দার্জিলিং, 6 মে: রাজ্য সরকারের সম্মতি না মেলায় থমকে দার্জিলিং থেকে বিজনবাড়ি পর্যন্ত রোপওয়ে পুনর্নির্মাণের কাজ ৷ এমনই অভিযোগ করলেন দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তা ৷ ওই রোপওয়ে পরিষেবার কাজ কী অবস্থায় রয়েছে ? তা জানতে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নীতীন গড়করিকে চিঠি লেখেন সাংসদ ৷ সেই চিঠির উত্তরে নীতীন গড়করি গত 28 এপ্রিল জানিয়েছিলেন, রাজ্যের তরফে সম্মতি পাওয়া যায়নি ৷ সম্মতি পেলে রোপওয়ে পরিষেবা পুনরায় শুরু করতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে ৷
উল্লেখ্য, 80 দশকে বন্ধ হয়ে যাওয়া রোপওয়ে ফের চালু করার জন্য গত 18 জানুয়ারি কেন্দ্রী সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নীতীন গডকরিকে আবেদন করেছিলেন রাজু বিস্তা ৷ গত 28 এপ্রিল দার্জিলিঙের সাংসদকে সেই চিঠির জবাব দেন মন্ত্রী ৷ সেখানে তিনি লিখেছিলেন, “আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখেছি ৷ আপনার অনুরোধে ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে সম্মতি চেয়ে 2022 সালের 7 মার্চ একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে ৷ পর্বতমালা পরিযোজনার অধীনে রোপওয়ের কাজের জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে ৷ এর জন্য রাজ্যের সম্মতি চেয়ে অনুরোধ করা হয়েছে ৷ একবার রাজ্য সরকারের কাছ থেকে সম্মতি পাওয়া গেলে, আরও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷’’
রাজু বিস্তা অভিযোগ করেছেন, রাজ্য সরকার দার্জিলিং থেকে বিজনবাড়ি পর্যন্ত রোপওয়ে পরিষেবা ফের শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় সম্মতি দিচ্ছে না ৷ তিনি নীতীন গড়করিকে জানিয়েছিলেন, 1939 সালে নির্মিত দার্জিলিং-বিজনবাড়ি রোপওয়ে বাণিজ্য শহর হিসেবে বিজনবাড়ির উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখেছিল ৷ আটের দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত দার্জিলিং শহর এবং বিজনবাড়ির মধ্যে যাতায়াতের রাস্তা ছিল না ৷ রোপওয়ে এই অঞ্চলের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল ৷
রাজু বিস্তা জানিয়েছেন, বিজনবাড়ি তথা নিকটবর্তী অঞ্চলে একমাত্র যোগাযোগ ও পণ্য পরিবহণের মাধ্যম ছিল আট মাইল দীর্ঘ এই রোপওয়ে ৷ বর্তমানে তা দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে ৷ তাই রোপওয়ে পরিষেবা ফের শুরু করার আবেদন করেছিলেন সাংসদ ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি কেন্দ্রীয় সরকারের পর্বতমালা প্রকল্পের অধীনে রোপওয়েটিকে পণ্য ও যাত্রী পরিষেবার জন্য পুনর্নির্মাণ করতে আবেদন করেছিলাম ৷ কিন্তু, রাজ্য সরকারের কাছ থেকে সবুজ সংকেত মিলছে না ৷’’
আরও পড়ুন: দার্জিলিংয়ে 109 বছরের বারবোটে ঝুলন্ত সেতু পর্যটনের নয়া ঠিকানা
ওই রোপওয়ে নির্মাণ হলে বিজনবাড়ি অঞ্চলের পর্যটন শিল্প যেমন বাড়বে ৷ তেমনি কৃষকরা তাদের কৃষি পণ্য সহজে দার্জিলিঙে পৌঁছতে পারবে ৷ সেই সঙ্গে ওই অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতিতে সাহায্য করবে ৷ পাশাপাশি রোপওয়ে পরিবেশ বান্ধব হওয়ায় দূষণরোধ হবে ৷ দার্জিলিং শহর এবং বিজনবাড়ির মধ্যে যাতায়াতে প্রায় তিন ঘণ্টা সময় কমবে ৷ কমবে যানজটও ৷