ETV Bharat / state

দলের কিছু বিশ্বাসঘাতকের জন্যই হেরেছি, নাম না করে বিপ্লবকে আক্রমণ অর্পিতার

ব্লক কমিটির সভা থেকেই নাম না করে বিপ্লব মিত্রকে আক্রমণ করলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ । লোকসভা ভোটে পরাজয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমাদের মধ্যেকার কয়েকজন বিশ্বাসঘাতক  উলটো দিকে ভোট করিয়ে দিল বলেই আমরা হেরে গেলাম ।"

ব্লক কমিটির সভায় অর্পিতা ঘোষ
author img

By

Published : Jul 4, 2019, 12:17 PM IST

গঙ্গারামপুর, 4 জুলাই : দলের কিছু বিশ্বাসঘাতকের জন্যই লোকসভা ভোটে হার হয়েছে । দলীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নাম না করে বিপ্লব মিত্রকে আক্রমণ করেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ । তিনি জানান, হার-জিত জীবনের নিয়ম । এবারের ভোটে জয়লাভ করলে 2021-র বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের 6টি আসন হাতছাড়া হয়ে যেত ।

বালুরঘাটে দলের সংগঠন মজবুত করতে নতুন করে ব্লক কমিটি গঠন করছেন তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ । গতকাল গঙ্গারামপুরের চৌমাথায় সেই ব্লক কমিটির সভায় নাম না করে বিপ্লব মিত্রকে আক্রমণ করলেন অর্পিতা । লোকসভা ভোটের পর বিপ্লব মিত্র তৃণমূল ছেড়ে জেলা পরিষদের 10 সদস্যকে নিয়ে BJP-তে যোগদান করেন । তাই জেলা পরিষদ দখল রাখতে মরিয়া তৃণমূল । ব্লক কমিটির সভা থেকেই লোকসভা ভোটে পরাজয় প্রসঙ্গে অর্পিতা ঘোষ বলেন, "মানুষ এখনও তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছেন । 2014-র থেকে এবার বেশি শতাংশ ভোট পেয়েছি । আমাদের মধ্যেকার কয়েকজন বিশ্বাসঘাতক উলটো দিকে ভোট করিয়ে দিল বলেই আমরা হেরে গেলাম । কোনও দুঃখ নেই । হার-জিত জীবনের নিয়ম । আর হেরে গেছি বলেই 2021 সালে 6টা আসন তৃণমূল কংগ্রেস পাবে ।" এরপরই তিনি নাম না করে বিপ্লব মিত্রের উদ্দেশ্যে বলেন, " যারা বলেন, মমতার ছবি দিয়ে কাজ হয় না, তাদের বলি যে সময় জিতেছিলেন তখন পিছনে তৃণমূলের প্রতীক আর মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ছিল । মমতা ব্যানার্জির জন্যই সবাই তৃণমূল কংগ্রেসে আছেন । দল বড় কোনও ব্যক্তি বড় নয় । দম থাকলে আগামীদিনে আবার ভোটে জিতে দেখান । তৃণমূল কংগ্রেসকে হারানো এত সোজা নয় ।"

যদিও জেলা তৃণমূল সভানেত্রীর কটাক্ষ প্রসঙ্গে সদ্য BJP-তে যোগদানকারী বিপ্লব মিত্র জানান, CPI(M)-কে সরাতে তিনি কংগ্রেস থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন । বর্তমানে তৃণমূল নেত্রী প্রতি মুহূর্তে স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন । সেখানে মান-সম্মান নিয়ে দলটা আর করা সম্ভব হচ্ছে না। গতকালের ব্লক কমিটির সভায় উপস্থিত ছিলেন বর্ষীয়ান নেতা শংকর চক্রবর্তী, মন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা, শুভাশিস পাল, সত্যেন্দ্রনাথ রায় সহ জেলা ও স্থানীয় নেতৃত্ব।

গঙ্গারামপুর, 4 জুলাই : দলের কিছু বিশ্বাসঘাতকের জন্যই লোকসভা ভোটে হার হয়েছে । দলীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নাম না করে বিপ্লব মিত্রকে আক্রমণ করেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ । তিনি জানান, হার-জিত জীবনের নিয়ম । এবারের ভোটে জয়লাভ করলে 2021-র বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের 6টি আসন হাতছাড়া হয়ে যেত ।

