শিলিগুড়ি, ৩১ মার্চ : দীর্ঘ টালাবাহানার পর কাওয়াখালিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনসভা করার অনুমতি দিয়েছে SJDA (শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ)। কিন্তু, মাঠের মাপ সহ একাধিক বিষয় নিয়ে অসন্তুষ্ট BJP জেলা নেতৃত্ব। তবে তাদের বক্তব্য, "নেই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো"।
৩ এপ্রিল শিলিগুড়িতে নির্বাচনী জনসভা করবেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর সভার অনুমতি নিয়ে প্রশাসন ও BJP-র মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল। প্রাথমিকভাবে কাওয়াখালিতে SJDA-র নিজস্ব জমিতে সভা করার অনুমতি চাওয়া হয় BJP-র তরফে। কিন্তু তখন সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি। তারপর অম্বিকানগরে রেলের জমিতে সভা করা হবে বলে ঠিক হয়। গতকাল সেই মাঠ পরিদর্শনে গেছিলেন রাজ্য পুলিশের উত্তরবঙ্গের IG সহ শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার ও অন্যান্য পদস্থ পুলিশ কর্তারা। কিন্তু, হেলিকপ্টার নামানোর ক্ষেত্রে সমস্যা থাকায় শেষপর্যন্ত কাওয়াখালিতেই "বিশ্ব বাংলা শিল্পী হাট"-এর পাশে প্রায় ১৫ একর ফাঁকা জমিতে সভার অনুমতি দেয় প্রশাসন।
যদিও BJP নেতাদের দাবি, মোদির সভার জন্য কাওয়াখালির মাঠটিও পর্যাপ্ত নয়। তাছাড়া, পাশেই হাট থাকায় মাঠের একদিক রুদ্ধ। রাস্তার উপর মানুষ দাঁড়াতে পারবে না। এসব চিন্তাভাবনা করেই তাঁরা প্রথমে কাওয়াখালির মাঠের উলটোদিকের ফাঁকা জমিতে সভার অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু, আইনি জটিলতার কারণ দেখিয়ে SJDA সেখানে সভার অনুমতি দেয়নি।
তবে বিতর্ক দূরে সরিয়ে আপাতত জোরকদমে জনসভার প্রস্তুতি চলছে। BJP সূত্রে খবর, দুটি মঞ্চ তৈরি করা হবে। একটি মূল মঞ্চ হবে। তার উচ্চতা প্রায় ১০ ফুট ও দৈর্ঘ্য প্রায় ৩০ ফুট। সেই মঞ্চেই মোদি সহ অন্য হেভিওয়েট নেতারা থাকবেন। মূল মঞ্চ থেকে কিছুটা দূরে আরও একটি মঞ্চ তৈরি করা হবে। উচ্চতা প্রায় ৮ ফুট। সেই মঞ্চে বিভিন্ন জেলার নেতারা থাকবেন। তবে, উত্তরবঙ্গের আটটি কেন্দ্রের প্রার্থীই সভায় হাজির থাকবেন কি না সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
BJP-র শিলিগুড়ি জেলা কমিটির সভাপতি অভিজিৎ রায়চৌধুরি বলেন, "প্রধানমন্ত্রীর সভার জন্য যে কোনও মাঠই ছোটো। তাঁর সভায় পাঁচ থেকে সাত লাখ মানুষের সমাগম হয়। আমাদের আশা, প্রধানমন্ত্রীর সভা সফল হবে। লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে।"
তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রীর সভা উত্তরবঙ্গের ভোটব্যাঙ্কে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। তাঁর কথায়, "মোদি শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। তাঁর প্রতি মানুষের যে আবেগ, ভালোবাসা রয়েছে তা হয়তো বিশ্বের কোনও নেতার নেই। মোদি আসার ফলে পশ্চিমবঙ্গ বিশেষত উত্তরবঙ্গে যে BJP ও মোদি ঝড় চলছে তা আরও তুঙ্গে উঠবে। "