শিলিগুড়ি, 26 অক্টোবর: দ্বাপর যুগে দেবরাজ ইন্দ্রের প্রকোপ থেকে মর্ত্যবাসীকে বাঁচাতে গোবর্ধন পর্বতকে কোড়ে আঙুলে তুলে সাতদিন টানা দাঁড়িয়ে ছিলেন স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ (Krishna)। তারপর থেকেই হিন্দু সনাতনী ধর্মে গোবর্ধন পুজোর (Govardhan Puja) প্রচলন শুরু হয় । এবার শিলিগুড়ি ইস্কন মন্দিরে (ISKCON Temple) পরম শ্রদ্ধা ও নীতি আচার-অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে গোর্বধন পুজোর আয়োজন করা হয় ।
পুজোর কেন্দ্রই ছিল 108 রকম ব্যঞ্জনে তৈরি ছয় কুইন্টাল অন্নকূট ভোগ (Six quintals Annakoot Bhog) । আর সেই অন্নকূটই বুধবার গোবর্ধন হিসেবে পূজিত হয় । শুধু মাত্র মন্দির নয়, ভক্তদের তৈরি করে আনা অন্নভোগও এদিন গোবর্ধন পর্বতে জায়গা করে নেয় । অন্নকূটে পায়েস, ভাত, ডাল, তরকারি মিলিয়ে 108 ও হরেকরকমের মিষ্টি, দই, লুচি, পায়েস, খিচুড়ি, নাড়ু মিলিয়ে 151 রকম ভোগ নিবেদন করা হয়ে থাকে । ওই অন্নকূটই পরে প্রসাদ হিসেবে বিতরণ করা হয় ভক্তদের মধ্যে । একদিকে চলে ভোগ নিবেদন আর অন্যদিকে কীর্ত্তনের তালে নেচে ওঠে ভক্তরা ৷
এদিন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে ভক্ত ও দর্শনার্থীরা ইসকন মন্দিরে গোবর্ধন পুজো দেখতে মন্দিরে ভিড় জমান । গোবর্ধন পুজোর পাশাপাশি এদিন গোমাতা ও ব্রাহ্মণ পুজো হয় । পুজোর মহাপ্রসাদের জন্য দীর্ঘ লাইন দেখা যায় মন্দির চত্ত্বরে । ইসকন মন্দিরের প্রতিষ্ঠা থেকেই হয়ে আসছে গোবর্ধন উৎসব ।
আরও পড়ুন: শ্মশান থেকে পথের কালী, কেমন ছিল সেই ইতিহাস ?
শিলিগুড়ি ইসকন মন্দিরের প্রচার সচিব নামকৃষ্ণ দাস বলেন, "বিভিন্ন জেলা থেকে প্রচুর মানুষ গোবর্ধন উৎসবে সামিল হয় । গতবারের তূলনায় এবার অন্নকূট অনেকটাই বেড়েছে । এবার ছয় কুইন্টাল ভোগের অন্নকূট তৈরি হয়েছে ।" ভক্ত উত্তম গোপ বলেন, "গোবর্ধনের পাশাপাশি গোমাতা পূজন ও সনাতনী মতে ব্রাহ্মণ পুজো ও সেবাও এদিন হয়ে থাকে ।"