গঙ্গারামপুর, 5 ডিসেম্বর : গোপন সূত্র মারফত হানা দিয়ে প্রায় দেড় কেজি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করল গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। শনিবার দুপুরে বালুরঘাট থেকে বুনিয়াদপুরগামী একটি ছোটো গাড়িতে করে ওই সোনাগুলি ভিন রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ শহরের চৌপথি এলাকায় হানা দিয়ে ওই গাড়িটিকে আটক করে। এরপর তল্লাশি চালাতে উদ্ধার হয় 12টি সোনার বিস্কুট। যার ওজন 1 কেজি 400 গ্রাম। উদ্ধার হওয়া সোনার বাজার মূল্য 75 লাখ টাকা। এদিকে এই ঘটনায় এক মহিলা সহ মোট দু'জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃত দু'জনের বাড়ি বালুরঘাট শহরের মঙ্গলপুরে ৷ উদ্ধার হওয়া সোনাগুলো কোথা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ও এই ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা যুক্ত আছে তা খতিয়ে দেখছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। অন্যদিকে এনিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় গঙ্গারামপুর থানা সাংবাদিক বৈঠক করেন জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত।
পুলিশ জানিয়েছে, একটি প্রাইভেট গাড়িতে ওই দুইজন শনিবার দুপুরে বালুরঘাট থেকে বুনিয়াদপুরের দিকে যাচ্ছিল । গঙ্গারামপুর থানার আইসির কাছে গোপন সূত্রের খবর আসে যে ধৃত ওই দুজনের কোমরে কাপড় বেঁধে তার মধ্যে সোনা লুকিয়ে পাচার করার জন্য নিয়ে যাচ্ছিল। এমন খবর পেতেই গঙ্গারামপুর থানার আইসি নেতৃত্বে চৌপথি এলাকা থেকে ওই গাড়িটিকে আটক করে তল্লাশি চালায়, এর পরে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় বারোটি সোনার বিস্কুট , যার ওজন এক কিলো চারশো গ্রামের উপরে যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৭৫ লাখ টাকা।
সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সোনাগুলি বাংলাদেশ থেকে হিলি সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে বিহার হয়ে আন্তঃরাজ্য পাচার করার ছক ছিল অভিযুক্তদের। যদিও গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ অভিযুক্তদের এই পাচারের ছক ভেস্তে দেয়।
আরও পড়ুন :কৃষি আইন সংশোধনে রাজি হতে পারে কেন্দ্র : সূত্র
জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত জানান, গঙ্গারামপুর চৌপথিতে তল্লাশি চালিয়ে বারোটি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়। গাড়ি সহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম এখনই বলা যাবে না। গাড়িটি বালুরঘাটের দিক থেকে জেলার বাইরে যাচ্ছিল। পুলিশ তদন্ত করছে। ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আগামীকাল গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে ।