ETV Bharat / state

সরকারি সাহায্যের অপেক্ষা, অনাহারে কুশমণ্ডি অনাথাশ্রমের শিশুরা

আজ থেকে প্রায় 21 বছর আগে কুশমণ্ডি ব্লকের মস্তইল এলাকায় অনাথ শিশুদের জন্য নীলকণ্ঠ স্বর্গ আশ্রম তৈরি করেছিলেন রঞ্জিত দত্ত ৷ প্রথমে নিজের বেতনের টাকা থেকেই আশ্রমের খরচ চালাতেন ৷ কিন্তু 2014 সালে অবসর নেন ৷ তারপর থেকেই আশ্রমের খরচ চালাতে সরকারি দপ্তরে আবেদন জানান ৷ কিন্তু প্রতিশ্রুতি মিললেও মেলেনি সাহায্য৷

নীলকণ্ঠ স্বর্গ আশ্রমের অনাথ শিশুরা
author img

By

Published : Oct 9, 2019, 9:39 PM IST

Updated : Oct 11, 2019, 3:51 PM IST

কুশমণ্ডি, 9 অক্টোবর : নীলকণ্ঠ স্বর্গ আশ্রম ৷ সরকারি সাহায্য না পেয়ে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডি ব্লকের এই অনাথ আশ্রমের শিশুরা ৷ আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা রঞ্জিত দত্ত 2014 সাল থেকে BDO, SDO, DM অফিসের দরজায় দরজায় ঘুরছেন ৷ কিন্তু প্রতিশ্রুতি মিললেও মেলেনি সাহায্য ৷

আজ থেকে প্রায় 21 বছর আগে কুশমণ্ডি ব্লকের মস্তইল এলাকায় অনাথ আশ্রমটি তৈরি করেছিলেন রঞ্জিতবাবু ৷ এলাকারই একটি প্রাথমিক স্কুলে চাকরি করতেন তিনি ৷ নিজের বেতনের টাকা থেকেই আশ্রমের খরচ চালাতেন ৷ কিন্তু 2014 সালে অবসর নেন ৷ তারপর থেকেই আশ্রমের খরচ চালাতে সরকারি সাহায্যের জন্য বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে আবেদন জানান ৷ কিন্তু লাভ হয়নি ৷ বর্তমানে প্রায় 90 জন শিশু রয়েছে এই অনাথ আশ্রমে ৷

রঞ্জিতবাবু বলেন, "আশ্রমের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি চিন্তিত ৷ কষ্টে দিন কাটছে ৷ কিছু মানুষ নিয়মিতভাবে না হলেও অল্পবিস্তর চাল-ডাল দিয়ে সহযোগিতা করেন ৷ আমি কিছু দিয়ে কোনও রকমভাবে চলছি ৷ সব সরকারি দপ্তরে দরখাস্ত করেছি ৷ সাহায্য মেলেনি ৷ এটা সামাজিক কাজ ৷ তাই আমি চাই এটা সরকার দেখুক, এগিয়ে আসুক ৷ আমাদের একটা স্থায়ী বন্দোবস্ত করে দিক ৷ যাতে আমরা এই ভিক্ষার জীবন থেকে অব্যাহতি পাই ৷ "

Nilkantha orphanage home in kushmandi
এখনও কাঠের উনুনেই করা হয় রান্না

এ বিষয়ে পরিবেশপ্রেমী শিক্ষা সংগঠনের সভাপতি জাহিরুদ্দিন আহমেদ বলেন, "আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা নিজের খরচে আশ্রম চালান । এখনও পর্যন্ত সরকারি কোনও সাহায্য পাননি । রান্নাঘর, খেলার ঘর বা পড়ার ঘরের অবস্থা বেশ খারাপ ৷ ভারত সরকার সবার জন্য গ্যাসের ব্যবস্থা করলেও এই আশ্রমে এখনও পর্যন্ত উনুনে রান্না হচ্ছে । এ বিষয়টি নিয়ে কিন্তু ভাবা দরকার ৷ শুধুমাত্র সরকার নয়, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের কাছে আবেদন করব ৷ আপনারা এগিয়ে আসুন ৷ এই শিশুদের পাশে দাঁড়ান ৷ "

