ETV Bharat / state

অভিভাবক থেকেও অনাথ বংশীহারীর কার্তিক-গণেশ, প্রশাসনের দ্বারস্থ এলাকাবাসী - south dinajpur

বাবা কাজের সূত্রে ভিনরাজ্যে থাকেন ৷ সৎমা তাদের দায়িত্ব না নেওয়ায় এখন অনাথ তিন ভাই ৷ ফলে পাড়ায় কোনও ব্যক্তির দোকান অথবা খড়ের গাদা অথবা গাছতলাতেই রাত কাটে তিন ভাইয়ের ৷ এলাকার মানুষের দয়ায় জুটত খাবার ৷ আবার কোনও কোনও দিন এমনও গেছে যে দুপুর গড়িয়ে রাত হয়ে গেলেও তিন ভাই দাঁতে কাটেনি কিছুই ৷ এই অবস্থা গত তিন-চার দিন আগে বড় ভাই বছর বারোর রাম হঠাৎই উধাও হয়ে যাওয়া চিন্তিত এলাকাবাসী ৷

কার্তিক গণেশ
author img

By

Published : Aug 28, 2019, 10:09 AM IST

Updated : Aug 28, 2019, 12:15 PM IST

বংশীহারী, 28 অগাস্ট : বাবা-মা থেকেও আশ্রয়হীন নাবালক তিন ভাই ৷ আস্তানা বলতে আছে স্থানীয়দের বাড়ির উঠোন অথবা কারও দোকানের চালা ৷ তাদের বয়স বারো, দশ ও আট ৷ এই তিনজনের মধ্যে তিন দিন আগে একজন হঠাৎকরে উধাও হয়ে যাওয়ায় চিন্তিত এলাকাবাসী ৷ বংশীহারী ব্লকের ব্রজ বল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দা এই তিন ভাই হল রাম, কার্তিক ও গণেশ ৷ এই তিন ভাইয়ের যাতে সুব্যবস্থা হয় সেজন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দারা ৷

আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দা বুধু সোরেন ৷ ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন ৷ তাঁর স্ত্রী শান্তি হাঁসদা স্বামী-সংসার ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ায় তাঁদের তিন সন্তান রাম, কার্তিক ও গণেশের আশ্রয় জুটেছিল দিদার কাছে ৷ ছেলেদের দেখাশোনার জন্য আরও একটি বিয়ে করেন বুধু সোরেন ৷ কিন্তু বিয়ের ছ'মাস যেতে না যেতেই সৎমা তিন ভাইয়ের দিক থেকে মুখ ফেরায় ৷ ফলে বাধ্য হয়েই দিদার কাছেই থাকতে শুরু করে তিন ভাই ৷ কিন্তু দিনকয়েক আগে দিদা মারা যাওয়ায় মাথার উপর থাকা ছাদটাও সরে যায় কার্তিক-গণেশের ৷ বাবা কাজের সূত্রে ভিনরাজ্যে থাকেন ৷ সৎমা তাদের দায়িত্ব না নেওয়ায় তারা এখন অনাথ ৷ ফলে পাড়ায় কোনও ব্যক্তির দোকান অথবা খড়ের গাদা অথবা গাছতলাতেই রাত কাটে তিন ভাইয়ের ৷ এলাকার মানুষের দয়ায় জুটত খাবার ৷ আবার কোনও কোনও দিন এমনও গেছে যে দুপুর গড়িয়ে রাত হয়ে গেলেও তিন ভাই দাঁতে কাটেনি কিছুই ৷ এই অবস্থা গত তিন-চার দিন আগে বড় ভাই বছর বারোর রাম হঠাৎই উধাও হয়ে যাওয়া চিন্তিত এলাকাবাসী ৷ তাদের দাবি, অন্তত কার্তিক-গণেশের দায়িত্ব যাতে প্রশাসন নেয় ৷ তারা যেন সুন্দর ভবিষ্যৎ পায় ৷

শুনুন স্থানীয়দের বক্তব্য

আরও পড়ুন: রাতের অন্ধকারে চলছে অসামাজিক কাজকর্ম, অভিযোগ গঙ্গারামপুরে

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই ওই তিন নাবালকের বিষয়টি চোখে পড়লেও প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ৷ স্থানীয় ববিতা মণ্ডল জানান, ছেলেগুলোর নির্দিষ্ট কোনও আশ্রয় নেই ৷ হাটখোলা, বদলপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায় ৷ কখনও ধান ভাঙা মিলের মধ্যে রাত কাটায় আবার কখনও কারও দোকানের বারান্দায় ৷ এলাকার কোনও লোকের যদি মায়া হয় তবেই এদের খাবার জোটে ৷ কেউ জামাকাপড় আবার কেউ খাওয়ারের জন্য দশ-বিশ টাকা দেন । এরা অনাথের মতো জীবনযাপন করছে । আমরা চাইছি এরা মানুষের মতো মানুষ হোক ৷ বংশীহারী ব্লকের BDO সুদেষ্ণা পাল জানান, ব্রজ বল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে খুব দ্রুত ওই নাবালকদের যাতে চাইল্ড লাইনে দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করা হবে ।

বংশীহারী, 28 অগাস্ট : বাবা-মা থেকেও আশ্রয়হীন নাবালক তিন ভাই ৷ আস্তানা বলতে আছে স্থানীয়দের বাড়ির উঠোন অথবা কারও দোকানের চালা ৷ তাদের বয়স বারো, দশ ও আট ৷ এই তিনজনের মধ্যে তিন দিন আগে একজন হঠাৎকরে উধাও হয়ে যাওয়ায় চিন্তিত এলাকাবাসী ৷ বংশীহারী ব্লকের ব্রজ বল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দা এই তিন ভাই হল রাম, কার্তিক ও গণেশ ৷ এই তিন ভাইয়ের যাতে সুব্যবস্থা হয় সেজন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দারা ৷

আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দা বুধু সোরেন ৷ ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন ৷ তাঁর স্ত্রী শান্তি হাঁসদা স্বামী-সংসার ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ায় তাঁদের তিন সন্তান রাম, কার্তিক ও গণেশের আশ্রয় জুটেছিল দিদার কাছে ৷ ছেলেদের দেখাশোনার জন্য আরও একটি বিয়ে করেন বুধু সোরেন ৷ কিন্তু বিয়ের ছ'মাস যেতে না যেতেই সৎমা তিন ভাইয়ের দিক থেকে মুখ ফেরায় ৷ ফলে বাধ্য হয়েই দিদার কাছেই থাকতে শুরু করে তিন ভাই ৷ কিন্তু দিনকয়েক আগে দিদা মারা যাওয়ায় মাথার উপর থাকা ছাদটাও সরে যায় কার্তিক-গণেশের ৷ বাবা কাজের সূত্রে ভিনরাজ্যে থাকেন ৷ সৎমা তাদের দায়িত্ব না নেওয়ায় তারা এখন অনাথ ৷ ফলে পাড়ায় কোনও ব্যক্তির দোকান অথবা খড়ের গাদা অথবা গাছতলাতেই রাত কাটে তিন ভাইয়ের ৷ এলাকার মানুষের দয়ায় জুটত খাবার ৷ আবার কোনও কোনও দিন এমনও গেছে যে দুপুর গড়িয়ে রাত হয়ে গেলেও তিন ভাই দাঁতে কাটেনি কিছুই ৷ এই অবস্থা গত তিন-চার দিন আগে বড় ভাই বছর বারোর রাম হঠাৎই উধাও হয়ে যাওয়া চিন্তিত এলাকাবাসী ৷ তাদের দাবি, অন্তত কার্তিক-গণেশের দায়িত্ব যাতে প্রশাসন নেয় ৷ তারা যেন সুন্দর ভবিষ্যৎ পায় ৷

শুনুন স্থানীয়দের বক্তব্য

আরও পড়ুন: রাতের অন্ধকারে চলছে অসামাজিক কাজকর্ম, অভিযোগ গঙ্গারামপুরে

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই ওই তিন নাবালকের বিষয়টি চোখে পড়লেও প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ৷ স্থানীয় ববিতা মণ্ডল জানান, ছেলেগুলোর নির্দিষ্ট কোনও আশ্রয় নেই ৷ হাটখোলা, বদলপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায় ৷ কখনও ধান ভাঙা মিলের মধ্যে রাত কাটায় আবার কখনও কারও দোকানের বারান্দায় ৷ এলাকার কোনও লোকের যদি মায়া হয় তবেই এদের খাবার জোটে ৷ কেউ জামাকাপড় আবার কেউ খাওয়ারের জন্য দশ-বিশ টাকা দেন । এরা অনাথের মতো জীবনযাপন করছে । আমরা চাইছি এরা মানুষের মতো মানুষ হোক ৷ বংশীহারী ব্লকের BDO সুদেষ্ণা পাল জানান, ব্রজ বল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে খুব দ্রুত ওই নাবালকদের যাতে চাইল্ড লাইনে দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করা হবে ।

Intro:বাবা মা থেকেও নেই ,বংশী হাড়ি ব্লকের নাবালক তিন ভাই যের আস্তানা এখন ফুট পাথ ।।


