ETV Bharat / state

জলে 'ঘেরা' স্কুল, মন্দিরেই পড়াশোনা; কোমর জলেও অদম্য ওরা ! - education

সেন্টারের সামনে কোমর সমান জল । বাধ্য হয়ে মন্দির চত্বরেই ক্লাস করছে ওরা । ঘটনাটি বুনিয়াদপুর পৌরসভার 6 নম্বর ওয়ার্ডের ধূমপাড়ার হালদারপাড়া এলাকার ।

চলছে পড়াশোনা
author img

By

Published : Jul 19, 2019, 4:30 AM IST

Updated : Jul 19, 2019, 12:12 PM IST

বংশীহারী, 19 জুলাই : জল থই থই চারদিক । বাড়ি থেকে বেরোনো দায় । তাতেও ভ্রুক্ষেপ নেই । হাতে ক্যান, পিঠে ব্যাগ - জল পেরিয়েই আসছে ওরা । স্কুলে ক্লাস হবে না । পোকামাকড়ের ভয় । তাই, ওদের গন্তব্য মন্দির চত্বর । ম্যাডাম আগেই এসে গেছেন । ওরা এল কিছুক্ষণ পর । ওই 10টা নাগাদ । জনা কয়েক । শুরু হল পড়াশোনা । ম্যাডামের শেখানো, 'অ-আ-ক-খ' আউড়ে যেন তৃপ্তি ।

বুনিয়াদপুর পৌরসভার 6 নম্বর ওয়ার্ডের ধূমপাড়ার হালদারপাড়া । এখানেই চলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র । খাতায় কলমে যার নাম টেগোর সোসাইটি- সেন্টার নম্বর 82 । ছাত্র-ছাত্রী 90 । স্কুল বিল্ডিংয়েই আছে মিড-ডে-মিলের ব্যবস্থা ।

school
জল পেরিয়ে আসতে হচ্ছে পড়ুয়াদের

টানা বৃষ্টিতে জল বেড়েছে টাঙন নদীর । দক্ষিণ দিনাজপুরের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত । ঘরে ঘরে জল ঢুকে একাকার অবস্থা । মঙ্গলবার পর্যন্ত সেন্টারের কাছে জল অতটা ছিল না । তবে, বুধবার থেকে পরিস্থিতি বদলায় । এলাকায় বাড়তে থাকে জল । বর্তমানে গ্রাম প্রায় বানভাসি । স্কুল বিল্ডিংয়ে জল ঢোকেনি । কিন্তু, চারিদিক জলে ঘেরা । দেখলে মনে হবে, পুকুরের মাঝে তৈরি হওয়া কোনও এক বাড়ি ! এই অবস্থায় স্কুলে পড়াশোনা অসম্ভব । পোকামাকড়, সাপের ভয় গ্রাস করে প্রতিনিয়ত । তাহলে কী হবে ? পড়াশোনার পাঠ কি শিকেয় উঠবে ? না । তা হতে দেননি অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের ম্যাডামরা । সামনেই একটু উঁচু এলাকায় রয়েছে একটি মন্দির । সেখানেই ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত নেন । ক্লাস করলেই হবে না । চালাতে হবে পেটও ! মিড-ডে-মিলের ব্যবস্থা করা হয় পাশের বাড়িতে ।

school
জলমগ্ন স্কুল বিল্ডিং

এবিষয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকা জয়িতা রায় বলেন, "স্কুলে জল ঢোকেনি । কিন্তু, চারিদিকে জল জমে আছে । বাচ্চাগুলোকে নিয়ে যাব কীভাবে ? পোকামাকড়, সাপেরও ভয় আছে । কিছু যদি হয়ে যায় ! তাই, মন্দিরে ক্লাস করতে বাধ্য হচ্ছি । ওরাও চলে আসে । পড়াশোনার টানে । আমরাও না গিয়ে পারি না ।" জল যদি মন্দিরে প্রবেশ করে ? শুনে কিছুটা আতঙ্কিত জয়িতা । বললেন, "জানি না তখন কী হবে । খুব চিন্তায় আছি । আমি নিজে ফোন করে স্যার, সুপারভাইজ়ার, BDO-কে জানিয়েছি । ওঁরা নিশ্চয়ই কিছু ব্যবস্থা নেন ।"

