বেআইনি সুতি জালে আটকে যাচ্ছে মাছ, আশঙ্কায় মৎস্যজীবীরা

দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারি ব্লকের উপর দিয়ে টাঙ্গন নদী । মৎস্যজীবীদের একাংশ বেঁচে আছেন এই নদীর ভরসায় । তাঁদের অভিযোগ , কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেআইনিভাবে বসাচ্ছে সুতি জাল ৷ নদীর পাশে এই অসাধু ব্যবসায়ীদের আস্তানা ৷ তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন 10-12 জন মৎস্যজীবী ৷ নদীর ঘাট সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয় ৷ এরপর নদীতে মাছ ধরে । এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন অন্যান্য ব্যবসায়ীরা ৷

বংশীহারি , 18 অক্টোবর : বংশীহারি ব্লকের টাঙ্গন নদীর উপর বেআইনিভাবে বসানো হয়েছে সুতির জাল, অভিযোগ এলাকার মৎস্যজীবীদের ৷ এতে সমস্যার মুখে মৎস্যজীবীরা ৷ সুতি জালের জন্যই নদীতে কমে গেছে মাছের পরিমাণ৷ ক্ষতির মুখে মৎস্য-ব্যবসা ৷

দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারি ব্লকের উপর দিয়ে টাঙ্গন নদী । মৎস্যজীবীদের একাংশ বেঁচে আছেন এই নদীর ভরসায় । মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেআইনিভাবে বসাচ্ছে সুতি জাল ৷ নদীর পাশে এই অসাধু ব্যবসায়ীদের আস্তানা ৷ তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে 10-12 জন মৎস্যজীবী ৷ মোটা টাকার বিনিময়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর হয়ে এই কাজ করছেন তারা ৷ টাঙ্গন নদীর কয়েকটি জায়গায় বসিয়েছে সুতি জাল ।

একই ঘটনা এলাহাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের বরখৈল গ্রামেও । এই গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও লাভ হয়নি ৷

এই বিষয়ে এলাকার এক বাসিন্দা অভিজিৎ মিস্ত্রি জানান, স্থানীয়রা কিছু বলার সাহস পায় না ৷ কারণ প্রশাসনিক কর্তাদের মদত রয়েছে । এই সুতি জালের জন্য নদীর মাটি নরম হয়ে যাচ্ছে ৷ তলিয়ে যাওয়ার মুখে রাস্তাঘাট এবং বাড়িঘর ৷ প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশ এর জন্য দায়ী ।

বংশীহারি নদী ও পরিবেশ সমিতির সভাপতি অমর পাল বলেন , " আমরা খুব তাড়াতাড়ি এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করব ৷ গঙ্গারামপুর মহাকুমার আধিকারিকের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেব ৷ প্রশাসনকে বলব সঠিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ।"