ETV Bharat / state

পুজোতে মেলা, পশুবলি; জমিদারি প্রথা মেনেই বংশীহারী ব্লকের মাতৃবন্দনা

সেই জৌলুস আজ আর নেই ৷ তবে সেকেলে রীতি মেনেই বংশীহারী ব্লকের চেঙড়া পিছলায় আজও হয় মাতৃবন্দনা ৷ দক্ষিণ দিনাজপুরের চ্যাংড়া পিছলা গ্রামে সরকার স্বীকৃত বারোয়ারি কমিটি এখন এই পুজোর আয়োজন করে ৷

author img

By

Published : Oct 2, 2019, 10:16 PM IST

Updated : Oct 3, 2019, 9:27 PM IST

প্রতিমা

বংশীহারী, 2 অক্টোবর : নেই জমিদার, জমিদারি প্রথা ৷ জৌলুস কালের স্রোতে হারিয়ে গেলেও আজও সাবেক রীতি মেনেই হয় মাতৃবন্দনা ৷ দক্ষিণ দিনাজপুরের চ্যাংড়া পিছলা গ্রামে সরকার স্বীকৃত বারোয়ারি কমিটি এখন এই পুজোর আয়োজন করে ৷

বাংলাদেশের হরিপুরের জমিদার রবীন্দ্রনারায়ণ চৌধুরি ৷ তিনি বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডির আমিনপুরে আসার পর শুরু করেছিলেন দুর্গাপুজো ৷ সে সময় দূরদূরান্ত থেকে অনেক মানুষ এই পুজো দেখতে ভিড় জমাতেন ৷ তাই জমিদার চ্যাংড়া পিছলা এলাকায় 32 বিঘা জমি কিনে নেন ৷ সেখানে শুরু করেন পুজো ৷ বর্তমানে প্রায় 200 বছর পেরিয়ে গেছে ৷ যদিও এখন বারোয়ারি কমিটি পুজোর দায়িত্বে রয়েছে তবে আজও সেই প্রাচীন প্রথা মেনেই পুজো করা হয় ৷ জমিদার বাড়ির এই পুজোর প্রতি মানুষের আর্কষণ আজও রয়ে গেছে ৷

এখন 2 বিঘা জমিতে এই পুজো করা হয় ৷ আগে পুজোর খরচ বহন করতেন জমিদার ৷ ঠাকুরের ডাকের সাজ জমিদার বাড়ি থেকেই আসত ৷ এখন বারোয়ারি কমিটি পুজোর খরচের দায়িত্বে ৷ পুজো কমিটির এক সদস্য শ্রীমন্ত দাস জানান, তিনি ছোটবেলা থেকেই পুজো হতে দেখছেন ৷ তাঁর বয়স এখন প্রায় 80 ছুঁই ছুঁই ৷ এখানে বলির রীতি প্রচলিত ৷ ছোটোখাটো একটি মেলাও হয় এখানে ৷ পুজোর চারদিন প্রচুর জনসমাগম হয় ৷

পুজো কমিটির আরও এক সদস্য মুকুন্দ দাস জানান, শাক্ত মতে পুজো হয় ৷ নবমীর দিন বলি হয় ৷ বিশেষত্ব হল চণ্ডীপুজো অবশ্যই করতে হয় ৷ চণ্ডীপাঠ করা হয় ৷ মঙ্গলচণ্ডীর গান হয় ৷ ঘটও সংখ্যায় বেশি বসে ৷ এখানে 9টি ঘট বসানো হয় ৷ আগে দু'টি কাঠামো বানানো হত ৷ একটি মহিষাসুরমর্দিনী রূপে ৷ আর একটি কাঠামো তৈরি করা হত সেখানে দুর্গার জন্ম থেকে শুরু করে বিবাহ পর্যন্ত দৃশ্যগুলি বর্ণিত হত ৷ এই কাঠামোটি আকারে বেশ বড় হওয়ায় এখন সেটি আর তৈরি করা হয় না ৷ এখন মহিষাসুরমর্দিনী রূপেই পুজো করা হয় ৷