দেখুন ভিডিয়ো

বংশীহারী ব্লকের CDPO (চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট প্রোজেক্ট অফিসার) মেঘনাথ মিস্ত্রি বলেন, "সেন্টারে এখনও জল প্রবেশ করেনি । তবে, শুনেছি ক্লাস করাতে অসুবিধা হচ্ছে । পাশে ক্লাস হচ্ছে । একটি বাড়িতে মিড-ডে-মিল চলছে । এটা চালাতেই হবে । আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি ।"

ওদের অবশ্য এসবে ভ্রুক্ষেপ নেই । ম্যাডামের নির্দেশে ছড়া বলে চলেছে । ক্লাস শেষে মন্দির চত্বরেই একটু খেলে নেওয়া । খেয়ে-দেয়ে জল পেরিয়ে হাসিমুখেই বাড়ির পথ ধরা । এই পথ ধরে কাল আবার আসতে হবে যে !

বংশীহারী, 19 জুলাই : জল থই থই চারদিক । বাড়ি থেকে বেরোনো দায় । তাতেও ভ্রুক্ষেপ নেই । হাতে ক্যান, পিঠে ব্যাগ - জল পেরিয়েই আসছে ওরা । স্কুলে ক্লাস হবে না । পোকামাকড়ের ভয় । তাই, ওদের গন্তব্য মন্দির চত্বর । ম্যাডাম আগেই এসে গেছেন । ওরা এল কিছুক্ষণ পর । ওই 10টা নাগাদ । জনা কয়েক । শুরু হল পড়াশোনা । ম্যাডামের শেখানো, 'অ-আ-ক-খ' আউড়ে যেন তৃপ্তি ।

বুনিয়াদপুর পৌরসভার 6 নম্বর ওয়ার্ডের ধূমপাড়ার হালদারপাড়া । এখানেই চলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র । খাতায় কলমে যার নাম টেগোর সোসাইটি- সেন্টার নম্বর 82 । ছাত্র-ছাত্রী 90 । স্কুল বিল্ডিংয়েই আছে মিড-ডে-মিলের ব্যবস্থা ।

school
জল পেরিয়ে আসতে হচ্ছে পড়ুয়াদের

টানা বৃষ্টিতে জল বেড়েছে টাঙন নদীর । দক্ষিণ দিনাজপুরের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত । ঘরে ঘরে জল ঢুকে একাকার অবস্থা । মঙ্গলবার পর্যন্ত সেন্টারের কাছে জল অতটা ছিল না । তবে, বুধবার থেকে পরিস্থিতি বদলায় । এলাকায় বাড়তে থাকে জল । বর্তমানে গ্রাম প্রায় বানভাসি । স্কুল বিল্ডিংয়ে জল ঢোকেনি । কিন্তু, চারিদিক জলে ঘেরা । দেখলে মনে হবে, পুকুরের মাঝে তৈরি হওয়া কোনও এক বাড়ি ! এই অবস্থায় স্কুলে পড়াশোনা অসম্ভব । পোকামাকড়, সাপের ভয় গ্রাস করে প্রতিনিয়ত । তাহলে কী হবে ? পড়াশোনার পাঠ কি শিকেয় উঠবে ? না । তা হতে দেননি অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের ম্যাডামরা । সামনেই একটু উঁচু এলাকায় রয়েছে একটি মন্দির । সেখানেই ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত নেন । ক্লাস করলেই হবে না । চালাতে হবে পেটও ! মিড-ডে-মিলের ব্যবস্থা করা হয় পাশের বাড়িতে ।