গঙ্গারামপুর মহকুমার মহকুমা শাসক দেবাঞ্জন রায় বলেন, "আমি এই আশ্রম নিয়ে অনেকবার জেলা শাসককে জানিয়েছি । আবারও তাঁকে জানাব ৷ "

দেখুন ভিডিয়ো

কুশমণ্ডি, 9 অক্টোবর : নীলকণ্ঠ স্বর্গ আশ্রম ৷ সরকারি সাহায্য না পেয়ে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডি ব্লকের এই অনাথ আশ্রমের শিশুরা ৷ আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা রঞ্জিত দত্ত 2014 সাল থেকে BDO, SDO, DM অফিসের দরজায় দরজায় ঘুরছেন ৷ কিন্তু প্রতিশ্রুতি মিললেও মেলেনি সাহায্য ৷

আজ থেকে প্রায় 21 বছর আগে কুশমণ্ডি ব্লকের মস্তইল এলাকায় অনাথ আশ্রমটি তৈরি করেছিলেন রঞ্জিতবাবু ৷ এলাকারই একটি প্রাথমিক স্কুলে চাকরি করতেন তিনি ৷ নিজের বেতনের টাকা থেকেই আশ্রমের খরচ চালাতেন ৷ কিন্তু 2014 সালে অবসর নেন ৷ তারপর থেকেই আশ্রমের খরচ চালাতে সরকারি সাহায্যের জন্য বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে আবেদন জানান ৷ কিন্তু লাভ হয়নি ৷ বর্তমানে প্রায় 90 জন শিশু রয়েছে এই অনাথ আশ্রমে ৷

রঞ্জিতবাবু বলেন, "আশ্রমের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি চিন্তিত ৷ কষ্টে দিন কাটছে ৷ কিছু মানুষ নিয়মিতভাবে না হলেও অল্পবিস্তর চাল-ডাল দিয়ে সহযোগিতা করেন ৷ আমি কিছু দিয়ে কোনও রকমভাবে চলছি ৷ সব সরকারি দপ্তরে দরখাস্ত করেছি ৷ সাহায্য মেলেনি ৷ এটা সামাজিক কাজ ৷ তাই আমি চাই এটা সরকার দেখুক, এগিয়ে আসুক ৷ আমাদের একটা স্থায়ী বন্দোবস্ত করে দিক ৷ যাতে আমরা এই ভিক্ষার জীবন থেকে অব্যাহতি পাই ৷ "

Nilkantha orphanage home in kushmandi
এখনও কাঠের উনুনেই করা হয় রান্না

এ বিষয়ে পরিবেশপ্রেমী শিক্ষা সংগঠনের সভাপতি জাহিরুদ্দিন আহমেদ বলেন, "আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা নিজের খরচে আশ্রম চালান । এখনও পর্যন্ত সরকারি কোনও সাহায্য পাননি । রান্নাঘর, খেলার ঘর বা পড়ার ঘরের অবস্থা বেশ খারাপ ৷ ভারত সরকার সবার জন্য গ্যাসের ব্যবস্থা করলেও এই আশ্রমে এখনও পর্যন্ত উনুনে রান্না হচ্ছে । এ বিষয়টি নিয়ে কিন্তু ভাবা দরকার ৷ শুধুমাত্র সরকার নয়, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের কাছে আবেদন করব ৷ আপনারা এগিয়ে আসুন ৷ এই শিশুদের পাশে দাঁড়ান ৷ "

গঙ্গারামপুর মহকুমার মহকুমা শাসক দেবাঞ্জন রায় বলেন, "আমি এই আশ্রম নিয়ে অনেকবার জেলা শাসককে জানিয়েছি । আবারও তাঁকে জানাব ৷ "