বংশী হাড়ি :-27 আগস্ট :-বছর পাঁচেক আগে অন্ধকার নেমে আসে তিন বালকের জীবনে । দিদা মারা যাওয়ার অনেকদিন আগেই মা তাঁদেরকে ত্যাগ করেছিল ।বাড়ি ঘর না থাকায় এলাকার লোকের দোকান ছিল আশ্রয়ের জায়গা ।কেউ খাবার দিলে খেতে পেতো না দিলে ক্ষুধার্থ থাকতে হতো এই দুই বালক কে ।কিন্তু গত তিন থেকে চার দিন ধরে তাদের দাদা কে এলাকার লোকজন দেখতে না পাওয়ায় চিন্তার ছাপ রয়ে গেছে ।এই ভাবেই কষ্টে জীবন যাপন চলছিল বংশী হাড়ি ব্লকের ব্রজ বল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আদিবাসী পাড়ার তিন নাবালকের ।দীর্ঘদিন ধরেই বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে পড়লেও তাদের থাকা খাওয়ার কোনো রকম ব্যবস্থা করে নি প্রশাসন বলে অভিযোগ ।স্থানীয়রা চাইছেন সু ব্যবস্থা করা হোক তারা থাকা খাওয়ার পাশাপাশি পড়াশুনাও করতে পারে ।আগামীদিনে বড়ো হয়ে মানুষের মতো মানুষ হতে পারে ।

বংশী হাড়ি ব্লকের ব্রজ বল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আদিবাসী পাড়ার দুই নাবালক খুব ছোট থাকতেই তাদের ছেড়ে তাদের মা শান্তি হাঁসদা চলে যায় ।তাদের বাবা বুধু সরেন তিন নাবালক ছোট থাকার জন্য আবারও বিয়ে করেন যাহাতে তার ছোট ছোট ছেলেদের কে দেখা শুনা করতে পারে । কিন্তু দেখা যায় 6 মাস যেতে না যেতে নাবালকের সৎ মা তাদের দিকে ঘুরেও তাকায় নি ।সেই কারণে তিন নাবালক লোকের দোকান অথবা খড়ের গাদা বা এলাকার কোথাও রাত কাটাতো ।এলাকার লোকজন দয়া করলে জুটত খাবার ।অনেক সময় দুপুর গড়িয়ে রাত হলেও খাবার জুটত না । অনেক কষ্টে দিন যাপন করছে দুই যুবকের ।

এই বিষয়ে এলাকার বাসিন্দা মিঠুন রায় জানান কার্তিক মার্ডি এবং গনেশ মার্ডি সহ তাদের আরো এক দাদা যখন খুব ছোট তখন এদের মা এদের ছেড়ে চলে যায় ।এদের বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে ,কিন্তু এদের সৎ মা সারাদিন মদ খেয়ে পড়ে থাকে ,বাবা ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করে ,সেই কারণে এই নাবালকের দেখার কেউ নাই ।এই শিশুগুলো এলাকার লোকজনের দোকানে দোকানে ঘুরে কখনো কখনো খাবার সংগ্রহ করে ।কোনো কোনো দিন এদের দুজনের দুপুরে খাবার জন্য ভাত ও জোটে না ।এলাকার লোকজনই এদের খাবার দেয় কেউ কেউ ।এলাকার লোকজনের দাবি এই দুজন বড়ো হলে খারাপ কাজে যেন যুক্ত না হয় সেই কারণে প্রশাসন কে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করছে ।অথবা কোন সহায়ক বেক্তি যদি এদের দুজনের দায়িত্ব নেয় তাহলে আমরা এলাকাবাসি খুব আনন্দ পাবো ।

ববিতা মন্ডল নামে এক মহিলা জানান ছেলে গুলো যেখানে সেখানে থাকে ,হাট খোলা, বদলপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায় ,এই দুজন রাত কাটায় ধান ভাঙা মিলের মধ্যে আবার কারও দোকানের বারান্দায় ।এলাকার কোনো লোকের যদি মায়া হয় তবেই এই দুজনের খাবার জোটে ।কেউ বা জামা কাপড় আবার কেউ খাবার জন্য দেয় দশ বিশ টাকা ।এরা অনাথের মতো জীবন যাপন করছে ।আমরা চাইছি এরা দুজন মানুষের মতো মানুষ হয় ।

বংশী হাড়ি ব্লকের বিডিও সুদীসনা পাল জানান আমি ব্রজ বল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে খুব দ্রুত যেন শিশু গুলোকে চাইল্ড লাইনে দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করছি ।





Body:বাবা মা থেকেও নেই ,বংশী হাড়ি ব্লকের নাবালক তিন ভাই যের আস্তানা এখন ফুট পাথ ।।



Conclusion:বাবা মা থেকেও নেই ,বংশী হাড়ি ব্লকের নাবালক তিন ভাই যের আস্তানা এখন ফুট পাথ ।।
Last Updated : Aug 28, 2019, 12:15 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.