্রের দ্বারস্থ হলেও কোন কাজ হয়নি বলে অভিযোগ । ফলে রাজ্যের সঙ্গে মিলে দ্বিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থাতেই কাজ করবে জিটিএ বলে জানিয়ে দেন অনিত থাপা । তবে সম্প্রতি লোকসভায় পাহাড়ে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান রাজু বিস্তা ।
আর সেই পরিপ্রেক্ষিতে এদিন অনিত থাপা বলেন, "এর আগেও সাংসদ অনেক কথা বলেছেন । কিন্তু কাজ হয়নি । খালি মুখে কথা বলে কিছু হবে না। কাজ করে দেখাতে হবে । আমরা রাজ্যের সঙ্গে মিলে কাজ করছি । এখন দ্বিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থা রয়েছে । 2023-এ দ্বিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে আর আমরা সেইভাবেই কাজ করব ।" এরপরই তিনি জানান, বললেই যদি হয়ে যেত সব কাজ, তবে এতদিনে গোর্খাল্যান্ডও হয়ে যেত । আগে চিনি চাইছিল । চিনি অন্য কেউ এনে দিল তো এখন দাবি লবণ হয়ে গিয়েছে । কেন্দ্রের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পাহাড়ে একটি কাজও হয়নি বলে অভিযোগ করেন অনিত । খালি স্বপ্ন দেখানো হচ্ছে । বিজেপি পারলে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নিয়ে আসুক ৷ আরও ভালো হবে। কিন্তু খালি ভেবেই চলছে বিজেপি বলে জানান তিনি ।
1986 সালের পর পাহাড়ে দ্বিতীয়বার পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে চলেছে । জিটিএ ও পৌরনিগম নির্বাচনে ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার জয়ের পর কোনঠাসা অজয় এডওয়ার্ড, বিমল গুরুং ও বিনয় তামাংরা । তাদের এখন যা রাজনৈতিক পরিস্থিতি তাতে পঞ্চায়েত নির্বাচন হলে নির্বাচনে জয়লাভ নিয়ে সংশয় রয়েছে বলে মনে করছে বিরোধীরা । এই অবস্থায় যাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাঘাত ঘটানো যায়, সেই ইস্যুতেই এখন সরব হয়েছে বিরোধীরা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ ।
আরও পড়ুন: 'যাঁরা গোর্খাল্যান্ডের নামে ভোট চেয়েছিলেন, তাঁরাই তা আনবেন !' বিমল-অজয়দের তোপ অনিতের