school
জলমগ্ন স্কুল বিল্ডিং

এবিষয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকা জয়িতা রায় বলেন, "স্কুলে জল ঢোকেনি । কিন্তু, চারিদিকে জল জমে আছে । বাচ্চাগুলোকে নিয়ে যাব কীভাবে ? পোকামাকড়, সাপেরও ভয় আছে । কিছু যদি হয়ে যায় ! তাই, মন্দিরে ক্লাস করতে বাধ্য হচ্ছি । ওরাও চলে আসে । পড়াশোনার টানে । আমরাও না গিয়ে পারি না ।" জল যদি মন্দিরে প্রবেশ করে ? শুনে কিছুটা আতঙ্কিত জয়িতা । বললেন, "জানি না তখন কী হবে । খুব চিন্তায় আছি । আমি নিজে ফোন করে স্যার, সুপারভাইজ়ার, BDO-কে জানিয়েছি । ওঁরা নিশ্চয়ই কিছু ব্যবস্থা নেন ।"

দেখুন ভিডিয়ো

বংশীহারী ব্লকের CDPO (চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট প্রোজেক্ট অফিসার) মেঘনাথ মিস্ত্রি বলেন, "সেন্টারে এখনও জল প্রবেশ করেনি । তবে, শুনেছি ক্লাস করাতে অসুবিধা হচ্ছে । পাশে ক্লাস হচ্ছে । একটি বাড়িতে মিড-ডে-মিল চলছে । এটা চালাতেই হবে । আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি ।"

ওদের অবশ্য এসবে ভ্রুক্ষেপ নেই । ম্যাডামের নির্দেশে ছড়া বলে চলেছে । ক্লাস শেষে মন্দির চত্বরেই একটু খেলে নেওয়া । খেয়ে-দেয়ে জল পেরিয়ে হাসিমুখেই বাড়ির পথ ধরা । এই পথ ধরে কাল আবার আসতে হবে যে !

