শিলিগুড়ি, ৩ মার্চ : "পাহাড়ের ১৬টি রাজনৈতিক দলের অনেক নেতার জন্ম নেপালে।" কয়েকদিন আগে সাংবাদিক বৈঠকে BJP-র কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা দার্জিলিঙের সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া এই মন্তব্য করেন। এরপর থেকেই পাহাড়ের রাজনৈতিক দলগুলি তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে শামিল হয়। বিপাকে পড়ে গতকাল সোশাল মিডিয়ায় ক্ষমা চান আলুওয়ালিয়া। কিন্তু, তবুও তাঁর বিরুদ্ধে আজও বিক্ষোভে সরব রাজনৈতিক দলগুলি। আজ কালিম্পঙে আলুওয়ালিয়ার কুশপুতুলে জুতোর মালা পরিয়ে বিক্ষোভ দেখায় রাজনৈতিক দলগুলি। কালিম্পংয়ের ডম্বরচকে মোর্চার বিনয় তামাং গোষ্ঠীর লোকজন তার কুশপুতুল পোড়ায়।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে জনৈক এ ডি সিং বলেন, " গতবছর ১০৫ দিন পাহাড় বনধের সময় একবারও এখানে আসেননি সুরেন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। ওই সময় পাহাড়ের মানুষ কিভাবে দিন কাটিয়েছে তাঁর খোঁজ পর্যন্ত নেননি। বনধের পরেও পাহাড়ে আসেননি তিনি। তাই পাহাড়ের মানুষ এবার তাঁকে ভোট দেবে না বুঝতে পেরে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের সমতলের চারটি বিধানসভা কেন্দ্রকে পাখির চোখ করেছেন তিনি। এটা করতে গিয়ে তিনি পাহাড়-সমতলের মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছেন। তাই ২৭ ফেব্রুয়ারি শিলিগুড়িতে ওই বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি।
"
মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন, " রাজনৈতিক নেতাদের সংযত হয়ে কথা বলতে হবে। নাগরিকত্বের মতন স্পর্শকাতর বিষয়ে বলার আগে তাঁদের ভাবতে হবে। যারা দেশের নাগরিক তাঁদের নাগরিকত্ব রক্ষার দায়িত্ব সরকারের।"
জন আন্দোলন পার্টি, GNLF, CPI(M), CPR(M) সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বলেন, "সংসদ ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হয়ে আলুওয়ালিয়ার এই মন্তব্য অত্যন্ত নিন্দনীয়। দেশের সুরক্ষায় গোর্খাদের অবদান স্মরণ করিয়ে নেতারা জানান পাহাড় আলুওয়ালিয়াকে আর চায় না। উনি ভূমিপুত্র নন। পাহাড়ের গোর্খাদের অপমান করেছেন সংসদ। এবার তাঁকে প্রত্যাখ্যান করবে পাহাড়ের জনতা।