দেখুন ভিডিয়ো
Intro:কুশমন্ডি অনাথ আশ্রমে সরকারি সাহায্য না পাওয়ায় অনাহারে দিন কাটাচ্ছে অনাথ শিশুরা ।।
গঙ্গারামপুর ; ০৬ সেপ্টেম্বর ;-দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি ব্লকের মস্তইল এলাকার অনাথ শিশুরা বর্তমানে জীবনের চরম মুহূর্ত কাটাচ্ছেন। রাজ্যে রাজনৈতিক পালা বদল হলেও সে আমল থেকে এখন পর্যন্ত সরকারি সাহায্যের জন্য আবেদন করেও শুধুই মিলেছে প্রতিশ্রুতি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সেই অনাথ আশ্রমে মেলেনি কোন রকমের সরকারি সাহায্য ।
স্থানীও সূত্রে খবর প্রায় ২১ বছর আগে আশ্রমের কর্নধার রঞ্জিত দত্ত এই এলাকার একটি প্রাথমিক স্কুলে চাকরী চলাকালীন এই আশ্রমের প্রতিষ্ঠা করে, আর তখন থেকে এই আশ্রম হয়ে উঠে তার পরিবার । বর্তমানে এই আশ্রমে প্রায় ৯০ জন শিশু আছে , জীবনের শেষ লগ্নে এসেও কোনো সাহায্যই পাচ্ছেন না আশ্রম কর্তিপক্ষ।
এই বিষয়ে পরিবেশ প্রেমী শিক্ষা সংগঠনের সভাপতি জাহিরুদ্দিন আহমেদ বলেন আশ্রমের কর্নধার নিজের খরচে এই আশ্রম চালান । কোন সরকারি সাহায্য এখন পর্যন্ত মেলেনি ।ভারত সরকার সবার জন্য গ্যাসের ব্যাবস্থা করলেও এই আশ্রম এখনো পর্যন্ত উনানে রান্না করছে ।সমাজের বিভিন্য শ্রেণির মানুষের কাছে পরিবেশ প্রেমী শিক্ষা সংগঠনের সভাপতি অনুরোধ করছে সবাইকে এগিয়ে আসতে ,যেন এই আশ্রমটি সমাজে স্থান পায় ।আশ্রমের শিশুদের কথা ভেবে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ।

আশ্রম পরিবারের গৃহ কর্তা রঞ্জিত দত্ত বলেন আজ থেকে ২১ বছর আগে রঞ্জিত দত্ত এই এলাকার একটি প্রাথমিক স্কুলে চাকরী চলাকালীন এই আশ্রমের প্রতিষ্ঠা করে, আর তখন থেকে এই আশ্রম হয়ে উঠে তার পরিবার । বর্তমানে উপার্জনের কোন পথ নেই। আমার চাকরী জীবন থেকে অবসর গ্রহন করলেও আমার চাকরির পেনসন দিয়ে তবে আমাদের খাওয়ার জোটে নয়তো অভুক্ত হয়েই দিন কাঁটাতে হয় । মাঝে মাঝে অনেকে দয়া করে কিছু সাহায্য করেন। সরকারের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনো লাভ হয়নি মেলেনি কোনো সাহায্য , মেলে শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতি জীবনের শেষ দিনে এসেও কেও দেখলো না।
গঙ্গারামপুর মহকুমার মহকুমা শাসক দেবাঞ্জন রায় জানান আমি এই আশ্রম নিয়ে অনেকবার জেলাতে বলেছি ।আবারও জেলায় জানাবো যেন খুব তাড়াতাড়ি অনাথ শিশুরা সাহায্য থেকে বঞ্চিত না হয় ।

Body:কুশমন্ডি অনাথ আশ্রমে সরকারি সাহায্য না পাওয়ায় অনাহারে দিন কাটাচ্ছে অনাথ শিশুরা ।। Conclusion:কুশমন্ডি অনাথ আশ্রমে সরকারি সাহায্য না পাওয়ায় অনাহারে দিন কাটাচ্ছে অনাথ শিশুরা ।।
Last Updated : Oct 11, 2019, 3:51 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.