তপন, 29 জুন: ভেঙে গেল পুনর্ভবার বাঁধ । প্লাবিত হল তপন ব্লকের রামপাড়া চ্যাঁচড়া এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রাম । জেলার অন্যান্য নদীগুলির জলও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে । বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় । জেলা প্রশাসনের বক্তব্য, বিষয়টি সম্পর্ক তারা ওয়াকিবহাল ৷ দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত তারা । ইতিমধ্যে বালুরঘাটে তিনটি ফ্লাড সেন্টার পরিদর্শন করেছেন BDO সহ অন্য আধিকারিকরা ।
কয়েকদিন ধরে টানা ভারী বৃষ্টির জেরে গত সপ্তাহেই উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় লাল সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন । দক্ষিণ দিনাজপুরের আত্রেয়ী, পুনর্ভবা ও টাঙন নদীর জল প্রায় বিপদসীমা ছুঁয়ে ফেলেছে । এর মাঝে সোমবার সকালে জলের তোড়ে তপন ব্লকের রামপাড়া চ্যাঁচড়া ও রামচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পুনর্ভবার বাঁধ ভেঙে যায় ৷ প্লাবিত হয় নওগা, সুকদেবপুর সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চল । এদিকে বালুরঘাটের আত্রেয়ী নদীও ফুলে ফেঁপে উঠছে । ডাঙা, ভাটপাড়া, জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করেছে ।
জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের চকভাতশালা এলাকার বাসিন্দা সুদেব মহন্ত বলেন, "কয়েক দিনের বৃষ্টিতে নদীর জল বেড়েছে । দিনে দিনে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে । ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙ্গি এলাকায় নদীর ভাঙ্গন শুরু হয়েছে । এলাকার কিছু জমি নদীগর্ভে চলে গেছে ৷ আতঙ্কিত আমরা ।"
বালুরঘাট ব্লকের BDO অনুজ সিকদার বলেন, "ইতিমধ্যে ফুলঘড়া, কালিকাপুর ও ডাকরা এলাকার 3 টি ফ্লাড সেন্টার পরিদর্শন করা হয়েছে । সেগুলির পরিস্থিতি ভালো । বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সজাগ রয়েছে প্রশাসন । "
এই বিষয়ে সেচ বিভাগের নির্বাহী বাস্তুকার স্বপন বিশ্বাস বলেন, "বালুরঘাট মহকুমার আত্রেয়ী ও যমুনার জলস্তর আপাতত নিয়ন্ত্রণে আছে । আত্রেয়ীর জল বিপদসীমা থেকে 1 মিটার নিচে রয়েছে । গঙ্গারামপুর মহকুমার পুনর্ভবা ও টাঙন নদীর জল বিপদসীমা পেরিয়ে গেছে । আরও জল বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে । তবে আত্রেয়ীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা নেই । তবুও আমরা প্রস্তুত রয়েছি ।"