ETV Bharat / state

Devi Chaudhurani: ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরানির ইতিহাস আঁকড়ে আজও পূজিত হন বনদুর্গা

ইতিহাস বলে ডাকাতি করতে বেরোনোর আগে এই মন্দিরে পুজো দিতেন সর্দার ভবানী পাঠক ও তাঁর যোগ্য শিষ্যা দেবী চৌধুরানী (Devi Chaudhurani) ৷ এই গভীর জঙ্গলেই তাঁদের গোপন আস্তানা ছিল বলে জানা যায় ৷ শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভার অন্তর্গত বৈকন্ঠপুর গভীর জঙ্গলের প্রায় আড়াই কিমি পথ গেলে মিলবে সেই মন্দির ৷ প্রতি পৌষমাসের পূর্ণিমায় এখানে পূজিতা হন দেবী বনদুর্গা ৷

Etv Bharat
বনদুর্গার পুজো
author img

By

Published : Jan 6, 2023, 8:51 PM IST

শিলিগুড়িতে ঐতিহাসিক বনদুর্গার মন্দির

শিলিগুড়ি, 6 জানুয়ারি: গভীর জঙ্গল । মাঝে কিছুটা কাঁচা রাস্তা । সেই আকাঁবাকা পথ ধরে এগিয়ে গেলেই দেখা মিলবে এক মন্দিরের ৷ সেখানেই পূজিত হচ্ছেন মা বনদুর্গা (Banadurga Worshipped in a Temple of Siliguri) । একদিনের এই পুজোয় হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয় । তবে এই পুজোর পিছনে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রয়েছে ডাকাত সর্দার ভবানী পাঠক ও তাঁর যোগ্য শিষ্যা দেবী চৌধুরানির ইতিহাস (Memory of Bhavani Pathak and Devi Chaudhurani)৷

পাশাপাশি রয়েছে সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'দেবী চৌধুরানি' উপন্যাসে উল্লিখিত দিল্লি ভিটা ও চাঁদের খাল জায়গা দু'টি ৷ তবে এই জায়গায় এখন উত্তরবঙ্গবাসীর কাছে পরিচিত বনদুর্গার মন্দির (Siliguri Bana Durga Mandir) হিসেবে ৷ কথিত আছে দেবী চৌধুরানি নাকি নৌকা করে করতোয়া নদী পেরিয়ে এখানে এসে পুজো শুরু করেছিলেন । তখন থেকেই এখানে সূচনা হয় পুজোর । প্রথমদিকে অবশ্য ওই এলাকায় ঠুনঠুনিয়া গ্রাম থাকায় দেবী 'ঠুনঠুনিয়া মা' নামে পরিচিত ছিলেন ৷

শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভার অন্তর্গত বৈকুণ্ঠপুর অভয়ারণ্যের (Siliguri Baikunthapur Forest) প্রায় আড়াই কিলোমিটার ভিতরে অবস্থিত এই মন্দির । এক সময় ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরানির গোপন আস্তানা ছিল এই মন্দিরে । ডাকাতির আগে এই মন্দিরেই পুজো দিয়ে বেরোতেন দেবী চৌধুরানি । তারপর কালক্রমে প্রতি বছর পৌষমাসের পূর্ণিমা তিথিতে রীতি মেনে জাঁকজমক করে পুজো হয় এই মন্দিরে । বছরের অন্যান্য সময় জনমানবশূন্য থাকলেও পুজোর দিন ভক্ত সমাগম হয় প্রচুর ৷

আরও পড়ুন : 11 মুখোশে সাড়ে 300 বছর ধরে মহিলা পুরোহিতের হাতে পূজিত হচ্ছেন মালদার জহুরাচণ্ডী

প্রথমে স্থানীয় রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষরা ঠুনঠুনির পুজো নামে মন্দিরে পুজোর শুরু করেন । পরবর্তীকালে 42 বছর ধরে একটি নতুন কমিটি গঠন করে বন দফতর, জেলা প্রশাসন ও পুলিশের সহযোগিতায় মা বনদুর্গার পুজো করে আসছেন উদ্যোক্তারা । প্রতি বছর পৌষমাসের পূর্ণিমা তিথিতে গভীর রাতে মা বনদুর্গার পুজো হয় । তবে করোনার সময় থেকে রাতের বদলে দিনে এই পুজো করার অনুমতি দেয় প্রশাসন ৷ এই পুজো দেখতে জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কোচবিহার এমনকি পার্শ্ববর্তী রাজ্য আসাম এবং বাংলাদেশ থেকেও প্রচুর মানুষ আসেন ।

পৌষ পূর্ণিমায় বাৎসরিক পুজো অনুষ্ঠিত হলেও প্রতি পূর্ণিমায় দেবীর নিত্যপূজা হয়ে থাকে ৷ এই বিষয়ে পুজো কমিটির সম্পাদক রাজু সাহা বলেন, "প্রতি বছর রাতে পুজোর আয়োজন করা হয় এবং লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয় । গত বছর করোনার জন্য দিনেরবেলায় পুজোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল প্রশাসন থেকে ৷ এবার রাতেও পুজো হবে তবে ভক্তদের জন্য সকাল থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে ৷ তাই দিনেও পুজো হচ্ছে ৷"

আরও পড়ুন : ডাকাত কালী থেকে সিদ্ধেশ্বরী, কীভাবে পরিবর্তিত হলেন 600 বছরের প্রাচীন দেবী ?