বালুরঘাটে দলের সংগঠন মজবুত করতে নতুন করে ব্লক কমিটি গঠন করছেন তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ । গতকাল গঙ্গারামপুরের চৌমাথায় সেই ব্লক কমিটির সভায় নাম না করে বিপ্লব মিত্রকে আক্রমণ করলেন অর্পিতা । লোকসভা ভোটের পর বিপ্লব মিত্র তৃণমূল ছেড়ে জেলা পরিষদের 10 সদস্যকে নিয়ে BJP-তে যোগদান করেন । তাই জেলা পরিষদ দখল রাখতে মরিয়া তৃণমূল । ব্লক কমিটির সভা থেকেই লোকসভা ভোটে পরাজয় প্রসঙ্গে অর্পিতা ঘোষ বলেন, "মানুষ এখনও তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছেন । 2014-র থেকে এবার বেশি শতাংশ ভোট পেয়েছি । আমাদের মধ্যেকার কয়েকজন বিশ্বাসঘাতক উলটো দিকে ভোট করিয়ে দিল বলেই আমরা হেরে গেলাম । কোনও দুঃখ নেই । হার-জিত জীবনের নিয়ম । আর হেরে গেছি বলেই 2021 সালে 6টা আসন তৃণমূল কংগ্রেস পাবে ।" এরপরই তিনি নাম না করে বিপ্লব মিত্রের উদ্দেশ্যে বলেন, " যারা বলেন, মমতার ছবি দিয়ে কাজ হয় না, তাদের বলি যে সময় জিতেছিলেন তখন পিছনে তৃণমূলের প্রতীক আর মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ছিল । মমতা ব্যানার্জির জন্যই সবাই তৃণমূল কংগ্রেসে আছেন । দল বড় কোনও ব্যক্তি বড় নয় । দম থাকলে আগামীদিনে আবার ভোটে জিতে দেখান । তৃণমূল কংগ্রেসকে হারানো এত সোজা নয় ।"

যদিও জেলা তৃণমূল সভানেত্রীর কটাক্ষ প্রসঙ্গে সদ্য BJP-তে যোগদানকারী বিপ্লব মিত্র জানান, CPI(M)-কে সরাতে তিনি কংগ্রেস থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন । বর্তমানে তৃণমূল নেত্রী প্রতি মুহূর্তে স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন । সেখানে মান-সম্মান নিয়ে দলটা আর করা সম্ভব হচ্ছে না। গতকালের ব্লক কমিটির সভায় উপস্থিত ছিলেন বর্ষীয়ান নেতা শংকর চক্রবর্তী, মন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা, শুভাশিস পাল, সত্যেন্দ্রনাথ রায় সহ জেলা ও স্থানীয় নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন : BJP-তে গেছেন বিপ্লব, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান হলেন অর্পিতা

আরও পড়ুন : দুর্নীতির অভিযোগে বিপ্লবের 2 ভাইকে তৃণমূল থেকে বহিষ্কার

Intro:লোকসভা আসনে আমি জিতলে ২০২১ জেলার ছয়টি বিধানসভায় আসনে তৃণমূল হারত: অর্পিতা ঘোষ।।

গঙ্গারামপুর , ৪ জুলাই: এবারের লোকসভায় যদি আমি জিততাম তাহলে ২০২১ সালের নির্বাচনে দক্ষিণ দিনাজপুরের ছয়টি বিধানসভা আসন তৃণমূলের হাতছাড়া হয়ে যেত। আমি হেরে গেছি বলেই ২০২১ সালে জেলার ছয়টি আসনে তৃণমূল পাবে। আমরা সকলে মিলে এটা করব। আমি ওইসব কান্ডারী কান্ডারী তে বিশ্বাস করি না। অর্পিতা ঘোষ কোন কান্ডারী না।কান্ডারী তো আপনারা, আমরা তো সঙ্গে চলি। আমরা তো মঞ্চে বসে থাকি, আপনাদের ভরসায় চলি। অর্থাৎ আপনারাই আসল কান্ডারী। বুধবার সন্ধ্যায় গঙ্গারামপুরের চৌমাথায় দলীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি বিপ্লব মিত্রকে এমনই কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বর্তমান জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ। এদিনের সভায় থেকে অর্পিতা ঘোষ নাম না করে বিপ্লব মিত্র কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। মমতা ব্যানার্জির ছবি ও জোড়া ফুল চিহ্নে বাদ দিয়ে ভোট লড়ে দেখাক। তৃণমূল কংগ্রেস কে হারানো অতটা সহজ নয়। আমরাও ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝিয়ে দেব তৃণমূল কঠিন লড়াই দিতে জানে। অর্পিতা ঘোষ ছাড়াও এদিনের সভায় হাজির ছিলেন বর্ষিয়ান নেতা শংকর চক্রবর্তী, মন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা, শুভাশিস পাল, সত্যেন্দ্রনাথ রায় সহ অন্যান্য জেলা ও স্থানীয় নেতৃত্ব।

