কুশমণ্ডি, 9 অক্টোবর : নীলকণ্ঠ স্বর্গ আশ্রম ৷ সরকারি সাহায্য না পেয়ে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডি ব্লকের এই অনাথ আশ্রমের শিশুরা ৷ আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা রঞ্জিত দত্ত 2014 সাল থেকে BDO, SDO, DM অফিসের দরজায় দরজায় ঘুরছেন ৷ কিন্তু প্রতিশ্রুতি মিললেও মেলেনি সাহায্য ৷
আজ থেকে প্রায় 21 বছর আগে কুশমণ্ডি ব্লকের মস্তইল এলাকায় অনাথ আশ্রমটি তৈরি করেছিলেন রঞ্জিতবাবু ৷ এলাকারই একটি প্রাথমিক স্কুলে চাকরি করতেন তিনি ৷ নিজের বেতনের টাকা থেকেই আশ্রমের খরচ চালাতেন ৷ কিন্তু 2014 সালে অবসর নেন ৷ তারপর থেকেই আশ্রমের খরচ চালাতে সরকারি সাহায্যের জন্য বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে আবেদন জানান ৷ কিন্তু লাভ হয়নি ৷ বর্তমানে প্রায় 90 জন শিশু রয়েছে এই অনাথ আশ্রমে ৷
রঞ্জিতবাবু বলেন, "আশ্রমের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি চিন্তিত ৷ কষ্টে দিন কাটছে ৷ কিছু মানুষ নিয়মিতভাবে না হলেও অল্পবিস্তর চাল-ডাল দিয়ে সহযোগিতা করেন ৷ আমি কিছু দিয়ে কোনও রকমভাবে চলছি ৷ সব সরকারি দপ্তরে দরখাস্ত করেছি ৷ সাহায্য মেলেনি ৷ এটা সামাজিক কাজ ৷ তাই আমি চাই এটা সরকার দেখুক, এগিয়ে আসুক ৷ আমাদের একটা স্থায়ী বন্দোবস্ত করে দিক ৷ যাতে আমরা এই ভিক্ষার জীবন থেকে অব্যাহতি পাই ৷ "
এ বিষয়ে পরিবেশপ্রেমী শিক্ষা সংগঠনের সভাপতি জাহিরুদ্দিন আহমেদ বলেন, "আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা নিজের খরচে আশ্রম চালান । এখনও পর্যন্ত সরকারি কোনও সাহায্য পাননি । রান্নাঘর, খেলার ঘর বা পড়ার ঘরের অবস্থা বেশ খারাপ ৷ ভারত সরকার সবার জন্য গ্যাসের ব্যবস্থা করলেও এই আশ্রমে এখনও পর্যন্ত উনুনে রান্না হচ্ছে । এ বিষয়টি নিয়ে কিন্তু ভাবা দরকার ৷ শুধুমাত্র সরকার নয়, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের কাছে আবেদন করব ৷ আপনারা এগিয়ে আসুন ৷ এই শিশুদের পাশে দাঁড়ান ৷ "
গঙ্গারামপুর মহকুমার মহকুমা শাসক দেবাঞ্জন রায় বলেন, "আমি এই আশ্রম নিয়ে অনেকবার জেলা শাসককে জানিয়েছি । আবারও তাঁকে জানাব ৷ "