শিলিগুড়িতে ঐতিহাসিক বনদুর্গার মন্দির

শিলিগুড়ি, 6 জানুয়ারি: গভীর জঙ্গল । মাঝে কিছুটা কাঁচা রাস্তা । সেই আকাঁবাকা পথ ধরে এগিয়ে গেলেই দেখা মিলবে এক মন্দিরের ৷ সেখানেই পূজিত হচ্ছেন মা বনদুর্গা (Banadurga Worshipped in a Temple of Siliguri) । একদিনের এই পুজোয় হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয় । তবে এই পুজোর পিছনে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রয়েছে ডাকাত সর্দার ভবানী পাঠক ও তাঁর যোগ্য শিষ্যা দেবী চৌধুরানির ইতিহাস (Memory of Bhavani Pathak and Devi Chaudhurani)৷

পাশাপাশি রয়েছে সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'দেবী চৌধুরানি' উপন্যাসে উল্লিখিত দিল্লি ভিটা ও চাঁদের খাল জায়গা দু'টি ৷ তবে এই জায়গায় এখন উত্তরবঙ্গবাসীর কাছে পরিচিত বনদুর্গার মন্দির (Siliguri Bana Durga Mandir) হিসেবে ৷ কথিত আছে দেবী চৌধুরানি নাকি নৌকা করে করতোয়া নদী পেরিয়ে এখানে এসে পুজো শুরু করেছিলেন । তখন থেকেই এখানে সূচনা হয় পুজোর । প্রথমদিকে অবশ্য ওই এলাকায় ঠুনঠুনিয়া গ্রাম থাকায় দেবী 'ঠুনঠুনিয়া মা' নামে পরিচিত ছিলেন ৷

শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভার অন্তর্গত বৈকুণ্ঠপুর অভয়ারণ্যের (Siliguri Baikunthapur Forest) প্রায় আড়াই কিলোমিটার ভিতরে অবস্থিত এই মন্দির । এক সময় ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরানির গোপন আস্তানা ছিল এই মন্দিরে । ডাকাতির আগে এই মন্দিরেই পুজো দিয়ে বেরোতেন দেবী চৌধুরানি । তারপর কালক্রমে প্রতি বছর পৌষমাসের পূর্ণিমা তিথিতে রীতি মেনে জাঁকজমক করে পুজো হয় এই মন্দিরে । বছরের অন্যান্য সময় জনমানবশূন্য থাকলেও পুজোর দিন ভক্ত সমাগম হয় প্রচুর ৷

আরও পড়ুন : 11 মুখোশে সাড়ে 300 বছর ধরে মহিলা পুরোহিতের হাতে পূজিত হচ্ছেন মালদার জহুরাচণ্ডী

প্রথমে স্থানীয় রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষরা ঠুনঠুনির পুজো নামে মন্দিরে পুজোর শুরু করেন । পরবর্তীকালে 42 বছর ধরে একটি নতুন কমিটি গঠন করে বন দফতর, জেলা প্রশাসন ও পুলিশের সহযোগিতায় মা বনদুর্গার পুজো করে আসছেন উদ্যোক্তারা । প্রতি বছর পৌষমাসের পূর্ণিমা তিথিতে গভীর রাতে মা বনদুর্গার পুজো হয় । তবে করোনার সময় থেকে রাতের বদলে দিনে এই পুজো করার অনুমতি দেয় প্রশাসন ৷ এই পুজো দেখতে জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কোচবিহার এমনকি পার্শ্ববর্তী রাজ্য আসাম এবং বাংলাদেশ থেকেও প্রচুর মানুষ আসেন ।

পৌষ পূর্ণিমায় বাৎসরিক পুজো অনুষ্ঠিত হলেও প্রতি পূর্ণিমায় দেবীর নিত্যপূজা হয়ে থাকে ৷ এই বিষয়ে পুজো কমিটির সম্পাদক রাজু সাহা বলেন, "প্রতি বছর রাতে পুজোর আয়োজন করা হয় এবং লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয় । গত বছর করোনার জন্য দিনেরবেলায় পুজোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল প্রশাসন থেকে ৷ এবার রাতেও পুজো হবে তবে ভক্তদের জন্য সকাল থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে ৷ তাই দিনেও পুজো হচ্ছে ৷"

আরও পড়ুন : ডাকাত কালী থেকে সিদ্ধেশ্বরী, কীভাবে পরিবর্তিত হলেন 600 বছরের প্রাচীন দেবী ?

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.