Intro:অঙ্গনারী সেন্টার জলের মধ্যে ,সমস্যায় শিশুরা ,ঘটনাটি বুনিয়াদপুর পুরসভার ধুম পাড়া এলাকার ।।
বংশী হারি ; ১৮ জুলাই ;-বুনিয়াদপুর পুরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের ধূমপারা এলাকার হালদার পাড়ার ৮২ নং অঙ্গনারী সেন্টারে বন্যার জল প্রবেশ করায় সমস্যায় পড়তে হয়েছে অঙ্গনারী সেন্টারে পড়তে আসা শিশুদের ।জানা যায় কয়েকদিন টানা বৃষ্টিতে বন্যার আকার ধারন করেছে ।টাঙ্গন সহ দক্ষিণ দিনাজপুরের বেশ কিছু নদীতে ।নদীর জল বেরে যাবার জন্য জল মগ্ন বুনিয়াদপুর পুরসভার ৬ নং ওয়ার্ড ।এলাকা গুলিতে । কারন গত ২০১৭ সালের বন্যার সময় ঐ এলাকাগুলির প্রচুর বাড়ি ঘর ভেঙ্গে গেলেও এখন পর্যন্ত কোন প্রকার সাহাজ্য পায় নি পুরসভার কাছ থেকে ।
টাঙ্গন নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে । স্থানীয়দের অভিযোগ, এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরও দেখা মেলেনি পুরসভা করতি পক্ষের ।এই অঙ্গনারী সেন্টারে মোট ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা মোট ৯০ । গত দুদিন আগে অঙ্গনারী সেন্টার এলাকায় অল্প পরিমানে জল ঢুকছিল । কিন্তু গত রাত থেকে ঐ এলাকায় প্রচুর জল চলে আসে । হাঁটু জল হয়ে যাবার জন্য সেন্টারে ক্লাস করাতে পারছে না ,ক্লাস করাচ্ছে একটি মন্দিরে । ঐ এলাকায় বন্যার জল হওয়ার কারনে রান্না অন্য একটি বাড়িতে । তবে কতদিন ঐ এলাকায় সেন্টার করতে পারবে সেই নিয়ে চিন্তার ছাপ অঙ্গনারী কেন্দ্রের দিদিমনি থেকে শুরু করে এলাকার লোকজনের ।
এই বিষয়ে অঙ্গনারী কেন্দ্রের দিদিমনি জয়িতা রায় জানান আমাদের সেন্টারের ধূমপারা এলাকার হালদার পাড়ার ৮২ নং অঙ্গনারী সেন্টারে বন্যার জল প্রবেশ করায় সমস্যায় পড়তে হয়েছে অঙ্গনারী সেন্টারে পড়তে আসা শিশুদের ।সেই কারনে এলাকার একটি মন্দিরে বসে চলছে পড়াশুনা , এছাড়াও খাবারের জন্য ঐ এলাকার একটি বাড়িতে রান্না হচ্ছে সিশুদের ।বিভিন্য পোকা মাকরের অত্যাচারের হাত থেকে বাচতে মন্দিরে বসে করানো হচ্ছে ক্লাস । আগামিদিনে যদি জল বেড়ে যায় তাহলে কোথায় ক্লাস করানো হবে সেই নিয়ে চিন্তায় আছি ।আমি নিজে ফোন করে আমাদের স্যার ,সুপার ভাইজার , সহ বিডিও কে জানিয়েছি কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন কাজ হয় নি ।
এলাকার এক বাসিন্দা বাসনা হালদার জানান হালদার পাড়ার ৮২ নং অঙ্গনারী সেন্টারে বন্যার জল প্রবেশ করায় সমস্যায় পড়তে হয়েছে অঙ্গনারী সেন্টারে পড়তে আসা শিশুদের ।সেই কারনে এলাকার একটি মন্দিরে বসে চলছে পড়াশুনা , এছাড়াও খাবারের জন্য ঐ এলাকার একটি বাড়িতে রান্না হচ্ছে সিশুদের ।বিভিন্য পোকা মাকরের অত্যাচারের হাত থেকে বাচতে মন্দিরে বসে করানো হচ্ছে ক্লাস ।
বংশী হারি ব্লকের সিডিপিও মেঘনাথ মিস্তিরি জানান ট্যাগর সোসাইটির ৮২ নং অঙ্গনারী সেন্টারে জল এখনো প্রবেশ করে নি ,তবে শুনেছি ক্লাস করাতে অসুবিধা হচ্ছে , তারা পাশের বাড়িতে গিয়েছে ক্লাস করানর জন্য ।যত অসুবিধা হোক না কেন ক্লাস করিয়ে যেতেই হবে ।
Body:অঙ্গনারী সেন্টার জলের মধ্যে ,সমস্যায় শিশুরা ,ঘটনাটি বুনিয়াদপুর পুরসভার ধুম পাড়া এলাকার ।।
বংশী হারি ; ১৮ জুলাই ;-বুনিয়াদপুর পুরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের ধূমপারা এলাকার হালদার পাড়ার ৮২ নং অঙ্গনারী সেন্টারে বন্যার জল প্রবেশ করায় সমস্যায় পড়তে হয়েছে অঙ্গনারী সেন্টারে পড়তে আসা শিশুদের ।জানা যায় কয়েকদিন টানা বৃষ্টিতে বন্যার আকার ধারন করেছে ।টাঙ্গন সহ দক্ষিণ দিনাজপুরের বেশ কিছু নদীতে ।নদীর জল বেরে যাবার জন্য জল মগ্ন বুনিয়াদপুর পুরসভার ৬ নং ওয়ার্ড ।এলাকা গুলিতে । কারন গত ২০১৭ সালের বন্যার সময় ঐ এলাকাগুলির প্রচুর বাড়ি ঘর ভেঙ্গে গেলেও এখন পর্যন্ত কোন প্রকার সাহাজ্য পায় নি পুরসভার কাছ থেকে ।
টাঙ্গন নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে । স্থানীয়দের অভিযোগ, এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরও দেখা মেলেনি পুরসভা করতি পক্ষের ।এই অঙ্গনারী সেন্টারে মোট ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা মোট ৯০ । গত দুদিন আগে অঙ্গনারী সেন্টার এলাকায় অল্প পরিমানে জল ঢুকছিল । কিন্তু গত রাত থেকে ঐ এলাকায় প্রচুর জল চলে আসে । হাঁটু জল হয়ে যাবার জন্য সেন্টারে ক্লাস করাতে পারছে না ,ক্লাস করাচ্ছে একটি মন্দিরে । ঐ এলাকায় বন্যার জল হওয়ার কারনে রান্না অন্য একটি বাড়িতে । তবে কতদিন ঐ এলাকায় সেন্টার করতে পারবে সেই নিয়ে চিন্তার ছাপ অঙ্গনারী কেন্দ্রের দিদিমনি থেকে শুরু করে এলাকার লোকজনের ।
এই বিষয়ে অঙ্গনারী কেন্দ্রের দিদিমনি জয়িতা রায় জানান আমাদের সেন্টারের ধূমপারা এলাকার হালদার পাড়ার ৮২ নং অঙ্গনারী সেন্টারে বন্যার জল প্রবেশ করায় সমস্যায় পড়তে হয়েছে অঙ্গনারী সেন্টারে পড়তে আসা শিশুদের ।সেই কারনে এলাকার একটি মন্দিরে বসে চলছে পড়াশুনা , এছাড়াও খাবারের জন্য ঐ এলাকার একটি বাড়িতে রান্না হচ্ছে সিশুদের ।বিভিন্য পোকা মাকরের অত্যাচারের হাত থেকে বাচতে মন্দিরে বসে করানো হচ্ছে ক্লাস । আগামিদিনে যদি জল বেড়ে যায় তাহলে কোথায় ক্লাস করানো হবে সেই নিয়ে চিন্তায় আছি ।আমি নিজে ফোন করে আমাদের স্যার ,সুপার ভাইজার , সহ বিডিও কে জানিয়েছি কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন কাজ হয় নি ।
এলাকার এক বাসিন্দা বাসনা হালদার জানান হালদার পাড়ার ৮২ নং অঙ্গনারী সেন্টারে বন্যার জল প্রবেশ করায় সমস্যায় পড়তে হয়েছে অঙ্গনারী সেন্টারে পড়তে আসা শিশুদের ।সেই কারনে এলাকার একটি মন্দিরে বসে চলছে পড়াশুনা , এছাড়াও খাবারের জন্য ঐ এলাকার একটি বাড়িতে রান্না হচ্ছে সিশুদের ।বিভিন্য পোকা মাকরের অত্যাচারের হাত থেকে বাচতে মন্দিরে বসে করানো হচ্ছে ক্লাস ।
বংশী হারি ব্লকের সিডিপিও মেঘনাথ মিস্তিরি জানান ট্যাগর সোসাইটির ৮২ নং অঙ্গনারী সেন্টারে জল এখনো প্রবেশ করে নি ,তবে শুনেছি ক্লাস করাতে অসুবিধা হচ্ছে , তারা পাশের বাড়িতে গিয়েছে ক্লাস করানর জন্য ।যত অসুবিধা হোক না কেন ক্লাস করিয়ে যেতেই হবে ।
Conclusion:অঙ্গনারী সেন্টার জলের মধ্যে ,সমস্যায় শিশুরা ,ঘটনাটি বুনিয়াদপুর পুরসভার ধুম পাড়া এলাকার ।।