প্রসঙ্গত, চলতি লোকসভা নির্বাচনে বালুরঘাট আসনে তৃণমূল প্রার্থী নিয়েই প্রথম মন কষাকষি শুরু হয় প্রাক্তন সভাপতি বিপ্লব মিত্র ও অর্পিতার মধ্য। সেই বিরোধিতা প্রকাশ্যে ও চলে আসে। তবে শেষ পর্যন্ত তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জির নির্দেশে বালুরঘাট আসনে তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষের হয়ে প্রচার করেন প্রাক্তন সভাপতি বিপ্লব মিত্র। তবেএতসবের পরেও চলতি লোকসভা নির্বাচনে বালুরঘাট আসনটি তৃণমূলের হাতছাড়া হয়। এদিকে লোকসভা আসনে তৃণমূলের ভরাডুবির কোপ পরে বিপ্লব মিত্রের উপর। গত ২৫ শে মে জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বিপ্লব বাবু কে। নতুন জেলা সভাপতি করা হয় লোকসভা আসনের তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষকে। এদিকে জেলা সভাপতির পদ থেকে বিপ্লবকে সরিয়ে দেওয়ায় তার বিজেপিতে যোগদানের জোর জল্পনা শুরু হয়। অবশেষে গত ২৪ শে জুন দিল্লিতে দলীয় সদর দপ্তরে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন বিপ্লব মিত্র সহ জেলা পরিষদের ১০ সদস্য। দীর্ঘদিন তৃণমূলের জেলা সভাপতির দায়িত্বে থাকা বিপ্লব মিত্র বিজেপিতে যোগদান করায় চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল। জেলা পরিষদের ১০ জন সদস্যকে নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বিজেপি। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদ বিজেপির দখলে যেতে চলায়, নিজেদের বোর্ড বাঁচাতে তৎপর হয় তৃণমূল। জেলা পরিষদের নতুন দলনেতা করা হয় প্রবীর রায় কে। নিজেদের জেলা পরিষদ ধরে রাখতে মরিয়া তৃণমূল। শুধুমাত্র জেলা পরিষদ নয় পাশাপাশি গঙ্গারামপুর বুনিয়াদপুর পৌরসভা কে ধরে রাখতে মরিয়া তৃণমূল। নিজেদের সংগঠনের শ্রীবৃদ্ধি করতে নতুন করে ব্লক কমিটি করেছেন অর্পিতা। বুধবার থেকে ব্লকে ব্লকে গিয়ে সভা করছেন তিনি। গঙ্গারামপুরে এদিনের সভা তারই একটি অঙ্গ। চলতি লোকসভা নির্বানের যারা দলের থেকেও বিজেপির হয়ে ভোট করিয়েছে তাদের সাবধান করে দেন অর্পিতা।

জনসভা থেকে অর্পিতা ঘোষ তা আরও বলেন, যে যাই বলুক দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদ তৃণমূলের ছিল তৃণমূল থাকবে। শুধুমাত্র জেলা পরিষদ নয় গঙ্গারামপুর ও বুনিয়াদপুর পৌরসভা জেলার সবকটি পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল থাকবে বলে দলীয় কর্মীদের আশ্বস্ত করেন। যে যেখানে জয়েন করুন তাতেই তৃণমূলের কোন অসুবিধা নেই। নাম না করে বিপ্লব মিত্র কে উদ্দেশ্য করে বলেন, তিনি নাকি বলেছেন দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে তৃণমূলকে তুলে দেবেন। তবে আমি বলি তার আগে বিজেপিকে না দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে উঠিয়ে দেন তিনি সেটা লক্ষ্য রাখবেন। মমতার ছবি দিয়ে কাজ হয় না যারা বলছে তাদের বলি যেই সময় জিতে ছিলেন সেই সময় পিছনে তৃণমূলের সিম্বল আর মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ছিল।

অন্যদিকে সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারী বিপ্লব মিত্র জানান, সিপিআইএমকে সরাতে তিনি কংগ্রেস থেকে মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে তৃণমূলে গেছিলেন। বর্তমানে তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেত্রীর রয়েছেন তিনি প্রত্যেক মুহূর্তে স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। সেখানে দলে থেকে মান সম্মান নিয়ে তৃণমূল দলটা আর করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই তিনি বিজেপিতে যোগদান করেছেন।

এদিকে গতকালের তৃণমূলের সভাতে প্রায় ৭০০ জন বাম ও বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান করে। সদ্য তৃণমূলে যোগদান কারী দের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ। অন্যদিকে সূত্রের খবর আগামী কাল জেলায় ফিরতে চলেছেন বিপ্লব মিত্র সহ জেলা পরিষদের সদস্য। সকাল ১১ টায় বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামার কথা রয়েছে বিপ্লব বাবু।
Body:Gangarampur Conclusion:Gangarampur
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.