শিলিগুড়ি, 1 জুন: সুগন্ধে ভরে উঠেছে রাস্তা। কিন্তু কোথা থেকে আসছে সেই সুগন্ধ, কেউ টেরই পাচ্ছিলেন না। এরই মধ্যে দুই মহিলা রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে ঝোঁপের মধ্যে একটি ব্যাগ দেখতে পান। সেই ব্যাগের দিকে এগোতে তীব্র হল সুগন্ধ। ইতস্তত মনে ব্যাগটা খুলে দেখতেই চক্ষু চড়কগাছ দুই মহিলার! ব্যাগের ভিতর থেকে বেরিয়ে এল মহামূল্যবান মৃগনাভি। যা কস্তুরী নামে পরিচিত। একটা দু'টো নয়, শিলিগুড়ির রাস্তায় উদ্ধার হল 40 টি মৃগনাভি। যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় 45 লক্ষ টাকা ৷ ঘটনার পরই তীব্র চাঞ্চল্য শহরে ৷
বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি পৌরনিগমের 20 নম্বর ওয়ার্ডের। জানা গিয়েছে, এদিন ওই ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা দুই মহিলা রাস্তার দিয়ে যাওয়ার সময় ব্যাগটি পড়ে থাকতে দেখেন। ব্যাগটি থেকে সুগন্ধ বেরোতেই তাঁদের সন্দেহ হয় ৷ তাঁরা ব্যাগ খুলে ওই কস্তুরীগুলি দেখতে পান। এরপর খবর দেওয়া হয় ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অভয়া বোসকে। তিনি পৌঁছে বনদফতরে খবর দেন। খবর পেয়ে বনদফতরের কর্মীরা পৌঁছে কস্তুরীগুলিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। তবে কোথা থেকে এই কস্তুরীগুলি এল, তা অজানা ৷ ফলত ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বনদফতর।
আরও পড়ুন : 50 লক্ষেরও বেশি মূল্যের সোনার বিস্কুট-সহ ধৃত পাচারকারী
বনদফতরের প্রাথমিক অনুমান, পাচারের উদ্দেশ্যেই ওই মৃগনাভিগুলি আনা হয়েছিল। তবে পাচারের আগে সেগুলিকে লুখিয়ে রাখা হয়েছিল বলে অনুমান। মৃগনাভি বা কস্তুরী হল মূলত পুরুষ হরিণের নাভিতে অবস্থিত সুগন্ধী গ্রন্থি নিঃসৃত পদার্থের নাম। মিলন ঋতুতে পুরুষ হরিণের পেটের কাছের কস্তুরী গ্রন্থি থেকে সুগন্ধ বের হয়। যা মেয়ে হরিণকে আকৃষ্ট করে ৷ পুরুষ হরিণের দশ বছর বয়স হলে যখন নাভির গ্রন্থি পরিপক্ব হয় সেই সময় হরিণটিকে হত্যা করে তার নাভি থেকে তুলে নেওয়া হয় এটি। তারপর রোদে শোকানো হয়। একটা পূর্ণাঙ্গ কস্তুরী গ্রন্থির ওজন প্রায় 60-65 গ্রাম। কালোবাজারে এই কস্তুরীর ব্যাপক চাহিদা। ওই বিষয়ে বৈকুন্ঠপুর ডিভিশনের ডিএফও হরে কৃষ্ণা বলেন, "কস্তুরীগুলো উদ্ধার হয়েছে। কোথা থেকে কারা এতগুলো কস্তুরী নিয়ে এল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"