বংশী হারি ; ১৮ জুলাই ;-বুনিয়াদপুর পুরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের ধূমপারা এলাকার হালদার পাড়ার ৮২ নং অঙ্গনারী সেন্টারে বন্যার জল প্রবেশ করায় সমস্যায় পড়তে হয়েছে অঙ্গনারী সেন্টারে পড়তে আসা শিশুদের ।জানা যায় কয়েকদিন টানা বৃষ্টিতে বন্যার আকার ধারন করেছে ।টাঙ্গন সহ দক্ষিণ দিনাজপুরের বেশ কিছু নদীতে ।নদীর জল বেরে যাবার জন্য জল মগ্ন বুনিয়াদপুর পুরসভার ৬ নং ওয়ার্ড ।এলাকা গুলিতে । কারন গত ২০১৭ সালের বন্যার সময় ঐ এলাকাগুলির প্রচুর বাড়ি ঘর ভেঙ্গে গেলেও এখন পর্যন্ত কোন প্রকার সাহাজ্য পায় নি পুরসভার কাছ থেকে ।
টাঙ্গন নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে । স্থানীয়দের অভিযোগ, এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরও দেখা মেলেনি পুরসভা করতি পক্ষের ।এই অঙ্গনারী সেন্টারে মোট ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা মোট ৯০ । গত দুদিন আগে অঙ্গনারী সেন্টার এলাকায় অল্প পরিমানে জল ঢুকছিল । কিন্তু গত রাত থেকে ঐ এলাকায় প্রচুর জল চলে আসে । হাঁটু জল হয়ে যাবার জন্য সেন্টারে ক্লাস করাতে পারছে না ,ক্লাস করাচ্ছে একটি মন্দিরে । ঐ এলাকায় বন্যার জল হওয়ার কারনে রান্না অন্য একটি বাড়িতে । তবে কতদিন ঐ এলাকায় সেন্টার করতে পারবে সেই নিয়ে চিন্তার ছাপ অঙ্গনারী কেন্দ্রের দিদিমনি থেকে শুরু করে এলাকার লোকজনের ।
এই বিষয়ে অঙ্গনারী কেন্দ্রের দিদিমনি জয়িতা রায় জানান আমাদের সেন্টারের ধূমপারা এলাকার হালদার পাড়ার ৮২ নং অঙ্গনারী সেন্টারে বন্যার জল প্রবেশ করায় সমস্যায় পড়তে হয়েছে অঙ্গনারী সেন্টারে পড়তে আসা শিশুদের ।সেই কারনে এলাকার একটি মন্দিরে বসে চলছে পড়াশুনা , এছাড়াও খাবারের জন্য ঐ এলাকার একটি বাড়িতে রান্না হচ্ছে সিশুদের ।বিভিন্য পোকা মাকরের অত্যাচারের হাত থেকে বাচতে মন্দিরে বসে করানো হচ্ছে ক্লাস । আগামিদিনে যদি জল বেড়ে যায় তাহলে কোথায় ক্লাস করানো হবে সেই নিয়ে চিন্তায় আছি ।আমি নিজে ফোন করে আমাদের স্যার ,সুপার ভাইজার , সহ বিডিও কে জানিয়েছি কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন কাজ হয় নি ।
এলাকার এক বাসিন্দা বাসনা হালদার জানান হালদার পাড়ার ৮২ নং অঙ্গনারী সেন্টারে বন্যার জল প্রবেশ করায় সমস্যায় পড়তে হয়েছে অঙ্গনারী সেন্টারে পড়তে আসা শিশুদের ।সেই কারনে এলাকার একটি মন্দিরে বসে চলছে পড়াশুনা , এছাড়াও খাবারের জন্য ঐ এলাকার একটি বাড়িতে রান্না হচ্ছে সিশুদের ।বিভিন্য পোকা মাকরের অত্যাচারের হাত থেকে বাচতে মন্দিরে বসে করানো হচ্ছে ক্লাস ।
বংশী হারি ব্লকের সিডিপিও মেঘনাথ মিস্তিরি জানান ট্যাগর সোসাইটির ৮২ নং অঙ্গনারী সেন্টারে জল এখনো প্রবেশ করে নি ,তবে শুনেছি ক্লাস করাতে অসুবিধা হচ্ছে , তারা পাশের বাড়িতে গিয়েছে ক্লাস করানর জন্য ।যত অসুবিধা হোক না কেন ক্লাস করিয়ে যেতেই হবে ।
Last Updated : Jul 19, 2019, 12:12 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.