বালুরঘাট, 29 সেপ্টেম্বর : কোরোনা পরিস্থিতিতে আশাকর্মীদের নেই যথোপযুক্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা । বেতনও খুবই কম । উৎসাহ ভাতা দেওয়ার ঘোষণা করা হলেও মিলছে না সেটাও । এরকমই 11 দফা দাবি নিয়ে আজ জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে ডেপুটেশন দিলেন পশ্চিমবঙ্গ আশাকর্মী ইউনিয়নের দক্ষিণ দিনাজপুর শাখার আশাকর্মীরা ।
আজ বালুরঘাট হাই স্কুল মাঠ থেকে আশাকর্মীদের পক্ষ থেকে একটি মিছিল বের করা হয় । মিছিলটি সারা শহর পরিক্রমার পর বালুরঘাটের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। পরে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে 11 দফা দাবিতে ডেপুটেশন দেন । আশাকর্মীদের পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুকুমার দে ।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় প্রায় দু'হাজার আশাকর্মী রয়েছে । তাঁদের অভিযোগ, না তাঁদের সুরক্ষার কথা ভাবা হচ্ছে, না তাদের বেতন পরিকাঠামো বাড়ানো হচ্ছে । উলটো নতুন করে কাজের দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে । এমনকী তাদের ফরম্যাটও চেঞ্জ করা হচ্ছে না । এর প্রতিবাদে একত্রিত হয়েছেন আশাকর্মীরা । এর আগেও আশাকর্মীরা নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে ডেপুটেশন দিয়েছিলেন । আজ ফের নিজেদের দাবিতে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে ডেপুটেশন দেন । তাঁদের দাবি মানা না হলে আগামী দিনে আরও বড় আন্দোলনে নামবে বলে আশাকর্মীরা সাফ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন । এদিন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার আটটি ব্লক থেকে আশাকর্মীরা বালুরঘাট জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য দপ্তরে আসেন।
এবিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ আশাকর্মী ইউনিয়নের দক্ষিণ দিনাজপুর শাখার সম্পাদিকা নিবেদিতা লাহা জানান, কোরোনার প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে চলেছি । কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার দিকে স্বাস্থ্য বিভাগ খেয়াল রাখছে না । প্রথমদিকে তবু কিছু পরিমাণ স্যানিটাইজ়ারের ব্যবস্থা করা হলেও কিছুদিন পরে তা বন্ধ করে দেওয়া হয় । কাজ করার জন্য গ্লাভস তো দেওয়া হয় না । এমনকী মাস্ক প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম । পাশাপাশি আমাদের পারিশ্রমিক নিতান্তই কম । এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আমরা একজোট হয়ে 11 দফা দাবিতে একটি স্মারকলিপি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তরে জমা করেছি । তিনি আমাদের সমস্যাগুলো খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন ।