দার্জিলিং, 9 অক্টোবর: সিকিমের লোকান লেক ভেঙে হড়পা বানের মৃতের সংখ্যা ক্রমশই বেড়ে চলেছে । গত 24 ঘণ্টায় শুধুমাত্র সিকিমে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে 34 জন । অন্যদিকে, জলপাইগুড়ি জেলায় উদ্ধার হয়েছে 42 জনের মৃতদেহ । সব মিলিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃতের সংখ্যা মোট 76 জন । তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও পর্যটকের মৃত্যুর খবর মেলেনি ।
কিন্তু এদিকে, এখনও পর্যন্ত 10 নম্বর জাতীয় সড়কের অবস্থা স্বাভাবিক না হওয়ায় কিছুটা হলেও উদ্ধারকাজে গিয়ে সমস্য়ায় পড়তে হচ্ছে প্রশাসন ও ভারতীয় সেনাকে । অন্যদিকে, সোমবার সকাল থেকে আবহাওয়া কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় এয়ারলিফটের মাধ্যমে উত্তর সিকিমের বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকদের উদ্ধারের কাজ শুরু করেছে ভারতীয় সেনা ।
এই প্রসঙ্গেই হিমালয়ান হসপিটালিটি ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, "সিকিমে মৃতের সংখ্যা যেমন বেশি তেমনই জলপাইগুড়িতেও প্রচুর দেহ ভেসে এসেছে । যার মধ্যে বেশ কয়েকজন ভারতীয় সেনার জওয়ানের দেহও রয়েছে । তবে কোনও পর্যটকের মৃত্যুর খবর নেই । সকলকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হয়েছে । কিন্তু সিকিমের সার্বিক যা পরিস্থিতি তাতে এই সংকট কাটিয়ে উঠতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে ।"
তাঁর কথার রেশ টেনেই ইস্টার্ন হিমালয়ান ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দেবাশিস মৈত্র বলেন, "সিকিমে 33 জনের মৃত্যু হয়েছে । মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে । তিস্তাতেও 40 জনের বেশি দেহ উদ্ধার হয়েছে । তবে এখনও পর্যটকের কোনও মৃত্যু নেই। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন দ্রুত 10 নম্বর জাতীয় সড়ক মেরামত করে যান চলাচল স্বাভাবিক করা । তা না হলে সমস্যা আরও বাড়বে ।"
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ নিয়ে উদ্বিগ্ন মমতা, সেচমন্ত্রীকে দ্রুত শিলিগুড়িতে পৌঁছনোর নির্দেশ
এদিকে সিকিম প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হড়পা বানের জেরে সিকিমের 90টি গ্রাম সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । যার ফলে প্রায় 86 হাজার মানুষ ঘর বাড়ি হারিয়েছে । 34 জনের মৃত্যুর পাশাপাশি এখনও 105 জন নিখোঁজ রয়েছে । 2 হাজার 563 জনকে উদ্ধারের পাশাপাশি 2 হাজার 764 জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে । সিকিমে 26টি রিলিফ ক্যাম্পে 6 হজার 505 জন রয়েছে । 14টি সেতু সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ।