কালিম্পং, 14 মার্চ: মল্লির গুলি কাণ্ডে গ্রেপ্তার কালিম্পং পৌরসভার কাউন্সিলর কুণাল প্রধান। শনিবার রাতে কালিম্পং থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। এরপর পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। কালিম্পং-এর পুলিশপ্রধান হরেকৃষ্ণ পাই এই গ্রেপ্তারির কথা জানান।
শনিবারই মোর্চা সভাপতি বিনয় তামাং পুলিশের কাছে কুণাল প্রধানকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। এরপরই আজ সন্ধ্যায় থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন কালিম্পং পৌরসভার 1 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। কুণাল প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত 10 মার্চ মল্লিতে 10 নম্বর জাতীয় সড়কে প্রকাশ্যে গুলি চালান তিনি। যে গুলিতে জখম হন দুই যুবক৷ বর্তমানে যারা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযোগ, সেবক-রংপো রেল প্রকল্পের কাজের বরাত সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিবাদের জেরে মল্লিতে ওইদিন এক বৈঠকে হাজির হন কুণাল প্রধান। বৈঠকে বচসা থেকে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি৷ এমনকী প্রকাশ্যে গুলি চালান। ঘটনাস্থান ছেড়ে পালালেও কুণাল প্রধানের গাড়ি থেকে একটি পিস্তল পাওয়া যায়। অভিযোগ, ওই পিস্তল থেকেই গুলি চালানো হয়। সেদিনের ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়ায় পাহাড়ে।
পরবর্তীকালে ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের দাবিতে স্থানীয়রা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। এই ঘটনা পাহাড়ের রাজনীতিতেও উত্তেজনা ছড়ায়। এরপরই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিনয়-পন্থী শিবির কুণাল প্রধানকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করে। যদিও ঘটনার পর কয়েকদিন কেটে গেলেও পুলিশ গুলি কাণ্ডে জড়িত কাউন্সিলরকে গ্রেপ্তার করে উঠতে পারেনি৷ যা নিয়ে শনিবার সকালে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিনয় তামাং। মোর্চা নেতা বলেন, "কুণাল প্রধান কালিম্পং-এ রয়েছেন। অথচ পুলিশ তাঁকে খুঁজে পাচ্ছেন না।"
এরপর আজ সন্ধ্যায় কুণাল প্রধান থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।