শিলিগুড়ি, 23 মে: বাজি নিয়ে আগেই পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছিল নবান্ন । আর মঙ্গলবার ভোরে মালদার বাজির গুদামে আগুন লাগার ঘটনার পর আরও তৎপর হল রাজ্য সরকার । আর রাজ্যের নির্দেশের পরই নড়েচড়ে বসল দার্জিলিং জেলা প্রশাসন ও শিলিগুড়ি পৌরনিগম । মালদার ইংরেজবাজারে বাজির গুদাম থেকে বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি ।
এই ধরনের ঘটনা যাতে আর কোনওভাবেই কোথাও না ঘটে তার জন্য এখন থেকেই তৎপরতা শুরু করেছে পুলিশ প্রশাসন । তবে দার্জিলিং জেলা কিংবা শিলিগুড়িতে বাজি কারখানা না-থাকায় কিছুটা হলেও স্বস্তিতে প্রশাসন । তবে প্রশাসনের চোখের আড়ালে কোথাও বাজি অবৈধভাবে মজুত রয়েছে কি না, তার জন্য এখন থেকেই পদক্ষেপ শুরু করা হচ্ছে বলে জানালেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব ও দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্নমবলম ।
এই বিষয়ে মেয়র গৌতম দেব বলেন, "শিলিগুড়ির পৌর এলাকায় কোথাও বাজি তৈরির কারখানা নেই । তবে কিছু দোকান রয়েছে । আদালতের গাইডলাইন ও রাজ্যের যা নির্দেশিকা রয়েছে তা কঠোরভাবে মানা হবে । এরপরেও কোনও অবৈধ বাজি কোথাও মজুত রয়েছে কি না, সেটা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখা হবে । এই বিষয়ে পুলিশ, প্রশাসন ও দমকলকে নিয়ে বৈঠক করা হবে ।"
আরও পড়ুন : ঘিঞ্জি এলাকায় বাজির গুদামে আগুন ! বিস্ফোরণের কারণ বাজি না কার্বাইড ?
দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্নমবলমের কথায়, "রাজ্য সরকারের নির্দেশ এসেছে । প্রত্যেক থানাকে নজরদারির জন্য বলা হয়েছে । মহকুমায় একটি বৈধ বাজি কারখানা রয়েছে । সেটা গ্রিন ক্র্যাকার অর্থাৎ সবুজ বাজির কারখানা । আর কোথাও অবৈধ কারখানা বা অবৈধ বাজি মজুত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে ।"
16 মে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের রেশ কাটতে না কাটতেই 21 মে বজবজে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয় ৷ আর আজ 23 মে মালদার বাজির গুদামে আগুন লাগার ঘটনা ঘটল ৷ স্বাভাবিকভাবেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই হোক বা এমনি, ঘটনায় চিন্তা বেড়েছে প্রশাসনের ৷ তাতেই বৈধ বাজি কারখানাগুলির উপর নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন ৷
আরও পড়ুন : বজবজে বিস্ফোরণের পর বৈধ বাজি কারখানাগুলির উপর নজরদারির নির্দেশ নবান্নের