দেখুন ভিডিয়ো

বংশীহারী, 2 অক্টোবর : নেই জমিদার, জমিদারি প্রথা ৷ জৌলুস কালের স্রোতে হারিয়ে গেলেও আজও সাবেক রীতি মেনেই হয় মাতৃবন্দনা ৷ দক্ষিণ দিনাজপুরের চ্যাংড়া পিছলা গ্রামে সরকার স্বীকৃত বারোয়ারি কমিটি এখন এই পুজোর আয়োজন করে ৷

বাংলাদেশের হরিপুরের জমিদার রবীন্দ্রনারায়ণ চৌধুরি ৷ তিনি বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডির আমিনপুরে আসার পর শুরু করেছিলেন দুর্গাপুজো ৷ সে সময় দূরদূরান্ত থেকে অনেক মানুষ এই পুজো দেখতে ভিড় জমাতেন ৷ তাই জমিদার চ্যাংড়া পিছলা এলাকায় 32 বিঘা জমি কিনে নেন ৷ সেখানে শুরু করেন পুজো ৷ বর্তমানে প্রায় 200 বছর পেরিয়ে গেছে ৷ যদিও এখন বারোয়ারি কমিটি পুজোর দায়িত্বে রয়েছে তবে আজও সেই প্রাচীন প্রথা মেনেই পুজো করা হয় ৷ জমিদার বাড়ির এই পুজোর প্রতি মানুষের আর্কষণ আজও রয়ে গেছে ৷

এখন 2 বিঘা জমিতে এই পুজো করা হয় ৷ আগে পুজোর খরচ বহন করতেন জমিদার ৷ ঠাকুরের ডাকের সাজ জমিদার বাড়ি থেকেই আসত ৷ এখন বারোয়ারি কমিটি পুজোর খরচের দায়িত্বে ৷ পুজো কমিটির এক সদস্য শ্রীমন্ত দাস জানান, তিনি ছোটবেলা থেকেই পুজো হতে দেখছেন ৷ তাঁর বয়স এখন প্রায় 80 ছুঁই ছুঁই ৷ এখানে বলির রীতি প্রচলিত ৷ ছোটোখাটো একটি মেলাও হয় এখানে ৷ পুজোর চারদিন প্রচুর জনসমাগম হয় ৷

পুজো কমিটির আরও এক সদস্য মুকুন্দ দাস জানান, শাক্ত মতে পুজো হয় ৷ নবমীর দিন বলি হয় ৷ বিশেষত্ব হল চণ্ডীপুজো অবশ্যই করতে হয় ৷ চণ্ডীপাঠ করা হয় ৷ মঙ্গলচণ্ডীর গান হয় ৷ ঘটও সংখ্যায় বেশি বসে ৷ এখানে 9টি ঘট বসানো হয় ৷ আগে দু'টি কাঠামো বানানো হত ৷ একটি মহিষাসুরমর্দিনী রূপে ৷ আর একটি কাঠামো তৈরি করা হত সেখানে দুর্গার জন্ম থেকে শুরু করে বিবাহ পর্যন্ত দৃশ্যগুলি বর্ণিত হত ৷ এই কাঠামোটি আকারে বেশ বড় হওয়ায় এখন সেটি আর তৈরি করা হয় না ৷ এখন মহিষাসুরমর্দিনী রূপেই পুজো করা হয় ৷

দেখুন ভিডিয়ো
Intro:জমিদার বাড়ির পূজা বংশিহারি ব্লকে


Body:জমিদার বাড়ির পূজা বংশিহারি ব্লকে


Conclusion:জমিদার বাড়ির পূজা বংশিহারি ব্লকে
Last Updated : Oct 3, 2019, 9:27 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.